শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

ঝিকরগাছার শংকরপুর মাঠে অবৈধ ভাবে নির্মাণ হয়েছে দু,দুটি ইটের ভাটা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:১০:৫৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৭ মার্চ ২০১৮
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে
এবিএস রনি, যশোর: বাগআঁচড়া -বাঁকড়া সড়কের শংকরপুর  মাঠে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে কিং ব্রিকস ও জেবি ব্রিকস নামের দুটি ভাটা। যার পাশেই রয়েছে ২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টি মাধ্যামিক বিদ্যালয়, ৪ টি মসজিদ ও ১ টি মাদরাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে শত শত একর ফসলী জমি। এই ইট ভাটা হওয়ায় এ সকল জমিতে বিগত বছর যে ফসল উৎপাদন হত তার অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে এ ইট ভাটা হওয়ায় এক দিকে যেমন শত শত একর জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে অন্য দিকে ভাটার কালো ধোয়ায় ও ধূলাবালিতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। জানাগেছে, সম্প্রতি ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের নায়ড়া-উলাকোল গ্রামের মাঠে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে উপজেলার রাজবাড়িয়া গ্রামের জনৈক সাখাওয়াত হোসেন ও কুলবাড়ীয়া গ্রামের জনৈক আব্দুর রহমান আইন অমান্য করে অবৈধ ভাবে কিং ব্রিকস্ ও জেবি ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা নির্মাণ করেছে। নির্মাণাধীন এ দুটি  ব্রিকস্ এর পাশেই রয়েছে উলাকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উলাকোল আলিম মাদরাসা, নায়ড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নায়ড়া মাধ্যামিক বিদ্যালয়। এ ছাড়াও রয়েছে ৪ টি মসজিদ সহ শত শত একর ফসলী জমি। ২০১৩ সালের ইটভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। কিন্তু এই আইন অমান্য করে নির্মাণ করেছে এই ইটভাটা দুটি। ফলে এ ইট ভাটা হওয়ায় এক দিকে যেমন শত শত একর জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে অন্য দিকে ভাটার কালো ধোয়ায় ও ধূলাবালিতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। উলাকোল গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই বলেন, ইটভাটার পাশেই আমার ধানী জমি রয়েছে। ভাটা হওয়ার আগে বিঘা প্রতি ১৮/২০ মণ ধান উৎপাদন হতো। এখন ১০/১১ মণ ধান হচ্ছে। যা বিগত দিনের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ভাটাটি পাশের এ সমস্ত শত শত একর ধানী জমির ফসল উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হলে ইটভাটা দুটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। স্থানীয় ভাবে ভাটা নির্মাণে বাধা দিয়ে কোন ফল না হওয়ায় জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃ পক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। এ ব্যপারে কিং ব্রিকস্ এর  সাখাওয়াত হোসেনের কাছে তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যদের ইটভাটা চললে আমার টাও চলবে বলে ফোন রেখে দেয়।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

ঝিকরগাছার শংকরপুর মাঠে অবৈধ ভাবে নির্মাণ হয়েছে দু,দুটি ইটের ভাটা

আপডেট সময় : ০৫:১০:৫৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৭ মার্চ ২০১৮
এবিএস রনি, যশোর: বাগআঁচড়া -বাঁকড়া সড়কের শংকরপুর  মাঠে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে কিং ব্রিকস ও জেবি ব্রিকস নামের দুটি ভাটা। যার পাশেই রয়েছে ২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টি মাধ্যামিক বিদ্যালয়, ৪ টি মসজিদ ও ১ টি মাদরাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে শত শত একর ফসলী জমি। এই ইট ভাটা হওয়ায় এ সকল জমিতে বিগত বছর যে ফসল উৎপাদন হত তার অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে এ ইট ভাটা হওয়ায় এক দিকে যেমন শত শত একর জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে অন্য দিকে ভাটার কালো ধোয়ায় ও ধূলাবালিতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। জানাগেছে, সম্প্রতি ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের নায়ড়া-উলাকোল গ্রামের মাঠে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে উপজেলার রাজবাড়িয়া গ্রামের জনৈক সাখাওয়াত হোসেন ও কুলবাড়ীয়া গ্রামের জনৈক আব্দুর রহমান আইন অমান্য করে অবৈধ ভাবে কিং ব্রিকস্ ও জেবি ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা নির্মাণ করেছে। নির্মাণাধীন এ দুটি  ব্রিকস্ এর পাশেই রয়েছে উলাকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উলাকোল আলিম মাদরাসা, নায়ড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নায়ড়া মাধ্যামিক বিদ্যালয়। এ ছাড়াও রয়েছে ৪ টি মসজিদ সহ শত শত একর ফসলী জমি। ২০১৩ সালের ইটভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। কিন্তু এই আইন অমান্য করে নির্মাণ করেছে এই ইটভাটা দুটি। ফলে এ ইট ভাটা হওয়ায় এক দিকে যেমন শত শত একর জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে অন্য দিকে ভাটার কালো ধোয়ায় ও ধূলাবালিতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। উলাকোল গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই বলেন, ইটভাটার পাশেই আমার ধানী জমি রয়েছে। ভাটা হওয়ার আগে বিঘা প্রতি ১৮/২০ মণ ধান উৎপাদন হতো। এখন ১০/১১ মণ ধান হচ্ছে। যা বিগত দিনের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ভাটাটি পাশের এ সমস্ত শত শত একর ধানী জমির ফসল উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হলে ইটভাটা দুটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। স্থানীয় ভাবে ভাটা নির্মাণে বাধা দিয়ে কোন ফল না হওয়ায় জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃ পক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। এ ব্যপারে কিং ব্রিকস্ এর  সাখাওয়াত হোসেনের কাছে তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যদের ইটভাটা চললে আমার টাও চলবে বলে ফোন রেখে দেয়।