মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

ঝিকরগাছার শংকরপুর মাঠে অবৈধ ভাবে নির্মাণ হয়েছে দু,দুটি ইটের ভাটা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:১০:৫৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৭ মার্চ ২০১৮
  • ৭৬৭ বার পড়া হয়েছে
এবিএস রনি, যশোর: বাগআঁচড়া -বাঁকড়া সড়কের শংকরপুর  মাঠে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে কিং ব্রিকস ও জেবি ব্রিকস নামের দুটি ভাটা। যার পাশেই রয়েছে ২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টি মাধ্যামিক বিদ্যালয়, ৪ টি মসজিদ ও ১ টি মাদরাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে শত শত একর ফসলী জমি। এই ইট ভাটা হওয়ায় এ সকল জমিতে বিগত বছর যে ফসল উৎপাদন হত তার অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে এ ইট ভাটা হওয়ায় এক দিকে যেমন শত শত একর জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে অন্য দিকে ভাটার কালো ধোয়ায় ও ধূলাবালিতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। জানাগেছে, সম্প্রতি ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের নায়ড়া-উলাকোল গ্রামের মাঠে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে উপজেলার রাজবাড়িয়া গ্রামের জনৈক সাখাওয়াত হোসেন ও কুলবাড়ীয়া গ্রামের জনৈক আব্দুর রহমান আইন অমান্য করে অবৈধ ভাবে কিং ব্রিকস্ ও জেবি ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা নির্মাণ করেছে। নির্মাণাধীন এ দুটি  ব্রিকস্ এর পাশেই রয়েছে উলাকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উলাকোল আলিম মাদরাসা, নায়ড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নায়ড়া মাধ্যামিক বিদ্যালয়। এ ছাড়াও রয়েছে ৪ টি মসজিদ সহ শত শত একর ফসলী জমি। ২০১৩ সালের ইটভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। কিন্তু এই আইন অমান্য করে নির্মাণ করেছে এই ইটভাটা দুটি। ফলে এ ইট ভাটা হওয়ায় এক দিকে যেমন শত শত একর জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে অন্য দিকে ভাটার কালো ধোয়ায় ও ধূলাবালিতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। উলাকোল গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই বলেন, ইটভাটার পাশেই আমার ধানী জমি রয়েছে। ভাটা হওয়ার আগে বিঘা প্রতি ১৮/২০ মণ ধান উৎপাদন হতো। এখন ১০/১১ মণ ধান হচ্ছে। যা বিগত দিনের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ভাটাটি পাশের এ সমস্ত শত শত একর ধানী জমির ফসল উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হলে ইটভাটা দুটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। স্থানীয় ভাবে ভাটা নির্মাণে বাধা দিয়ে কোন ফল না হওয়ায় জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃ পক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। এ ব্যপারে কিং ব্রিকস্ এর  সাখাওয়াত হোসেনের কাছে তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যদের ইটভাটা চললে আমার টাও চলবে বলে ফোন রেখে দেয়।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

ঝিকরগাছার শংকরপুর মাঠে অবৈধ ভাবে নির্মাণ হয়েছে দু,দুটি ইটের ভাটা

আপডেট সময় : ০৫:১০:৫৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৭ মার্চ ২০১৮
এবিএস রনি, যশোর: বাগআঁচড়া -বাঁকড়া সড়কের শংকরপুর  মাঠে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে কিং ব্রিকস ও জেবি ব্রিকস নামের দুটি ভাটা। যার পাশেই রয়েছে ২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টি মাধ্যামিক বিদ্যালয়, ৪ টি মসজিদ ও ১ টি মাদরাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে শত শত একর ফসলী জমি। এই ইট ভাটা হওয়ায় এ সকল জমিতে বিগত বছর যে ফসল উৎপাদন হত তার অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে এ ইট ভাটা হওয়ায় এক দিকে যেমন শত শত একর জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে অন্য দিকে ভাটার কালো ধোয়ায় ও ধূলাবালিতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। জানাগেছে, সম্প্রতি ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের নায়ড়া-উলাকোল গ্রামের মাঠে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে উপজেলার রাজবাড়িয়া গ্রামের জনৈক সাখাওয়াত হোসেন ও কুলবাড়ীয়া গ্রামের জনৈক আব্দুর রহমান আইন অমান্য করে অবৈধ ভাবে কিং ব্রিকস্ ও জেবি ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা নির্মাণ করেছে। নির্মাণাধীন এ দুটি  ব্রিকস্ এর পাশেই রয়েছে উলাকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উলাকোল আলিম মাদরাসা, নায়ড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নায়ড়া মাধ্যামিক বিদ্যালয়। এ ছাড়াও রয়েছে ৪ টি মসজিদ সহ শত শত একর ফসলী জমি। ২০১৩ সালের ইটভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। কিন্তু এই আইন অমান্য করে নির্মাণ করেছে এই ইটভাটা দুটি। ফলে এ ইট ভাটা হওয়ায় এক দিকে যেমন শত শত একর জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে অন্য দিকে ভাটার কালো ধোয়ায় ও ধূলাবালিতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। উলাকোল গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই বলেন, ইটভাটার পাশেই আমার ধানী জমি রয়েছে। ভাটা হওয়ার আগে বিঘা প্রতি ১৮/২০ মণ ধান উৎপাদন হতো। এখন ১০/১১ মণ ধান হচ্ছে। যা বিগত দিনের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ভাটাটি পাশের এ সমস্ত শত শত একর ধানী জমির ফসল উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হলে ইটভাটা দুটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। স্থানীয় ভাবে ভাটা নির্মাণে বাধা দিয়ে কোন ফল না হওয়ায় জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃ পক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। এ ব্যপারে কিং ব্রিকস্ এর  সাখাওয়াত হোসেনের কাছে তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যদের ইটভাটা চললে আমার টাও চলবে বলে ফোন রেখে দেয়।