জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নে আ.লীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখের শক্ত পদক্ষেপে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এসময় উভয় গ্রুপের অন্তত ২৫টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। শনিবার সকাল ৮টার দিকে ওই ইউনিয়নের শীতারামপুর, পরানপুর ও চন্দ্রযানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলা হরিশংকরপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুম এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদের বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকালে শীতারামপুর গ্রামে চায়ের দোকানে চা পানকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের দুইজন সমর্থকের বাক-বিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সেসময় পার্শ্ববর্তী পরানপুর ও চন্দ্রযানী গ্রামেও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয় এবং ২৫টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।