মোঃ ফরিদ উদ্দিন, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামা উপজেলায় “ফার্স্ট এইড ফাউন্ডেশন” নামে একটি বে-সরকারী সংস্থা উন্নয়নের আড়ালে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংস্থাটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন কাজ করার কথা বলে অন্তরালে ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা। তবে সংস্থাটি পাহাড়ে কাজ করার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন অবগত নয় বলে জানায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু।
সরজমিনে উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, সংস্থাটি স্থানীয় জন-প্রতিনিধিদের সহায়তায় বিভিন্ন উপজাতি পাড়া পাড়া গিয়ে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ও শীতবস্ত্র বিতরণ সহ নানান উন্নয়ন কাজ করছে। তাদের এই উন্নয়ন কার্যক্রম শুধুমাত্র পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মাঝে সীমাবদ্ধ রাখায় স্থানীয় অউপজাতিদের মাঝে চরম ক্ষোভ, উত্তেজনা ও হতাশা বিরাজ করছে এবং অত্র এলাকার বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী মনে করছে বর্তমান সরকার শুধুমাত্র উপজাতি নিয়ে কাজ করছে। এতে করে ভিন্ন রাজনীতি দলগুলো স্থানীয় সাধারণ জনসাধারণের এই ধারনাকে পুঁজি করে আগামী সংসদ নির্বাচনে তাদের ভোট নিজেদের দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়া সংস্থাটি উপজাতি পাড়া গুলোতে গোপন বৈঠক করছে যাতে অন্য কোন সম্প্রদায়ের লোকজনকে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়না। ফার্স্ট এইড ফাউন্ডেশনের একপেশী উন্নয়নের কারণে সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে বড় ধরনের মাসুল দিতে হবে জানায় সচেতন মহল।
এই বিষয়ে গজালিয়া ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মিজান জানান, এই ইউনিয়নে ৫ ও ১ নং ওয়ার্ডে সংখ্যাগরিষ্ট বাঙ্গালীদের বসবাস। অন্য ওয়ার্ডে থাকলেও তা সংখ্যায় অনেক কম। আমার ওয়ার্ডের কাউকে ফার্স্ট এইড ফাউন্ডেশন হতে কোন প্রকার উন্নয়ন সামগ্রী দেয়া হয়নি। তাদের উন্নয়ন কার্যক্রম শুধু উপজাতিদের মধ্য সীমাবদ্ধ। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় জনসাধারণের মাঝে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে।
গজালিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সাপমারাঝিরি গ্রামের বাসিন্দা মো. শফিকুল ইসলাম, মো. নবী, মনোয়ারা বেগম ও শামসুন্নাহার বেগম সহ অনেকে জানান, আমাদের এলাকায় কাউকে ফার্ষ্ট এইড ফাউন্ডেশন তাদের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করেনি। তারা শুধু উপজাতি পাড়ায় কাজ করে। আমাদের ওয়ার্ডে মিনঝিরি মার্মা পাড়ায় তারা উন্নয়ন সামগ্রী বিতরণ করেছে।
পক্ষপাতিত্ব উন্নয়নের বিষয়ে জানতে ফার্স্ট এইড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা তাপস এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা না পাওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।