শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

ফের ব্লু হোয়েল’র ফাঁদে প্রাণ গেল যুবকের !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:৪০ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৭
  • ৭৭০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ভারতের কাটোয়ায় ফের ব্লু হোয়েল’র ফাঁদে প্রাণ গেল এক যুবকের। মৃতদেহের পাশে মিলল সূচ।
নিহতের বাঁ হাতে একাধিকবার সূচ ফোটানোর চিহ্নও রয়েছে। জানা যায়, দু’বছর আগে মাধ্যমিকে ফেল করার পর পড়াশোনা ছেড়ে দেয় বছর উনিশের সৌরভ চিত্রকর। বাবা জয়দেব চিত্রকরকে ব্যবসার কাজে সাহায্য করত সে।

নিহতের পরিবারের দাবি, শনিবার নির্দিষ্ট সময়ের পরেও ঘুম থেকে না ওঠায় সৌরভকে ডাকতে যায় মা। কিন্তু ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি! ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় যুবকের মৃতদেহ!
নিহতের যুবকের প্রতিবেশীরা বলেন, জানলা দিয়ে দেখতে পাচ্ছি, ভিতরে পড়ে রয়েছে। সাড়া দিচ্ছে না। দরজা ভাঙলাম। ভিতরে ঢুকলাম। ব্যাঙের মতো পড়ে।
দেখলাম হাতে ফুটো ফুটো দাগ। পাশে সূচ পড়ে আছে। আত্মীয়দের বক্তব্য, বেশিরভাগ সময়তেই স্মার্টফোনে গেম খেলতেন সৌরভ। তখন কেউ কিছু আঁচ করতে না পারলেও, এখন পরিজন ও প্রতিবেশীদের দাবি, নীল তিমি ফাঁদে পড়েই অকালে ঝড়ে গেল যুবকের প্রাণ।
কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল যুবকের?
পুলিশ সূত্র ও ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সৌরভের বাঁ হাতে সূচ দিয়ে বিদ্ধ করার দাগ ছিল। বাঁ হাতে সূচ ফুটিয়ে ফুটিয়ে রেখাচিত্র করার দাগ স্পষ্ট। পায়ে ও বগলেও সূচ ফোটানোর দাগ। রক্তের দাগ ছিল। চিকিৎসকদের বক্তব্য, বগল দিয়ে ঢোকানো সূচই হৃদপিণ্ডে ঢুকে যায়, তার জেরে রক্তক্ষরণ, মৃত্যু।
দেশটির পুলিশ সূত্রে দাবি, এখনও সৌরভের মোবাইল ফোনের প্যাটার্ন লক খোলা যায়নি। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। কথা বলা হচ্ছে যুবকের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গেও। তবে তদন্তকারীরা একপ্রকার নিশ্চিত, সূচ দিয়ে প্রতিদিন একটু একটু করে সৌরভ নিজের হাতে কিছু একটা আঁকছিলেন! যে অবয়ব পাওয়া গিয়েছে, বাঁ হাতের কনুই ও কব্জির মাঝে!
নিহত যুবকের দাদি বলেন, ব্লু হোয়েল খেলতে গিয়ে ও শেষ হয়ে গেল। দাদা-বউদির কোল খালি হল। যেন আর কারও না হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

ফের ব্লু হোয়েল’র ফাঁদে প্রাণ গেল যুবকের !

আপডেট সময় : ১১:৩১:৪০ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ভারতের কাটোয়ায় ফের ব্লু হোয়েল’র ফাঁদে প্রাণ গেল এক যুবকের। মৃতদেহের পাশে মিলল সূচ।
নিহতের বাঁ হাতে একাধিকবার সূচ ফোটানোর চিহ্নও রয়েছে। জানা যায়, দু’বছর আগে মাধ্যমিকে ফেল করার পর পড়াশোনা ছেড়ে দেয় বছর উনিশের সৌরভ চিত্রকর। বাবা জয়দেব চিত্রকরকে ব্যবসার কাজে সাহায্য করত সে।

নিহতের পরিবারের দাবি, শনিবার নির্দিষ্ট সময়ের পরেও ঘুম থেকে না ওঠায় সৌরভকে ডাকতে যায় মা। কিন্তু ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি! ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় যুবকের মৃতদেহ!
নিহতের যুবকের প্রতিবেশীরা বলেন, জানলা দিয়ে দেখতে পাচ্ছি, ভিতরে পড়ে রয়েছে। সাড়া দিচ্ছে না। দরজা ভাঙলাম। ভিতরে ঢুকলাম। ব্যাঙের মতো পড়ে।
দেখলাম হাতে ফুটো ফুটো দাগ। পাশে সূচ পড়ে আছে। আত্মীয়দের বক্তব্য, বেশিরভাগ সময়তেই স্মার্টফোনে গেম খেলতেন সৌরভ। তখন কেউ কিছু আঁচ করতে না পারলেও, এখন পরিজন ও প্রতিবেশীদের দাবি, নীল তিমি ফাঁদে পড়েই অকালে ঝড়ে গেল যুবকের প্রাণ।
কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল যুবকের?
পুলিশ সূত্র ও ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সৌরভের বাঁ হাতে সূচ দিয়ে বিদ্ধ করার দাগ ছিল। বাঁ হাতে সূচ ফুটিয়ে ফুটিয়ে রেখাচিত্র করার দাগ স্পষ্ট। পায়ে ও বগলেও সূচ ফোটানোর দাগ। রক্তের দাগ ছিল। চিকিৎসকদের বক্তব্য, বগল দিয়ে ঢোকানো সূচই হৃদপিণ্ডে ঢুকে যায়, তার জেরে রক্তক্ষরণ, মৃত্যু।
দেশটির পুলিশ সূত্রে দাবি, এখনও সৌরভের মোবাইল ফোনের প্যাটার্ন লক খোলা যায়নি। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। কথা বলা হচ্ছে যুবকের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গেও। তবে তদন্তকারীরা একপ্রকার নিশ্চিত, সূচ দিয়ে প্রতিদিন একটু একটু করে সৌরভ নিজের হাতে কিছু একটা আঁকছিলেন! যে অবয়ব পাওয়া গিয়েছে, বাঁ হাতের কনুই ও কব্জির মাঝে!
নিহত যুবকের দাদি বলেন, ব্লু হোয়েল খেলতে গিয়ে ও শেষ হয়ে গেল। দাদা-বউদির কোল খালি হল। যেন আর কারও না হয়।