শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

১৬০০ ফুট সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:০৪:৩৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সফল হলে এটাই নাকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাকাতি হতে পারত। গ্রামবাংলায় ছোটখাটো সিঁধ কেটে ঘটি-বাটি চুরি হয় হামেশাই।
বাড়ির ছাগল, মুরগি বড় জোর পুঁটলিতে বাঁধা কন্যাদায়গ্রস্ত গয়নাগাটি চুরি হতে দেখা যায়। সাধারণত এসব কাণ্ড ছিঁচকে চোররাই ঘটিয়ে থাকে। কিন্তু ইট-কাঠ-পাথরের শহরে সিঁধ কাটা সম্ভব নয়। তা বলে কী ঢেঁকি ধান ভাঙবে না!

বাস্তবে হলও তাই, কংক্রিটে কেরামতি দেখিয়ে ব্রাজিলের সাও পাওলোর একদল ডাকাত বিশাল সুড়ঙ্গ বানিয়ে ব্যাঙ্ক ডাকাতির পরিকল্পনা করে ফেলল। কিন্তু তীরে এসে ডুবল তরী। ডাকাতি করতে পারল না তারা। বরং ধরা পড়ে গেল ডাকাতেরা।

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ওই চোরদেরকে ধরে পুলিশ যত না উচ্ছ্বসিত, তার থেকে বেশি অবাক হয়েছে তাদের কর্মযজ্ঞ দেখে। কারণ, এই মেগা ডাকাতি সফল হলে ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ২৪ কোটি ইউরো হাতাতে পারত ওই ডাকাত দল।
কিন্তু শেষ অবধি বিধি বাম।

দক্ষিণ সাও পাওলো ব্রাজিলের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসাবে পরিচিত। এখানেই রয়েছে দেশের সব বড় বড় ব্যাঙ্কের প্রধান অফিস। ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ব্যাংক বস্কো দ্য ব্রাজিল (ব্যাংক অব ব্রাজিল)-এর অফিসও এখানেই। আর সেই ব্যাংকের ভাণ্ডার লুঠ করার পরিকল্পনা করে ১৬ জনের একটি ডাকাত গ্যাং।

একটি ভাড়া বাড়ি থেকে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু করে ডাকাতেরা। ব্যাংক পর্যন্ত ১৬৪০ ফুট লম্বা সুড়ঙ্গ তৈরিও করে ফেলে তারা। কাঁচা হাতের কাজ ভাবলে ভুল হবে! কারণ, লোহার রড, কাঠ দিয়ে বেশ পোক্তভাবেই তৈরি হয়েছে পাতালপথ। শুধু যে পোক্ত নির্মাণ তাই নয়, এই গুপ্ত পথে রয়েছে পাখার হাওয়ার সুবন্দোবস্ত।

ব্রাজিলের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবো ডট কম জানাচ্ছে, সুড়ঙ্গের ভিতর পূর্ণবয়স্ক একটি মানুষ অনায়াসে দাঁড়াতে পারবে। সাও পাওলোর পুলিস তদন্ত করে জানতে পেরেছে, এই সুড়ঙ্গ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৯,৫৮,৮০৮ ইউরো। গ্যাংয়ের প্রত্যেক সদস্য ৪৭,৯৪০ ইউরো বিনিয়োগ করেছে। ১৬ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি হাঁফ ছেড়ে তাঁরা জানিয়েছেন, ধরা না পড়লে এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাকাতি হতে পারত !

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

১৬০০ ফুট সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টা !

আপডেট সময় : ০১:০৪:৩৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সফল হলে এটাই নাকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাকাতি হতে পারত। গ্রামবাংলায় ছোটখাটো সিঁধ কেটে ঘটি-বাটি চুরি হয় হামেশাই।
বাড়ির ছাগল, মুরগি বড় জোর পুঁটলিতে বাঁধা কন্যাদায়গ্রস্ত গয়নাগাটি চুরি হতে দেখা যায়। সাধারণত এসব কাণ্ড ছিঁচকে চোররাই ঘটিয়ে থাকে। কিন্তু ইট-কাঠ-পাথরের শহরে সিঁধ কাটা সম্ভব নয়। তা বলে কী ঢেঁকি ধান ভাঙবে না!

বাস্তবে হলও তাই, কংক্রিটে কেরামতি দেখিয়ে ব্রাজিলের সাও পাওলোর একদল ডাকাত বিশাল সুড়ঙ্গ বানিয়ে ব্যাঙ্ক ডাকাতির পরিকল্পনা করে ফেলল। কিন্তু তীরে এসে ডুবল তরী। ডাকাতি করতে পারল না তারা। বরং ধরা পড়ে গেল ডাকাতেরা।

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ওই চোরদেরকে ধরে পুলিশ যত না উচ্ছ্বসিত, তার থেকে বেশি অবাক হয়েছে তাদের কর্মযজ্ঞ দেখে। কারণ, এই মেগা ডাকাতি সফল হলে ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ২৪ কোটি ইউরো হাতাতে পারত ওই ডাকাত দল।
কিন্তু শেষ অবধি বিধি বাম।

দক্ষিণ সাও পাওলো ব্রাজিলের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসাবে পরিচিত। এখানেই রয়েছে দেশের সব বড় বড় ব্যাঙ্কের প্রধান অফিস। ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ব্যাংক বস্কো দ্য ব্রাজিল (ব্যাংক অব ব্রাজিল)-এর অফিসও এখানেই। আর সেই ব্যাংকের ভাণ্ডার লুঠ করার পরিকল্পনা করে ১৬ জনের একটি ডাকাত গ্যাং।

একটি ভাড়া বাড়ি থেকে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু করে ডাকাতেরা। ব্যাংক পর্যন্ত ১৬৪০ ফুট লম্বা সুড়ঙ্গ তৈরিও করে ফেলে তারা। কাঁচা হাতের কাজ ভাবলে ভুল হবে! কারণ, লোহার রড, কাঠ দিয়ে বেশ পোক্তভাবেই তৈরি হয়েছে পাতালপথ। শুধু যে পোক্ত নির্মাণ তাই নয়, এই গুপ্ত পথে রয়েছে পাখার হাওয়ার সুবন্দোবস্ত।

ব্রাজিলের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবো ডট কম জানাচ্ছে, সুড়ঙ্গের ভিতর পূর্ণবয়স্ক একটি মানুষ অনায়াসে দাঁড়াতে পারবে। সাও পাওলোর পুলিস তদন্ত করে জানতে পেরেছে, এই সুড়ঙ্গ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৯,৫৮,৮০৮ ইউরো। গ্যাংয়ের প্রত্যেক সদস্য ৪৭,৯৪০ ইউরো বিনিয়োগ করেছে। ১৬ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি হাঁফ ছেড়ে তাঁরা জানিয়েছেন, ধরা না পড়লে এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাকাতি হতে পারত !