নিউজ ডেস্ক:
অসহ্য যন্ত্রণায় নুইয়ে পড়ছিল শরীর। ছটফট করছিলেন ভদ্রলোক।
মধ্যরাতে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হল তাঁকে। চিকিৎসকরা প্রথমেই এক্স রে করেন। আর তার পরেই চোখ ছানাবড়া! ভদ্রলোকের অ্যানাস অর্থাৎ পশ্চাদ্দেশে খুব বিপজ্জনক ভাবে আটকে রয়েছে একটি কাচের গ্লাস।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূ্ত্রে জানা যায়, দক্ষিণ চীনের গুয়াংঝাউ প্রদেশের এই ভদ্রলোকের পশ্চাদ্দেশের অত্যন্ত বিপজ্জনক জায়গায় আটকে থাকা গ্লাসটি কাচের। ফলে অপারেশন করলেও ভদ্রলোককে আদৌ বাঁচানো যাবে কি না, সে বিষয়ে সন্দিহান ছিলেন চিকিৎসকরা। কারণ, যেকোন সময়েই ওই কাচ ভেঙে গেলে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে শরীরে অভ্যন্তর। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটবে মৃত্যু।
প্রথমেই চিকিৎসকরা তাই চেষ্টা করেছিলেন সন্তর্পণে গ্লাসটা বের করে আনতে। তাই প্রয়োজনীয় ড্রাগ দিয়ে ভদ্রলোকের স্নায়ুকে শান্ত করে রাখাটাই প্রাথমিকভাবে জরুরি বলে ধরে নেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও নিশ্চিন্ত হওয়া যায়নি। কেননা গ্লাসটি কাচের। যেকোন সময়ই সেটা ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিটা এড়ানো যাচ্ছিল না। অতএব সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন তারা। তারা ওপেন সার্জারি করার কথা ভাবেন। শেষ পর্যন্ত তাই হয়। বিপন্মুক্তি ঘটে ভদ্রলোকের। তবে এর পরেও ভদ্রলোককে ছেড়ে দেয়নি হাসপাতাল। তাকে ভাল করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তার পর আস্তে আস্তে তিনি সামলে উঠলে তবে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। তবে জানা যায়নি, কী করে ওই গ্লাস ওই জায়গায় গেল। ভদ্রলোক সে কথা বলতে চাননি চিকিৎসকদের।
সূত্র: এবেলা।