শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

বয়সে স্বামী থেকে স্ত্রী বড় হলে সমস্যা বাড়ে!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:১৫ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৮২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অসম বয়সের সম্পর্ক আমাদের সমাজে স্বীকৃত। সেক্ষেত্রে পুরুষকে হতে হবে বড়, আর মেয়ে হবে ছোট। উল্টোটা হলে সমাজ ও পরিবার সহজে মেনে নিতে চায় না। এছাড়া নানা সমস্যা রয়েছে। সেটা শারীরিক এবং মানসিক। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এমন বিয়ের ফলে কী কী সমস্যায় পড়তে হয়—

লোকনিন্দা : 
স্ত্রী যখন বয়সে বড় হন, তখন প্রথমেই যে বিষয়টির মুখোমুখি হতে হয় সেটি হল লোকজনের নিন্দা। স্বামী-স্ত্রীর দিকে বাঁকা চোখে তাকান অনেকেই। কথা শুনতে হয় বন্ধুদের থেকেও। স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য নিয়ে অনেকে আড়ালে, এমনকি সামনাসামনিও ঠাট্টা করে থাকে।

পারিবারিক অসহযোগিতা : 
সঙ্গিনীর বেশি বয়স নিয়ে সবচেয়ে বেশি আপত্তি আসে পরিবার থেকে। খুব কম পরিবারই রয়েছে যেখানে এমন বিয়ে সহজেই গ্রহণ করা হয়।

বয়সের ছাপ : 
স্ত্রী যখন স্বামীর চেয়ে বয়সে বড় হবেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রীর চেহারায় বয়সের ছাপ আগে পড়বে। অনেক পুরুষই তখন স্ত্রীকে অন্যের সঙ্গে পরিচয় করাতে সঙ্কোচবোধ করেন। আবার অনেক স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে বের হতে চান না। পরস্পরের মধ্য একটা দূরত্ব তৈরি হয়।

মানসিক চাপ : 
স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বয়স বেশি হলে যেসব পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা তৈরি হয়, তা মনের উপরে চাপ সৃষ্টি করে। নারী-মনে তা বেশি প্রভাব ফেলে। এর জেরে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়।

যৌনজীবনে সমস্যা : 
স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বয়স খুব বেশি হলে একটা সময়ে যৌনজীবনে সমস্যা তৈরি হয়। কারণ নারী ও পুরুষের শারীরিক ক্ষমতা ও চাহিদা এক রকম হয় না। নারীর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক চাহিদা দিন দিন কমে আর পুরুষের শারীরিক চাহিদা অনেক বয়স পর্যন্ত বজায় থাকে।

গর্ভধারণে সমস্যা : 
সাধারণত ৩৫ বছরের পরেই গর্ভধারণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। স্বামীর বয়স খুব কম হলে সে সন্তানের জন্য অপেক্ষা করতেই পারে। কিন্তু বয়স্কা স্ত্রীর পক্ষে সন্তানের জন্য বেশি দিন অপেক্ষা করা নিরাপদ নয়।

বোঝাপড়ার সমস্যা : 
মনস্তাত্বিকরা বলেন, সমবয়সি দু’জন ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে মেয়ের মানসিক বয়স ছেলের তুলনায় দু’বছরের বেশি হয়। স্বামীর তুলনায় স্ত্রীর বয়স বেশি হলে মানসিক বয়সের পার্থক্য আরও বেশি হবে। এই মানসিক বয়সের পার্থক্যের কারণে বোঝাপড়ার অভাব হওয়াটা স্বাভাবিক। অনেক সময়ে স্ত্রী বেশি অভিজ্ঞ হওয়ায় স্বামীর মনে হতে পারে সেই কর্তৃত্ব করছে। এমন অনেক সমস্যাই রয়েছে। আবার এই সমাজে এমন অনেক উদাহরণও আছে যেখানে বয়সের এই ফারাক কোন সমস্যাই তৈরি করেনি। পরস্পরের বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে ছোট বর আর বড় বউ দিব্যি সুখে ঘর-সংসার করছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

বয়সে স্বামী থেকে স্ত্রী বড় হলে সমস্যা বাড়ে!

আপডেট সময় : ১২:৪৭:১৫ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

অসম বয়সের সম্পর্ক আমাদের সমাজে স্বীকৃত। সেক্ষেত্রে পুরুষকে হতে হবে বড়, আর মেয়ে হবে ছোট। উল্টোটা হলে সমাজ ও পরিবার সহজে মেনে নিতে চায় না। এছাড়া নানা সমস্যা রয়েছে। সেটা শারীরিক এবং মানসিক। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এমন বিয়ের ফলে কী কী সমস্যায় পড়তে হয়—

লোকনিন্দা : 
স্ত্রী যখন বয়সে বড় হন, তখন প্রথমেই যে বিষয়টির মুখোমুখি হতে হয় সেটি হল লোকজনের নিন্দা। স্বামী-স্ত্রীর দিকে বাঁকা চোখে তাকান অনেকেই। কথা শুনতে হয় বন্ধুদের থেকেও। স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য নিয়ে অনেকে আড়ালে, এমনকি সামনাসামনিও ঠাট্টা করে থাকে।

পারিবারিক অসহযোগিতা : 
সঙ্গিনীর বেশি বয়স নিয়ে সবচেয়ে বেশি আপত্তি আসে পরিবার থেকে। খুব কম পরিবারই রয়েছে যেখানে এমন বিয়ে সহজেই গ্রহণ করা হয়।

বয়সের ছাপ : 
স্ত্রী যখন স্বামীর চেয়ে বয়সে বড় হবেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রীর চেহারায় বয়সের ছাপ আগে পড়বে। অনেক পুরুষই তখন স্ত্রীকে অন্যের সঙ্গে পরিচয় করাতে সঙ্কোচবোধ করেন। আবার অনেক স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে বের হতে চান না। পরস্পরের মধ্য একটা দূরত্ব তৈরি হয়।

মানসিক চাপ : 
স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বয়স বেশি হলে যেসব পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা তৈরি হয়, তা মনের উপরে চাপ সৃষ্টি করে। নারী-মনে তা বেশি প্রভাব ফেলে। এর জেরে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়।

যৌনজীবনে সমস্যা : 
স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বয়স খুব বেশি হলে একটা সময়ে যৌনজীবনে সমস্যা তৈরি হয়। কারণ নারী ও পুরুষের শারীরিক ক্ষমতা ও চাহিদা এক রকম হয় না। নারীর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক চাহিদা দিন দিন কমে আর পুরুষের শারীরিক চাহিদা অনেক বয়স পর্যন্ত বজায় থাকে।

গর্ভধারণে সমস্যা : 
সাধারণত ৩৫ বছরের পরেই গর্ভধারণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। স্বামীর বয়স খুব কম হলে সে সন্তানের জন্য অপেক্ষা করতেই পারে। কিন্তু বয়স্কা স্ত্রীর পক্ষে সন্তানের জন্য বেশি দিন অপেক্ষা করা নিরাপদ নয়।

বোঝাপড়ার সমস্যা : 
মনস্তাত্বিকরা বলেন, সমবয়সি দু’জন ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে মেয়ের মানসিক বয়স ছেলের তুলনায় দু’বছরের বেশি হয়। স্বামীর তুলনায় স্ত্রীর বয়স বেশি হলে মানসিক বয়সের পার্থক্য আরও বেশি হবে। এই মানসিক বয়সের পার্থক্যের কারণে বোঝাপড়ার অভাব হওয়াটা স্বাভাবিক। অনেক সময়ে স্ত্রী বেশি অভিজ্ঞ হওয়ায় স্বামীর মনে হতে পারে সেই কর্তৃত্ব করছে। এমন অনেক সমস্যাই রয়েছে। আবার এই সমাজে এমন অনেক উদাহরণও আছে যেখানে বয়সের এই ফারাক কোন সমস্যাই তৈরি করেনি। পরস্পরের বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে ছোট বর আর বড় বউ দিব্যি সুখে ঘর-সংসার করছেন।