শিরোনাম :
Logo রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল Logo আমরণ অনশনে বসেছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবি

শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়াম ঠিক রাখবেন যেভাবে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:৩১:৩৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০১৭
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পানি খাওয়ার উপর নির্ভর করে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা। ভারসাম্যের তারতম্য হলেই কোমা, খিঁচুনি পর্যন্ত হতে পারে। মেশিনের মতো ছুটে চলা শরীরে শক্তি জোগাচ্ছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল। যা স্বাভাবিক নিয়মেই শরীর তৈরি করে নেয়। হঠাৎ করেই এগুলির মাত্রার অসামঞ্জস্যতায় থমকে যেতে পারে জীবনের গাড়ি।

মিনারেলের অভাব হলে তা নিমিষেই বোঝা দরকার। মাত্রা বজায় রাখতে ঠিকঠাক খাদ্যাভাস মেনে চলতে হবে। অবহেলা নয়। হঠাৎ সোডিয়াম পটাশিয়াম কমে যাওয়া কিন্তু জটিল রোগের কারণ।

সোডিয়াম কোষের মেমব্রেম ঠিকঠাক ভাবে তৈরি হতে সাহায্য করে। যদি মেমব্রেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা হলে কোষের ক্ষতি হয় মারাত্মক। তেমনই আমাদের বেঁচে থাকতে যে উপযুক্ত মিনারেল প্রয়োজন তা মেটায় পটাশিয়াম। রোজ ৭০-৮০ এম ই কিউ সোডিয়াম প্রয়োজন। সোডিয়াম রক্তে মেশে। বেশিমাত্রায় রক্তে থাকে। কোষের মধ্যে প্রবেশ করে খুব অল্প। পটাশিয়াম (রোজ ৬০ এমইকিউ) বেশি কোষের ভিতরে থাকে। রক্তে মেশে কম মাত্রায়। এই সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রার সামঞ্জস্যতাই কোষকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখে। বিশেষজ্ঞের কথায়, এই দুটি ছাড়া জীবন অচল।

স্বাভাবিক নিয়মে শরীর নিজের মতো কাজ করে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে। যখন অসুস্থতার কারণে অথবা অন্য শরীরিক সমস্যার জন্য সোডিয়ামের মাত্রার মধ্যে অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয় তখন জরুরি সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। নর্মাল ডায়েট মেনে চললেই শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিক থাকে। পর্যাপ্ত সবজি ও ফল খান। কলা, পেয়ারা, ডাবে বেশি মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে। সোডিয়াম সাধারণ সমস্ত খাবারের মধ্যেই যথেষ্ট থাকে। তবে শুধু নুন খেয়ে সোডিয়ামের অভাব মেটে এই ধারণা ভুল। এতে কিডনির ক্ষতি হয় মারাত্মক। রোজ তিন লিটার পানি খান। এর থেকে কম অথবা বেশি হলে পানির মাত্রা বেশি হয়ে সোডিয়াম পটাশিয়ামের অসামঞ্জস্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী

শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়াম ঠিক রাখবেন যেভাবে !

আপডেট সময় : ০৪:৩১:৩৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পানি খাওয়ার উপর নির্ভর করে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা। ভারসাম্যের তারতম্য হলেই কোমা, খিঁচুনি পর্যন্ত হতে পারে। মেশিনের মতো ছুটে চলা শরীরে শক্তি জোগাচ্ছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল। যা স্বাভাবিক নিয়মেই শরীর তৈরি করে নেয়। হঠাৎ করেই এগুলির মাত্রার অসামঞ্জস্যতায় থমকে যেতে পারে জীবনের গাড়ি।

মিনারেলের অভাব হলে তা নিমিষেই বোঝা দরকার। মাত্রা বজায় রাখতে ঠিকঠাক খাদ্যাভাস মেনে চলতে হবে। অবহেলা নয়। হঠাৎ সোডিয়াম পটাশিয়াম কমে যাওয়া কিন্তু জটিল রোগের কারণ।

সোডিয়াম কোষের মেমব্রেম ঠিকঠাক ভাবে তৈরি হতে সাহায্য করে। যদি মেমব্রেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা হলে কোষের ক্ষতি হয় মারাত্মক। তেমনই আমাদের বেঁচে থাকতে যে উপযুক্ত মিনারেল প্রয়োজন তা মেটায় পটাশিয়াম। রোজ ৭০-৮০ এম ই কিউ সোডিয়াম প্রয়োজন। সোডিয়াম রক্তে মেশে। বেশিমাত্রায় রক্তে থাকে। কোষের মধ্যে প্রবেশ করে খুব অল্প। পটাশিয়াম (রোজ ৬০ এমইকিউ) বেশি কোষের ভিতরে থাকে। রক্তে মেশে কম মাত্রায়। এই সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রার সামঞ্জস্যতাই কোষকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখে। বিশেষজ্ঞের কথায়, এই দুটি ছাড়া জীবন অচল।

স্বাভাবিক নিয়মে শরীর নিজের মতো কাজ করে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে। যখন অসুস্থতার কারণে অথবা অন্য শরীরিক সমস্যার জন্য সোডিয়ামের মাত্রার মধ্যে অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয় তখন জরুরি সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। নর্মাল ডায়েট মেনে চললেই শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিক থাকে। পর্যাপ্ত সবজি ও ফল খান। কলা, পেয়ারা, ডাবে বেশি মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে। সোডিয়াম সাধারণ সমস্ত খাবারের মধ্যেই যথেষ্ট থাকে। তবে শুধু নুন খেয়ে সোডিয়ামের অভাব মেটে এই ধারণা ভুল। এতে কিডনির ক্ষতি হয় মারাত্মক। রোজ তিন লিটার পানি খান। এর থেকে কম অথবা বেশি হলে পানির মাত্রা বেশি হয়ে সোডিয়াম পটাশিয়ামের অসামঞ্জস্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।