শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

একটি বোমা সরাতে অর্ধ-লক্ষাধিক লোককে উচ্ছেদ!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:০৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮১৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফেলা একটি বোমা নিষ্ক্রিয় করতে দক্ষিণ জার্মানির আউগসবুর্গ শহর থেকে অর্ধ-লক্ষাধিক বাসিন্দাকে জোরপূর্বক সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
আজ বড়দিন হলেও লোকজনকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে।
বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর অবিস্ফোরিত কোনো বোমার কারণে জার্মানিতে এর আগে কোনো শহর থেকে এতো লোকজনকে কখনোই সরিয়ে নেয়া হয়নি।
ব্রিটিশ এই বোমাটি ১ দশমিক ৮ টনের। ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৪৪ সালে বিমান হামলার সময় মিত্র বাহিনী জার্মানিতে এই বোমাটি ফেলেছিলো। ওই বিমান হামলায় পুরো শহরটি ধ্বংস হয়ে যায়।
ভবন নির্মাণের কাজ করার সময় এই বোমাটি পাওয়া গেছে।
পুলিশ বলছে, তারা নিশ্চিত করে জানে না এই বোমাটি নিষ্ক্রিয় করতে কতো সময় লাগতে পারে।
বিবিসির ইউরোপ বিষয়ক সম্পাদক মাইক স্যান্ডার্স বলছেন, শহর কর্তৃপক্ষ কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না। তাই তারা সব লোকজনকেই সেখান থেকে সরিয়ে নিচ্ছে।
বলা হচ্ছে, বোমাটি যেখানে পাওয়া গেছে তার দেড় কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত বাড়ি ঘর থেকে সবাইকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, বেশিরভাগ বাসিন্দাই তাদের আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের বাড়িতে অবস্থান করতে পারেন। তবে লোকজনের থাকার প্রয়োজন হলে তাদের জন্যে কয়েকটি স্কুল এবং স্পোর্টস হলও খুলে দেয়া হয়েছে।
সাংবাদিকরা বলছেন, এর কারণে বড়দিনের উৎসব যে পণ্ড হয়ে গেছে তা নয়। কারণ বেশিরভাগ জার্মানই বড়দিনের উপহার খোলা এবং খাওয়া দাওয়া আগের দিন অর্থাৎ ২৪শে ডিসেম্বরেই সেরে ফেলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আরো যেসব বোমা সম্প্রতি উদ্ধার করা হয়েছে
মে ২০১৫ : কোলন শহরে। ২০ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিলো। বোমাটি ছিলো এক টনের।
জানুয়ারি ২০১২ : অয়েসকিরশেনে। একজন নির্মাণ শ্রমিক খননকারী যন্ত্র দিয়ে অবিস্ফোরিত বোমায় আঘাত করলে তিনি নিহত হন।
ডিসেম্বর ২০১১ : কোবলেনৎস শহরে। ৪৫ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো। তখন রাইন নদীর তলদেশে দুটি বোমা পাওয়া যায়। নিষ্ক্রিয় করতে তিন ঘণ্টার মতো সময় লেগেছিলো।
জুন ২০১০: গোয়েটিংগেন শহরে। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের তিনজন সদস্য নিহত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

একটি বোমা সরাতে অর্ধ-লক্ষাধিক লোককে উচ্ছেদ!

আপডেট সময় : ১১:৪৪:০৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফেলা একটি বোমা নিষ্ক্রিয় করতে দক্ষিণ জার্মানির আউগসবুর্গ শহর থেকে অর্ধ-লক্ষাধিক বাসিন্দাকে জোরপূর্বক সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
আজ বড়দিন হলেও লোকজনকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে।
বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর অবিস্ফোরিত কোনো বোমার কারণে জার্মানিতে এর আগে কোনো শহর থেকে এতো লোকজনকে কখনোই সরিয়ে নেয়া হয়নি।
ব্রিটিশ এই বোমাটি ১ দশমিক ৮ টনের। ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৪৪ সালে বিমান হামলার সময় মিত্র বাহিনী জার্মানিতে এই বোমাটি ফেলেছিলো। ওই বিমান হামলায় পুরো শহরটি ধ্বংস হয়ে যায়।
ভবন নির্মাণের কাজ করার সময় এই বোমাটি পাওয়া গেছে।
পুলিশ বলছে, তারা নিশ্চিত করে জানে না এই বোমাটি নিষ্ক্রিয় করতে কতো সময় লাগতে পারে।
বিবিসির ইউরোপ বিষয়ক সম্পাদক মাইক স্যান্ডার্স বলছেন, শহর কর্তৃপক্ষ কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না। তাই তারা সব লোকজনকেই সেখান থেকে সরিয়ে নিচ্ছে।
বলা হচ্ছে, বোমাটি যেখানে পাওয়া গেছে তার দেড় কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত বাড়ি ঘর থেকে সবাইকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, বেশিরভাগ বাসিন্দাই তাদের আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের বাড়িতে অবস্থান করতে পারেন। তবে লোকজনের থাকার প্রয়োজন হলে তাদের জন্যে কয়েকটি স্কুল এবং স্পোর্টস হলও খুলে দেয়া হয়েছে।
সাংবাদিকরা বলছেন, এর কারণে বড়দিনের উৎসব যে পণ্ড হয়ে গেছে তা নয়। কারণ বেশিরভাগ জার্মানই বড়দিনের উপহার খোলা এবং খাওয়া দাওয়া আগের দিন অর্থাৎ ২৪শে ডিসেম্বরেই সেরে ফেলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আরো যেসব বোমা সম্প্রতি উদ্ধার করা হয়েছে
মে ২০১৫ : কোলন শহরে। ২০ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিলো। বোমাটি ছিলো এক টনের।
জানুয়ারি ২০১২ : অয়েসকিরশেনে। একজন নির্মাণ শ্রমিক খননকারী যন্ত্র দিয়ে অবিস্ফোরিত বোমায় আঘাত করলে তিনি নিহত হন।
ডিসেম্বর ২০১১ : কোবলেনৎস শহরে। ৪৫ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো। তখন রাইন নদীর তলদেশে দুটি বোমা পাওয়া যায়। নিষ্ক্রিয় করতে তিন ঘণ্টার মতো সময় লেগেছিলো।
জুন ২০১০: গোয়েটিংগেন শহরে। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের তিনজন সদস্য নিহত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে।