বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

গুলশানের বাড়ির ভাড়াটে দাবি করে মওদুদের মামলা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৩:০৩ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০১৭
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর গুলশানের বাড়ির ভাড়াটে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মামলা করেছেন। গতকাল বুধবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মওদুদ আহমদ নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় বিবাদী করা হয়েছে, করিম ফারনাজ সোলাইমান, রাজউক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঢাকা জেলা প্রশাসককে।

এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ সাংবাদিকদের জানান, মামলা গ্রহণ করে বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য বিবাদীদের প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। আগামী ১৯ জুলাই সমন ফেরতের জন্য দিন ধার্য কর হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮১ সালে মওদুদ আহমদের ভাই মনজুর আহমদ ভাড়াটে হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন। পরে মনজুর আহমদের কাছ থেকে ক্ষমতা নেন মওদুদ আহমদ। তখন থেকেই বাড়িটি তার দখলে। বাড়িটি ভাড়া নেওয়ার পর প্রায় দুই কোটি টাকার বেশি অর্থের উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ঢাকা জেলা প্রশাসন যাতে বাড়িটি দখল করতে না পারে, এ জন্য ওই বাড়ির ভাড়াটে হিসেবে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়েছে।

মামলার আরজিতে বলা হয়, পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান তৎকালীন বিআইটি বর্তমান রাজউকে অ্যালটমেন্ট বা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেন। বিআইটি মো. এহসানের স্ত্রী জার্মান নাগরিক ইনজি স্লাজের নামে বাড়িটি বরাদ্দ দেন। ১৯৮১ সালে গুলশানের ওই বাড়ির মালিক ইনজি স্লাজ প্রয়াত প্রধান বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরীকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (আমমোক্তারনামা) করে দেন। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষমতা ১৯৮৪ পর্যন্ত বহাল ছিল। এ মামলায় এহসান-ইনজি দম্পতির ছেলে করিম ফারনাজ সোলাইমান, রাজউক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে, গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ১৫৯ নম্বর প্লটের ওই বাড়িতে মওদুদ আহমদ বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু ওই বাড়ির দখল নেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে দুদক মামলা করলে চার বছর আগে আইনি লড়াই শুরু হয়। ওই মামলায় মওদুদ সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত গেলেও রায় তার বিপক্ষে যায়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করলেও গত রবিবার তা খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

গুলশানের বাড়ির ভাড়াটে দাবি করে মওদুদের মামলা !

আপডেট সময় : ০৯:৩৩:০৩ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর গুলশানের বাড়ির ভাড়াটে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মামলা করেছেন। গতকাল বুধবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মওদুদ আহমদ নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় বিবাদী করা হয়েছে, করিম ফারনাজ সোলাইমান, রাজউক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঢাকা জেলা প্রশাসককে।

এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ সাংবাদিকদের জানান, মামলা গ্রহণ করে বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য বিবাদীদের প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। আগামী ১৯ জুলাই সমন ফেরতের জন্য দিন ধার্য কর হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮১ সালে মওদুদ আহমদের ভাই মনজুর আহমদ ভাড়াটে হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন। পরে মনজুর আহমদের কাছ থেকে ক্ষমতা নেন মওদুদ আহমদ। তখন থেকেই বাড়িটি তার দখলে। বাড়িটি ভাড়া নেওয়ার পর প্রায় দুই কোটি টাকার বেশি অর্থের উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ঢাকা জেলা প্রশাসন যাতে বাড়িটি দখল করতে না পারে, এ জন্য ওই বাড়ির ভাড়াটে হিসেবে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়েছে।

মামলার আরজিতে বলা হয়, পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান তৎকালীন বিআইটি বর্তমান রাজউকে অ্যালটমেন্ট বা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেন। বিআইটি মো. এহসানের স্ত্রী জার্মান নাগরিক ইনজি স্লাজের নামে বাড়িটি বরাদ্দ দেন। ১৯৮১ সালে গুলশানের ওই বাড়ির মালিক ইনজি স্লাজ প্রয়াত প্রধান বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরীকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (আমমোক্তারনামা) করে দেন। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষমতা ১৯৮৪ পর্যন্ত বহাল ছিল। এ মামলায় এহসান-ইনজি দম্পতির ছেলে করিম ফারনাজ সোলাইমান, রাজউক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে, গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ১৫৯ নম্বর প্লটের ওই বাড়িতে মওদুদ আহমদ বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু ওই বাড়ির দখল নেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে দুদক মামলা করলে চার বছর আগে আইনি লড়াই শুরু হয়। ওই মামলায় মওদুদ সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত গেলেও রায় তার বিপক্ষে যায়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করলেও গত রবিবার তা খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।