স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় প্রায় ১ লাখ টাকার সরকারী গাছ গোপনে বিক্রি করে দিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম। কোন রকম টেন্ডার, নোটিশ, নিলাম ছাড়াই সেচ খালের দুধারের প্রায় ১ লাখ টাকার বাবলা ও মেহগনি গাছ বিক্রি করে দেন তিনি। এর আগেও তিনি সেচ খালের অংশ থেকে ৯০ হাজার টাকার কাঁঠাল ও বাবলা গাছ বিক্রি করেন। যার এক টাকাও সরকারী কোষাগারে জমা পড়েনি।
সরেজমিন দেখা গেছে, শৈলকুপার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চর ধলহরা সেচ খালের সংস্কার করা হচ্ছে। আর সংস্কারের অজুহাতে বিনা টেন্ডারে এসব গাছ বিক্রি করে দিচ্ছেন এস ও আশরাফুল। বিষয়টি নিয়ে শাখা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, যার যার গাছ সেই সেই কেটে নিয়েছে। কারো কাছে বিক্রি করা হয়নি। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুকুলে কোন টাকা জমা হয়নি বলেও তিনি জানান। কিন্তু সরেজমিনে গেলে এসও আশরাফুলের সব কথাই মিথ্যা বলে প্রমানিত হয়।
গ্রামবাসির অভিযোগ বড়িয়া গ্রামের একটি সমিতির নামে সেচ খালের এ সব গাছ বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়েছে। চরধলহরা গ্রামের রবিউল ইসলাম, ইমদাদুল সহ সেখানে উপস্থিত অনেকেই বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তার নির্দেশে গাছ বিক্রি হয়েছে। তিনিই সে গাছের টাকা ভাগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জানান, আমি সন্ত্রাসীদের ভয়ে ৩ বছর অফিসে যায়নি। তাই সেখানে কি হচ্ছে বলতে পারবো না।