শিরোনাম :
Logo গম আমদানির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo জুলাই শহীদদের স্মরণে ঝিনাইদহে কৃষকদলের বৃক্ষরোপণ Logo আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্যসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ১৫ অক্টোবর Logo বিষাক্ত মদ খেয়ে খুলনায় ৫ জনের মৃত্যুর Logo কারফিউ শেষে গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি Logo দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা Logo বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে টেক্সটাইল শিক্ষার্থীর মৃত্যু Logo ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যু: তথ্য চেয়ে তদন্ত কমিটির গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo আবারও মুজিববাদী-ভারতপন্থি শক্তি সক্রিয় হচ্ছে : সারজিস আলম Logo কমেছে কাঁচা মরিচের দাম,মুরগির দাম বাড়তি

একই রেট হলে আমাদের আপত্তি আছে: এফবিসিসিআই সভাপতি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:২৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৯ মে ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেছেন, ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ বহাল রাখা বা কমানো, কী হচ্ছে আমরা আসলে এখনো জানি না। তবে যদি ভ্যাটের হার সব পণ্যে একই রেটে হয় তাহলে আমাদের আপত্তি রয়েছে।

শনিবার সচিবালয়ে আসন্ন বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, ১৫ শতাংশ থেকে ভ্যাটের হার কমাব না।

মহিউদ্দিন বলেন, বিষয়টি শুধু ১৫ শতাংশ ভ্যাট নয়, আরো অনেক বিষয় এর সঙ্গে জড়িত আছে। আমরা সাপ্লিমেন্টারি টেরিটরির কথা বলেছি, ট্যারিফ মূল্য  টার্নওভার ট্যাক্স কী হবে ? সামগ্রিক সব বিষয় নিয়েই আরো আগে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আর আমরা বলেছি, মাল্টিপল ভ্যাটের কথা। আগেও কিন্তু ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ ছিল। কিন্তু রিডিউস ভ্যাট রেটও ছিল। তো সেগুলো কীভাবে করা হবে বা হচ্ছে আসলে আমরা এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। কারণ আমাদের কাছে লিখিত আকারে কিছু নেই।

যেহেতু এগুলো এখনো আলোচনার মধ্যে রয়েছে, তাই আলোচনা যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কী সিদ্ধান্ত জানাব বুঝতে পারছি না। বাজেট পেশ হোক পরে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব,বলেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি আরো বলেন, ভ্যাটের হার যদি সব পণ্যে একই রেটে করা হয় (১৫ শতাংশ) তাহলে আমাদের আপত্তি আছে। একইসঙ্গে বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে টার্নওভার (বার্ষিক বিক্রি) ভ্যাটমুক্ত সীমা আরো বাড়ানো উচিৎ। অর্থমন্ত্রী শনিবার বলেছেন, এটি বাড়ানো হবে। কিন্তু কীভাবে করা হচ্ছে আমরা তাও জানি না। আমাদের কথা হচ্ছে, আমরা ভ্যাট দেব, কিন্তু তা হতে হবে যৌক্তিক।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, অর্থমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে ভালো কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে জনগণ ও ব্যবসায়ী মহলের ক্ষতি হয়।

প্রসঙ্গত, শনিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় বলেন, বিভিন্ন কারণে ভ্যাটের হার কিছুটা কমানোর চিন্তা করা হয়েছিল। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগের অবস্থানে রাখা হচ্ছে, অর্থাৎ ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশই থাকছে। তবে অনেককে ভ্যাটের আওতা থেকে বের করে নিয়ে আসা হবে। ভ্যাটের হার কমালে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতো। আর ভ্যাটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গম আমদানির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

একই রেট হলে আমাদের আপত্তি আছে: এফবিসিসিআই সভাপতি !

আপডেট সময় : ১১:৩১:২৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৯ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেছেন, ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ বহাল রাখা বা কমানো, কী হচ্ছে আমরা আসলে এখনো জানি না। তবে যদি ভ্যাটের হার সব পণ্যে একই রেটে হয় তাহলে আমাদের আপত্তি রয়েছে।

শনিবার সচিবালয়ে আসন্ন বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, ১৫ শতাংশ থেকে ভ্যাটের হার কমাব না।

মহিউদ্দিন বলেন, বিষয়টি শুধু ১৫ শতাংশ ভ্যাট নয়, আরো অনেক বিষয় এর সঙ্গে জড়িত আছে। আমরা সাপ্লিমেন্টারি টেরিটরির কথা বলেছি, ট্যারিফ মূল্য  টার্নওভার ট্যাক্স কী হবে ? সামগ্রিক সব বিষয় নিয়েই আরো আগে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আর আমরা বলেছি, মাল্টিপল ভ্যাটের কথা। আগেও কিন্তু ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ ছিল। কিন্তু রিডিউস ভ্যাট রেটও ছিল। তো সেগুলো কীভাবে করা হবে বা হচ্ছে আসলে আমরা এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। কারণ আমাদের কাছে লিখিত আকারে কিছু নেই।

যেহেতু এগুলো এখনো আলোচনার মধ্যে রয়েছে, তাই আলোচনা যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কী সিদ্ধান্ত জানাব বুঝতে পারছি না। বাজেট পেশ হোক পরে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব,বলেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি আরো বলেন, ভ্যাটের হার যদি সব পণ্যে একই রেটে করা হয় (১৫ শতাংশ) তাহলে আমাদের আপত্তি আছে। একইসঙ্গে বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে টার্নওভার (বার্ষিক বিক্রি) ভ্যাটমুক্ত সীমা আরো বাড়ানো উচিৎ। অর্থমন্ত্রী শনিবার বলেছেন, এটি বাড়ানো হবে। কিন্তু কীভাবে করা হচ্ছে আমরা তাও জানি না। আমাদের কথা হচ্ছে, আমরা ভ্যাট দেব, কিন্তু তা হতে হবে যৌক্তিক।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, অর্থমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে ভালো কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে জনগণ ও ব্যবসায়ী মহলের ক্ষতি হয়।

প্রসঙ্গত, শনিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় বলেন, বিভিন্ন কারণে ভ্যাটের হার কিছুটা কমানোর চিন্তা করা হয়েছিল। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগের অবস্থানে রাখা হচ্ছে, অর্থাৎ ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশই থাকছে। তবে অনেককে ভ্যাটের আওতা থেকে বের করে নিয়ে আসা হবে। ভ্যাটের হার কমালে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতো। আর ভ্যাটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।