শিরোনাম :
Logo ৭৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে চাঁদপুর এলজিইডির অবহিতকরন সভা Logo পিয়াস আফ্রিদির উদ্যোগে চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের পথচলা Logo প্রান্তিক মানুষের আস্থার নাম সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক Logo ইবিতে সিরাতুন নবি (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী Logo ইবি ক্যাম্পাসে তালিকাভুক্ত নয় এমন  সংগঠনের সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা Logo সুন্দরবনের বিনা পাশে প্রবেশ করায় তিন জেলা কটক  Logo খুবি রিসার্চ সোসাইটির নতুন নেতৃত্বে বকসী-গৌর Logo চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক Logo কাল চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo খানপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের উদ্যোগে আট দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চীনকে টেক্কা দিতে আন্দামানে সামরিক ঘাঁটি বিস্তৃত করছে ভারত !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:৪৫:২৬ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০১৭
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ভারত মহাসাগরে চীন যখন নিজেদের শক্তি ও তৎপরতা বাড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় নিজেদের নৌসেনা ঘাঁটি আরও বিস্তৃত করতে উদ্যোগী হল ভারতও। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারতের নৌসেনা ঘাঁটি NAS Shibpur-এর আয়তন আরও বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

কূটনৈতিকভাবে এই ঘাঁটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত শিপিং রুট মালাক্কা স্ট্রেইটের কাছেই অবস্থিত এই নাভাল বেস। গত কয়েক বছর ধরে এই সেনাঘাঁটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ভারত। ২০১২ তে নাভাল এয়ার স্টেশন ‘বাজ’ তৈরি করে ভারত। এটিই দক্ষিণ প্রান্তের নাভাল স্টেশন। শিবপুর প্রজেক্টে রানওয়ে বাড়ানোর জন্য ১০০ হেক্টর অতিরিক্ত জায়গায় বিস্তৃত হচ্ছে। উত্তর আন্দামানের দ্বীপে অবস্থিত এই NAS Shibpur. নেভি, এয়ার ফোর্স ও কোস্ট গার্ডের অপারেশনের জন্য এই ঘাঁটি ব্যবহার করা সম্ভব। এখানে রয়েছে MI 8 ও Chetak aircraft.

বর্তমানে ১হাজার মিটারের রানওয়ে রয়েছে সেখানে। যেখানে মাত্র একটি এয়ারক্রাফট ল্যান্ড করতে পারে। এবার ৩ হাজার মিটারের রানওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। শুধুমাত্র সামরিকভাবেই শক্তি বাড়বে তাই নয়, আন্দামানের উন্নয়নে ও দুর্যোগ মোকাবিলা করতেও এই প্রজেক্ট কাজে লাগবে।

গত বছরেই মিসাইল করভেট গোত্রের বড়সড় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কার্মুক-কে আন্দামানে পাঠিয়ে দিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম এই যুদ্ধজাহাজ স্থায়ী ভাবেই রয়েছে আন্দামানে।

মূল ভূখণ্ড থেকে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জের চারপাশে টহল দেয় এটি। ২০১৬-র গোড়ায় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে চীনের একটি ম্যাপের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে দেখানো হয়। তার পর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে চীনা যুদ্ধজাহাজ লুকিয়ে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের খুব কাছে পৌঁছে যায়। রাডারে তার উপস্থিতি টের পেয়েই সতর্ক হয়ে যায় ভারতীয় নৌসেনা। চার দিকে থেকে নজরদারি জাহাজ ঘিরে ফেলে চীনা যুদ্ধজাহাজটিকে। পরে চিনা যুদ্ধজাহাজটি আন্দামান সাগর ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু নৌসেনা কর্তাদের সন্দেহ, চীনা সাবমেরিন মাঝেমধ্যেই লুকিয়ে হানা দিচ্ছে আন্দামান সাগরে।

সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

৭৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে চাঁদপুর এলজিইডির অবহিতকরন সভা

চীনকে টেক্কা দিতে আন্দামানে সামরিক ঘাঁটি বিস্তৃত করছে ভারত !

আপডেট সময় : ১০:৪৫:২৬ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ভারত মহাসাগরে চীন যখন নিজেদের শক্তি ও তৎপরতা বাড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় নিজেদের নৌসেনা ঘাঁটি আরও বিস্তৃত করতে উদ্যোগী হল ভারতও। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারতের নৌসেনা ঘাঁটি NAS Shibpur-এর আয়তন আরও বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

কূটনৈতিকভাবে এই ঘাঁটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত শিপিং রুট মালাক্কা স্ট্রেইটের কাছেই অবস্থিত এই নাভাল বেস। গত কয়েক বছর ধরে এই সেনাঘাঁটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ভারত। ২০১২ তে নাভাল এয়ার স্টেশন ‘বাজ’ তৈরি করে ভারত। এটিই দক্ষিণ প্রান্তের নাভাল স্টেশন। শিবপুর প্রজেক্টে রানওয়ে বাড়ানোর জন্য ১০০ হেক্টর অতিরিক্ত জায়গায় বিস্তৃত হচ্ছে। উত্তর আন্দামানের দ্বীপে অবস্থিত এই NAS Shibpur. নেভি, এয়ার ফোর্স ও কোস্ট গার্ডের অপারেশনের জন্য এই ঘাঁটি ব্যবহার করা সম্ভব। এখানে রয়েছে MI 8 ও Chetak aircraft.

বর্তমানে ১হাজার মিটারের রানওয়ে রয়েছে সেখানে। যেখানে মাত্র একটি এয়ারক্রাফট ল্যান্ড করতে পারে। এবার ৩ হাজার মিটারের রানওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। শুধুমাত্র সামরিকভাবেই শক্তি বাড়বে তাই নয়, আন্দামানের উন্নয়নে ও দুর্যোগ মোকাবিলা করতেও এই প্রজেক্ট কাজে লাগবে।

গত বছরেই মিসাইল করভেট গোত্রের বড়সড় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কার্মুক-কে আন্দামানে পাঠিয়ে দিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম এই যুদ্ধজাহাজ স্থায়ী ভাবেই রয়েছে আন্দামানে।

মূল ভূখণ্ড থেকে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জের চারপাশে টহল দেয় এটি। ২০১৬-র গোড়ায় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে চীনের একটি ম্যাপের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে দেখানো হয়। তার পর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে চীনা যুদ্ধজাহাজ লুকিয়ে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের খুব কাছে পৌঁছে যায়। রাডারে তার উপস্থিতি টের পেয়েই সতর্ক হয়ে যায় ভারতীয় নৌসেনা। চার দিকে থেকে নজরদারি জাহাজ ঘিরে ফেলে চীনা যুদ্ধজাহাজটিকে। পরে চিনা যুদ্ধজাহাজটি আন্দামান সাগর ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু নৌসেনা কর্তাদের সন্দেহ, চীনা সাবমেরিন মাঝেমধ্যেই লুকিয়ে হানা দিচ্ছে আন্দামান সাগরে।

সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর