শিরোনাম :
Logo ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে ‘মনিটরিং’ জোরদার করবে সরকার, নেবে কঠোর ব্যবস্থা : প্রেস সচিব Logo ভোলার মুহাদ্দিস নোমানী হত্যার বিচারে ইবিতে মানববন্ধন Logo নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে ছিনতাই, শঙ্কিত শিক্ষার্থীরা Logo আজকের ৪টি দ্বিতল বাসের যাত্রা নবদিগন্তের সূচনা : ইবি উপাচার্য Logo সিরাজগঞ্জে জাতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের সম্প্রসারিত পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের উদ্বোধন Logo শেখহাসিনার ছাত্রলীগ যেই দুঃসাহস করতে পারেনি, সেই দুঃসাহস ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে এখন ছাত্রদল করা শুরু করেছে, পঞ্চগড়ে -সারজিস Logo আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন Logo মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই দেশের সম্পদ হবে : আসিফ মাহমুদ Logo অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হাঙরের আক্রমণে নিহত ১

দুই তরুণীকে ধর্ষণ : আসামিদের ধরতে গোয়েন্দারা মাঠে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪২:২৬ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার আসামিদের ধরতে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা। তবে গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত প্রধান আসামি সাফায়াত আহমেদসহ কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম বলেন, ধর্ষকদের নাম-ঠিকানা এসেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ প্রথমে ছায়া তদন্ত করেন। পরে তাদের ধরতে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা। আসামিরা যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হবেন। এর বাইরে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়।

এদিকে বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, সামনে পুলিশি পাহারা রয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি হোটেল কর্তৃপক্ষ। তবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার রাতে সাফায়াত দুই-তিনটি কক্ষ ভাড়া নেন। মাঝেমধ্যেই তিনি সেখানে যেতেন। গভীর রাত পর্যন্ত থেকে বেরিয়ে যেতেন।

বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরমনা আলী জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। সিসি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। তারা যেন দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য সোমবার দুপুরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তারা পালিয়ে যেতে পারবেন না।

থানার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিদের একজন সাদমান সফিক ওই তরুণীদের পূর্বপরিচিত। ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাত আহমেদের সঙ্গে পরিচয় হয় তাদের। ২৮ মার্চ সাফাত আহমেদ জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে তার গাড়ি পাঠিয়ে ড্রাইভার ও বডিগার্ডের মাধ্যমে তরুণীদের রেইন ট্রি হোটেলের ছাদে নিয়ে যান। একপর্যায়ে তাদের দুজনকে একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক মদ্যপান করিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ সময় সাফাত তার ড্রাইভার বিল্লালকে ধর্ষণের ভিডিও করতে বলেন। বিল্লাল ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করেন। পরে সাফাত তার দেহরক্ষীকে তরুণীদের বাসায় পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন এবং এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে ‘মনিটরিং’ জোরদার করবে সরকার, নেবে কঠোর ব্যবস্থা : প্রেস সচিব

দুই তরুণীকে ধর্ষণ : আসামিদের ধরতে গোয়েন্দারা মাঠে !

আপডেট সময় : ১১:৪২:২৬ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার আসামিদের ধরতে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা। তবে গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত প্রধান আসামি সাফায়াত আহমেদসহ কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম বলেন, ধর্ষকদের নাম-ঠিকানা এসেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ প্রথমে ছায়া তদন্ত করেন। পরে তাদের ধরতে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা। আসামিরা যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হবেন। এর বাইরে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়।

এদিকে বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, সামনে পুলিশি পাহারা রয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি হোটেল কর্তৃপক্ষ। তবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার রাতে সাফায়াত দুই-তিনটি কক্ষ ভাড়া নেন। মাঝেমধ্যেই তিনি সেখানে যেতেন। গভীর রাত পর্যন্ত থেকে বেরিয়ে যেতেন।

বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরমনা আলী জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। সিসি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। তারা যেন দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য সোমবার দুপুরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তারা পালিয়ে যেতে পারবেন না।

থানার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিদের একজন সাদমান সফিক ওই তরুণীদের পূর্বপরিচিত। ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাত আহমেদের সঙ্গে পরিচয় হয় তাদের। ২৮ মার্চ সাফাত আহমেদ জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে তার গাড়ি পাঠিয়ে ড্রাইভার ও বডিগার্ডের মাধ্যমে তরুণীদের রেইন ট্রি হোটেলের ছাদে নিয়ে যান। একপর্যায়ে তাদের দুজনকে একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক মদ্যপান করিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ সময় সাফাত তার ড্রাইভার বিল্লালকে ধর্ষণের ভিডিও করতে বলেন। বিল্লাল ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করেন। পরে সাফাত তার দেহরক্ষীকে তরুণীদের বাসায় পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন এবং এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখান।