নিউজ ডেস্ক:
ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুটে আসছে। সীমান্তের ওপার থেকে এমন আক্রমণে দিশেহারা পাকিস্তানি রেঞ্জার্স। আর রক্ষীদের দুরবস্থা দেখে প্রবল ভীত এলাকাবাসী। প্রাণ বাঁচাতে গ্রাম খালি করে দূরে চলে যাচ্ছেন পাকিস্তানি নাগরিকরা। অভিযোগ, আফগান বর্ডার পুলিশ বিনা প্ররোচনায় একতরফা হামলা চালাচ্ছে। পাক-আফগান সীমান্তের পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত।
উদ্বিগ্ন পাক সরকার শেষ পর্যন্ত শরণাপন্ন হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত আইজাজ চৌধুরী দেখা করেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লে. জে. এইচ আর ম্যাকমাস্টারের সঙ্গে। পরে পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানায়, সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে দুইজনের বিশেষ আলোচনা হয়েছে।
পাক আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) জানিয়েছে, আফগানিস্তানের দিক থেকে বারবার হামলায় চমন সীমান্ত লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ। দুই হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। সীমান্ত এলাকা খালি করা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগকে কাজে নামানো হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে পাক-আফগান সীমান্তের চমন পোস্ট উত্তপ্ত। আফগানিস্তান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অভিযোগ, সীমান্ত পেরিয়ে হামলার পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তান রেঞ্জার্স। তাদের রুখতেই গুলি চালিয়েছে আফগান রক্ষীরা। পাকিস্তানের দাবি, আফগান হামলায় নিহতের সংখ্যা অন্তত ১২ জন। এদের মধ্যে দুই সীমান্তরক্ষী ও শিশু রয়েছে।
দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত পথ হল চমন পোস্ট। এই পথ ধরেই দুই দেশের নাগরিকরা আসা যাওয়া করেন। পণ্য পরিবহন হয়। চমন পোস্টের একদিকে আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশ। অন্যদিকে পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশ। উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে আপাতত বন্ধ সীমান্ত ফটক।
সম্প্রতি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বিখ্যাত সুফি সন্ত কলন্দর শাহের মাজারে নাশকতা হয। আফগানিস্তানের সীমান্ত পার করে জঙ্গিরা হামলা করেছিল বলে অভিযোগ করে পাকিস্তান। এরপরেই সীমান্ত পার করে পাক সেনা হামলা চালিয়েছিল আফগান রক্ষীদের চেক পোস্টে। চরম প্রতিবাদ করেছিল কাবুল। এরপর থেকে বারে বারে উত্তপ্ত হয়েছে দুই দেশের সীমান্ত ৷