নিউজ ডেস্ক:
এট সত্যি যে, রোদের মধ্যে তাজমহল ঘোরা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই রোদ থেকে নিজেদের চোখ-মুখ ঢাকতে গেরুয়া স্কার্ফ ব্যবহার করেছিলেন মডেলরা। কারও কারও স্কার্ফে আবার ‘জয় শ্রী রাম’-এর মতো বাণীও লেখা ছিল। ব্যস, তাতেই ঘটে বিপত্তি। তাঁদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, তাজমহলে প্রবেশ করতে হলে ওই গেরুয়া স্কার্ফ খুলে রেখে আসতে হবে। এই নিয়ে ওঠে বিতর্কের ঝড়। পুরো ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার।
আরও একটু বিস্তারিত বলা যাক। গত ১২ এপ্রিল শুরু হয়েছে সুপার মডেল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। ১১ দিন ধরে চলতে থাকা এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৩৪ দেশের ৪২ জন মডেল সম্প্রতি আগ্রার তাজমহল ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যেই কয়েকজন রোদ থেকে বাঁচতে মাথায় চাপিয়েছিলেন গেরুয়া রঙের ‘জয় শ্রী রাম’ লেখা স্কার্ফ। কিন্তু তাজমহলে ঢোকার মুখেই ঘটে বিপত্তি। স্কার্ফ খুলে ফেলতে বলা হয় তাঁদের। এই ঘটনায় বজরঙ্গ দল সরব হলে পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাজমহলের সামনে মহা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়ে শনিবার প্রতিবাদ মিছিল করেন দলের সদস্যরা। রবিবার অংশ নেয় শিব সেনা ও হিন্দু জাগরণ মঞ্চও। যে বা যাঁরা মডেলদের স্কার্ফ খুলতে বলেছিল, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি তোলা হয় মিছিলে।
সিআইএসএফ কমান্ডান্ট ব্রিজ ভূষণ এক সংবাদমাধ্যমকে প্রথমে জানিয়েছিলেন, “এএসআই-এর (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া) পক্ষে নির্দেশ রয়েছে, কোনও ধর্মীয় প্রতীক নিয়ে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করা যাবে না। কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আমরা আঘাত করতে চাইনি। ” পরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে আবার নিজেদের মন্তব্য থেকে সরে আসে সিআইএসএফ। বলা হয়, এএসআই-এর এমন কোনও নিয়ম নেই। যদি না কোনও ধর্মীয় প্রতীক প্রচার বা বিশ্লেষণের কাজে ব্যবহৃত হয়। গোটা ঘটনা চরম আকার ধারণ করায় অবশেষে হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্র। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটন দপ্তর টুইটারে জানায়, “লাল, হলুদ, সবুজ, যে কোনও রঙের পোশাক পরা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে কোনও নিয়মাবলী নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।