নিউজ ডেস্ক:
একমাত্র সন্তান বেঙ্গালুরুতে লেখাপড়া করছে। সময় কাটাতে ভারতের নিউ টাউনের বাসিন্দা দম্পতি ঘরে এনেছিলেন শেরুকে। জার্মান শেফার্ড শেরু এখন দম্পতির প্রায় সন্তানের মতোই হয়ে উঠেছে। ঘরে তাকে একা রেখে কোথাও বেরোতে পারেন না দম্পতি। এমনকী শেরুর দেখভালের কী হবে এই ভেবে স্বামী-স্ত্রী বেঙ্গালুরুতে ছেলের কাছেও একসঙ্গে যেতে পারেন না।
বাড়িতে পোষ্য রেখে এমন সমস্যার মুখোমুখি যারা, তাদের জন্য রাজ্য প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় এ বার ‘ডগ হোটেল’ তৈরি করছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, কলকাতায় পোষ্যদের জন্য ক্রেশ আছে, তবে হোটেল নেই। কলকাতায় প্রথম বার প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ই বাড়ির কুকুরদের জন্য ওই ব্যবস্থা করছে, যাতে পোষ্যের মালিক তার পোষ্যটিকে ওই হোটেলে রেখে নিশ্চিন্তে বাড়ির বাইরে যেতে পারেন। আর মালিকের অবর্তমানে পোষ্যটিরও দিন কাটবে সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যেই।
কী রকম? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, বেলগাছিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই ওই ডগ হোটেল তৈরি করা হবে। একটি হোটেলে যেমন একেবারে সাধারণ থেকে ভিআইপি— সব ধরনের স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা থাকে, পোষ্যদের জন্য ওই হোটেলও তেমনটাই হবে। মালিক জানিয়ে দেবেন, তিনি তার পোষ্যটিকে বাড়িতে কেমন পরিবেশে রাখেন। কতটা দামি খাবার খাওয়ান। পোষ্যটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকে কিনা— এ হেন বিভিন্ন তথ্য। সেই মতো পোষ্যটির ব্যবস্থা হবে। দামের তারতম্যের ভিত্তিতেই ঠিক হবে পরিষেবার মান।
প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পূর্ণেন্দু বিশ্বাসের কথায়, ‘‘পোষ্যের জন্য পরিবারের লোকজন একসঙ্গে বাড়ির বাইরে যেতে পারেন না। খুব জরুরি প্রয়োজনেও একসঙ্গে পুরো পরিবারের বাড়ি ছাড়ার উপায় থাকে না। শুধু মাত্র পোষ্যটির জন্য বা়ড়িতে কাউকে না কাউকে থাকতেই হয়। তাই এই ব্যবস্থা। ’’
কী কী সুবিধা থাকবে পোষ্যদের সেই হোটেলে? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, ঝকঝকে পরিবেশ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্যুইট, সুইমিং পুল, খেলাধুলার ব্যবস্থা যেমন থাকবে, তেমনই আবার একেবারে সাধারণ ব্যবস্থা হিসেবে ডরমেটরিও রাখা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্রেশে পোষ্যদের রাখলে সেই ক্রেশের যা পরিষেবা, তা-ই নিতে হয়। কিন্তু হোটেলের ব্যবস্থায় মালিক যেমন চাইবেন, তার পোষ্যটিকে তেমন ভাবে রাখা হবে। উপাচার্য পূর্ণেন্দুবাবু জানান, পশু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পোষ্যদের নিয়ে আসা লোকজন একাধিক বার এই ধরনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এ বার সেই ডগ হোটেল তৈরি করা হচ্ছে।
সূত্র: আনন্দবাজার।