সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব Logo কচুয়ায় ইউএনও হেলাল চৌধুরীর বিদায় সংবর্ধনা Logo জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা সভাপতি রিংকু, সম্পাদক ফরহাদ

ঝিনাইদহের কপোতাক্ষ নদের ভিতরে ব্যাবসায়ী কতৃক পাকা ঘর নির্মাণ ! বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি প্রবাহ !

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৪:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৭৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় কপোতাক্ষ নদের ভিতরে স্থাপনা নির্মাণ করছেন এক ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি, কেনা জমিতে এ পাকা ঘর নির্মিত হচ্ছে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, জায়গাটি নদের। সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করা হলে নদের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। কোটচাঁদপুর উপজেলা শহর-সংলগ্ন মহেশপুর উপজেলার ব্রিজঘাট এলাকায় এ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, মহেশপুরের আজমপুর ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ। নদের অপর প্রান্তে রয়েছে কোটচাঁদপুর শহর। ব্রিজঘাট নামের এ স্থানে একটি সেতু রয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেতুর দক্ষিণে মহেশপুর সীমান্তে প্রায় ১০ মাস আগে একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন মাহবুবুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। দ্রুতগতিতে ভবনের কাজ চলছিল। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন কপোতাক্ষ নদের জায়গায় কেন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে? দাবি তুলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন। তখন নির্মাণকাজটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি আবার সেই কাজ শুরু করেছেন জৈনিক ব্যাবসায়ী মাহবুবুর রহমান। ব্রিজঘাট এলাকার বাসিন্দা সুমন আহম্মদ বলেন, যেখানে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, বর্ষা মৌসুমে সেখানে পানি থাকে। ভবন নির্মাণ করা হলে কপোতাক্ষ নদের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে।

এলাকাবাসী বলছেন, কপোতাক্ষ নদের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে তাঁরা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। বরং সরকারি কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশেই নদের জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ রয়েছে। ওই কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে নদের জায়গার কাগজপত্র তৈরি করে দিচ্ছেন। একটি চক্র সেই কাগজ দেখিয়ে ওই জমি বেঁচাকেনা করে আসছে।

অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান বলেন, জমিটি জৈনিক সিদ্দিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তির নামে রেকর্ড করা আছে। তাঁর কাছ থেকে আট শতক জমি কিনেছেন তিনি। সেই জমিতে ভবন নির্মাণ করছেন; কপোতাক্ষ নদের জায়গায় নয়। মাহবুবুর আরও বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তদন্ত করে অনিয়মের কিছু পায়নি। মামলাটি করেছিলেন স্থানীয় আজমপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা। পুলিশ তদন্ত করে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশফাকুর রহমান বলেন, পুলিশের তদন্তের কারণে মামলাটি নথিজাত হয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসন এর বিরুদ্ধে আপিল করবে। তিনি বলেন, যে স্থানে ভবনটি হচ্ছে, সেটা যে কপোতাক্ষ নদের মধ্যে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ভবন নির্মাণে যুক্ত ব্যক্তিরা জমির কিছু কাগজপত্র দেখিয়েছেন। কাগজপত্র সঠিকও হতে পারে। ব্যক্তিমালিকানার জমি ভেঙে নদের মধ্যে চলে যেতেও পারে। সেটা হলেও আইনানুযায়ী জমিটি এখন আর ব্যক্তিমালিকানাধীন নয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ

ঝিনাইদহের কপোতাক্ষ নদের ভিতরে ব্যাবসায়ী কতৃক পাকা ঘর নির্মাণ ! বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি প্রবাহ !

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় কপোতাক্ষ নদের ভিতরে স্থাপনা নির্মাণ করছেন এক ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি, কেনা জমিতে এ পাকা ঘর নির্মিত হচ্ছে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, জায়গাটি নদের। সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করা হলে নদের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। কোটচাঁদপুর উপজেলা শহর-সংলগ্ন মহেশপুর উপজেলার ব্রিজঘাট এলাকায় এ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, মহেশপুরের আজমপুর ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ। নদের অপর প্রান্তে রয়েছে কোটচাঁদপুর শহর। ব্রিজঘাট নামের এ স্থানে একটি সেতু রয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেতুর দক্ষিণে মহেশপুর সীমান্তে প্রায় ১০ মাস আগে একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন মাহবুবুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। দ্রুতগতিতে ভবনের কাজ চলছিল। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন কপোতাক্ষ নদের জায়গায় কেন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে? দাবি তুলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন। তখন নির্মাণকাজটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি আবার সেই কাজ শুরু করেছেন জৈনিক ব্যাবসায়ী মাহবুবুর রহমান। ব্রিজঘাট এলাকার বাসিন্দা সুমন আহম্মদ বলেন, যেখানে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, বর্ষা মৌসুমে সেখানে পানি থাকে। ভবন নির্মাণ করা হলে কপোতাক্ষ নদের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে।

এলাকাবাসী বলছেন, কপোতাক্ষ নদের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে তাঁরা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। বরং সরকারি কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশেই নদের জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ রয়েছে। ওই কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে নদের জায়গার কাগজপত্র তৈরি করে দিচ্ছেন। একটি চক্র সেই কাগজ দেখিয়ে ওই জমি বেঁচাকেনা করে আসছে।

অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান বলেন, জমিটি জৈনিক সিদ্দিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তির নামে রেকর্ড করা আছে। তাঁর কাছ থেকে আট শতক জমি কিনেছেন তিনি। সেই জমিতে ভবন নির্মাণ করছেন; কপোতাক্ষ নদের জায়গায় নয়। মাহবুবুর আরও বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তদন্ত করে অনিয়মের কিছু পায়নি। মামলাটি করেছিলেন স্থানীয় আজমপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা। পুলিশ তদন্ত করে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশফাকুর রহমান বলেন, পুলিশের তদন্তের কারণে মামলাটি নথিজাত হয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসন এর বিরুদ্ধে আপিল করবে। তিনি বলেন, যে স্থানে ভবনটি হচ্ছে, সেটা যে কপোতাক্ষ নদের মধ্যে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ভবন নির্মাণে যুক্ত ব্যক্তিরা জমির কিছু কাগজপত্র দেখিয়েছেন। কাগজপত্র সঠিকও হতে পারে। ব্যক্তিমালিকানার জমি ভেঙে নদের মধ্যে চলে যেতেও পারে। সেটা হলেও আইনানুযায়ী জমিটি এখন আর ব্যক্তিমালিকানাধীন নয়।