শিরোনাম :
Logo অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল নাপা সেন্টার Logo জাতির উন্নতির জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন – মির্জা গালিব Logo গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো Logo লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সভা মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ………….সাখাওয়াত জামিল সৈকত Logo অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম হয়েও শিক্ষক নিয়োগের ভাইভাতে ডাক পেলেন না আজমল Logo যেভাবে আমরা ইতিহাসের শরিক হলাম Logo সিরাজগঞ্জ এলজিইডিতে বিদায়ী ও নবনিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলীর সংবর্ধনা Logo আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যাচ্ছেন রাসেল Logo গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের ওপর হামলা পরিকল্পিত: বিএনপি

জানেন কি টাইটানিকের শেষ ডিনারের মেনুলিস্টে কী ছিল ?

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:২৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

“The ship which will never sink… এমন জাহাজ যা কখনও ডুববে না। ” এমনটাই বলা হয়েছিল টাইটানিক সম্পর্কে। টাইটানিক ছিল স্বপ্নের প্রমোদতরী। এক বিস্ময়। এক ইতিহাস। ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন বন্দর থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল টাইটানিকের। গন্তব্য ছিল নিউ ইয়র্ক। যে জাহাজ কখনও ডুববে না বলা হয়েছিল, আইসবার্গের আঘাতে যাত্রা শুরুর ৪ দিনের মাথাতেই বরফশীতল অতলান্তিকের পানিতে সলিল সমাধি ঘটেছিল তার। ১৪ এপ্রিল, রাত তখন ১১টা ৪০। উপস্থিত এক ক্রু মেম্বারের কথায়, ‘কাপড় ছেঁড়ার মত একটা আওয়াজ, এর থেকে বেশি কিছু নয়’… ধাক্কা লাগে আইসবার্গের সঙ্গে স্বপ্নের প্রমোদতরীর। প্রথম শ্রেণির যাত্রীরা তখন ব্যস্ত ‘এপিক ডিনারে’। প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য প্রথম থেকেই প্রতিদিন স্পেশাল মেনুর ব্যবস্থা ছিল টাইটানিকে। ডিনার টেবিলে খোশগল্প-আলোচনাতেই ৪-৫ ঘণ্টা সময় কাটাতেন প্রথম শ্রেণির যাত্রীরা। ১৪ এপ্রিল রাতেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। কী ছিল সেই মেনু লিস্টে? প্রায় ১০ কোর্সের মেনুলিস্ট…। প্রথমেই ছিল ওয়েস্টার। সঙ্গে ছিল ওলগা নামে একধরনের স্যুপ। তারপরেই মেনুতে ছিল মুসেলিন সসে হাল্কা করে পোচ করা আতলান্তিক স্যালমন। চতুর্থ ও পঞ্চম কোর্সে ছিল হাইপ্রোটিন ডিশ। মিগনন লিলির ফিলেট, চিকেন লায়োনাইজ, মিন্ট দেওয়া ভেড়ার মাংসের পদ, রোস্ট করা ডাকলিং, বিফের সঙ্গে আলুর একটি পদ। সাইড ডিশ হিসেবে ছিল ক্রিমড ক্যারোট, মটরশুঁটি দিয়ে বয়েলড রাইস, সেইসঙ্গে আলু সেদ্ধও।

প্রতিটি কোর্সের পরই মুখের স্বাদবদলের জন্য ছিল ‘পাঞ্চ রোমেইন’। ওয়াইন, রাম ও শ্যাম্পেন দিয়ে তৈরি বিশেষ ধরনের একটি ড্রিংক। এছাড়াও ছিল চারট্রিউজ জেলি, চকোলেট, ভ্যানিলা, ওয়ালডর্ফ পুডিং, ফ্রেঞ্চ আইসক্রিম প্রভৃতি। একদম শেষপাতে রকমারি ফল, বাদাম ও চিজ। সবশেষে কফি, সিগার ও কর্ডিয়াল। অর্কেস্ট্রার বাদ্যের সঙ্গে এলাহি ভূরিভোজের আয়োজনে ডাইনিং রুমে তৈরি হত এক অন্যরকম মাদকতা।

সূত্র: জিনিউজ টুয়েন্টিফোর।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ

জানেন কি টাইটানিকের শেষ ডিনারের মেনুলিস্টে কী ছিল ?

আপডেট সময় : ১১:৪০:২৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

“The ship which will never sink… এমন জাহাজ যা কখনও ডুববে না। ” এমনটাই বলা হয়েছিল টাইটানিক সম্পর্কে। টাইটানিক ছিল স্বপ্নের প্রমোদতরী। এক বিস্ময়। এক ইতিহাস। ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন বন্দর থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল টাইটানিকের। গন্তব্য ছিল নিউ ইয়র্ক। যে জাহাজ কখনও ডুববে না বলা হয়েছিল, আইসবার্গের আঘাতে যাত্রা শুরুর ৪ দিনের মাথাতেই বরফশীতল অতলান্তিকের পানিতে সলিল সমাধি ঘটেছিল তার। ১৪ এপ্রিল, রাত তখন ১১টা ৪০। উপস্থিত এক ক্রু মেম্বারের কথায়, ‘কাপড় ছেঁড়ার মত একটা আওয়াজ, এর থেকে বেশি কিছু নয়’… ধাক্কা লাগে আইসবার্গের সঙ্গে স্বপ্নের প্রমোদতরীর। প্রথম শ্রেণির যাত্রীরা তখন ব্যস্ত ‘এপিক ডিনারে’। প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য প্রথম থেকেই প্রতিদিন স্পেশাল মেনুর ব্যবস্থা ছিল টাইটানিকে। ডিনার টেবিলে খোশগল্প-আলোচনাতেই ৪-৫ ঘণ্টা সময় কাটাতেন প্রথম শ্রেণির যাত্রীরা। ১৪ এপ্রিল রাতেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। কী ছিল সেই মেনু লিস্টে? প্রায় ১০ কোর্সের মেনুলিস্ট…। প্রথমেই ছিল ওয়েস্টার। সঙ্গে ছিল ওলগা নামে একধরনের স্যুপ। তারপরেই মেনুতে ছিল মুসেলিন সসে হাল্কা করে পোচ করা আতলান্তিক স্যালমন। চতুর্থ ও পঞ্চম কোর্সে ছিল হাইপ্রোটিন ডিশ। মিগনন লিলির ফিলেট, চিকেন লায়োনাইজ, মিন্ট দেওয়া ভেড়ার মাংসের পদ, রোস্ট করা ডাকলিং, বিফের সঙ্গে আলুর একটি পদ। সাইড ডিশ হিসেবে ছিল ক্রিমড ক্যারোট, মটরশুঁটি দিয়ে বয়েলড রাইস, সেইসঙ্গে আলু সেদ্ধও।

প্রতিটি কোর্সের পরই মুখের স্বাদবদলের জন্য ছিল ‘পাঞ্চ রোমেইন’। ওয়াইন, রাম ও শ্যাম্পেন দিয়ে তৈরি বিশেষ ধরনের একটি ড্রিংক। এছাড়াও ছিল চারট্রিউজ জেলি, চকোলেট, ভ্যানিলা, ওয়ালডর্ফ পুডিং, ফ্রেঞ্চ আইসক্রিম প্রভৃতি। একদম শেষপাতে রকমারি ফল, বাদাম ও চিজ। সবশেষে কফি, সিগার ও কর্ডিয়াল। অর্কেস্ট্রার বাদ্যের সঙ্গে এলাহি ভূরিভোজের আয়োজনে ডাইনিং রুমে তৈরি হত এক অন্যরকম মাদকতা।

সূত্র: জিনিউজ টুয়েন্টিফোর।