কালীগঞ্জে হত্যাকান্ডের জেরে চলছে বাড়ীঘর ভাংচুর

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০২:১৯:৩৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সিমলা-রোকনপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে একটি হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে চলছে বাড়ী ঘর ভাংচুর। জীবন নাশের ভয়ে বাড়ী ছাড়া ওই গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার।

জানা গেছে, সম্প্রতি আধিপত্য বিস্তারের জেরে গত ১৫ মার্চ মনোহরপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা বিপুল মন্ডল প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলী, সামছুল হক, তহিদুল ইসলামসহ কয়েকজনের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়।

হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে মামলা দায়েরের পর কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতার নেতৃত্বে হাসান, আরিফুল, কালো শহিদুল, আকরাম, জাহাঙ্গীর, নাজমুলসহ আরও কয়েক জন বাড়ী ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। তাদের ভয়ে ৩ টি পরিবার এখন ভিটেমাটি ছাড়া।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, হত্যাকান্ডের আগে থেকে তারা কেউ বাড়ীতে ছিলেন না। তবুও পুর্ব শুত্রুতার জের ধরে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। শুধু মিথ্যা মামলায় দেয়নি, তাদের বাড়ী ঘর ভাংচুর করে লুটপাট করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও দলীয় ক্যাডারদের ভয়ে তারা বাড়ী ফিরতে পারছেন না। তাদের দাবী এই হত্যা কান্ডের সাথে যারা জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আর যাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তাদের মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হোক।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, হত্যার ঘটনার পরপরই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছিল বলে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় তারা কেউ আমার কাছে অভিযোগ করে নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালীগঞ্জে হত্যাকান্ডের জেরে চলছে বাড়ীঘর ভাংচুর

আপডেট সময় : ০২:১৯:৩৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সিমলা-রোকনপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে একটি হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে চলছে বাড়ী ঘর ভাংচুর। জীবন নাশের ভয়ে বাড়ী ছাড়া ওই গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার।

জানা গেছে, সম্প্রতি আধিপত্য বিস্তারের জেরে গত ১৫ মার্চ মনোহরপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা বিপুল মন্ডল প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলী, সামছুল হক, তহিদুল ইসলামসহ কয়েকজনের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়।

হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে মামলা দায়েরের পর কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতার নেতৃত্বে হাসান, আরিফুল, কালো শহিদুল, আকরাম, জাহাঙ্গীর, নাজমুলসহ আরও কয়েক জন বাড়ী ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। তাদের ভয়ে ৩ টি পরিবার এখন ভিটেমাটি ছাড়া।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, হত্যাকান্ডের আগে থেকে তারা কেউ বাড়ীতে ছিলেন না। তবুও পুর্ব শুত্রুতার জের ধরে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। শুধু মিথ্যা মামলায় দেয়নি, তাদের বাড়ী ঘর ভাংচুর করে লুটপাট করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও দলীয় ক্যাডারদের ভয়ে তারা বাড়ী ফিরতে পারছেন না। তাদের দাবী এই হত্যা কান্ডের সাথে যারা জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আর যাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তাদের মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হোক।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, হত্যার ঘটনার পরপরই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছিল বলে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় তারা কেউ আমার কাছে অভিযোগ করে নি।