শিরোনাম :
Logo ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন Logo পলাশবাড়ীতে ধানের শীর্ষ প্রতিকের পক্ষে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo হাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ব্র‍্যাকনেট প্রেজেন্টস আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম ২০২৫ Logo সাজিদের মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’ দাবি করে ইবি শিক্ষার্থীদের প্রেস কনফারেন্স Logo শেরপুরে ‘রূপসী শেরপুর’-এর মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন Logo জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত Logo খাগড়াছড়ির ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন Logo সাজিদের জানাজা সম্পন্ন, মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্তের ঘোষণা Logo ঊচত এর দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

আমি সম্মানী ব্যক্তি… খোঁজার চেষ্টা করবেন না

  • আপডেট সময় : ০২:২৩:৫৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর হাতিরঝিলে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি রোববার দিবাগত রাতে ফেলে রেখে যায় একটি বিলাসবহুল পোরশে গাড়ি।

সোমবার সকালে গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দার একটি দল। গাড়ির চাবি ভেতরে পাওয়া যায়। গাড়ির ড্রাইভারের সিটে একটি চিঠি পাওয়া যায়।

চিঠিটি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মইনুল খান বরাবর লেখা। চিঠিতে লেখক তার পরিচয় প্রকাশ করেননি। তবে তিনি নিজেকে সমাজের একজন সম্মানিত ব্যক্তি বলে দাবি করেন।

চিঠিতে শুল্ক গোয়েন্দাদের দেশব্যাপী চলমান অভিযানের প্রশংসা করে বলা হয়, গাড়িটি তার খুব প্রিয় ছিল। তিনি সম্প্রতি জানতে পেরেছেন, গাড়িতে কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। তাই প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য তিনি গাড়িটি ফেলে রেখে যাচ্ছেন।

চিঠির লেখক ও গাড়ির মালিক তাকে খুঁজে বের না করার জন্য শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালকের কাছে অনুরোধ জানান।

চিঠিতে শুল্ক গোয়েন্দা মহাপরিচালককে উদ্দেশ করে লেখা হয়, ‘জনাব, আমি বিগত কয়েক বছর ধরে এই গাড়িটি ব্যবহার করছি। গাড়িটি আমার অনেক প্রিয় ও আবেগের। সম্প্রতি আমি জানতে পারি, এই গাড়িটিতে ট্যাক্স ফাকি দেওয়া হয়েছে। আমি সমাজের সম্মানী ব্যক্তি। আমাকে অনেকে একনামে চিনে। মানসম্মানের কথা ভেবে আমি নিজের ইচ্ছায় গাড়িটি ফেলে রেখে গেলাম। দয়া করে আমাকে আপনারা খোজার চেষ্টা করবেন না। সারাদেশ ব্যাপী পরিচালিত আপনাদের অভিযানগুলো আমি প্রশংসা করছি। আমার অতি প্রিয় এই গাড়িটিতে ট্যাক্স ফাকি দিয়ে অন্যায় করলেও এটি জমা দেয়ার মাধ্যমে আমি সেটির প্রাশ্চিত্য করলাম।’

চিঠিতে ‘ইতি’ এর পর কোনো নাম উল্লেখ করা হয়নি কিংবা কারো স্বাক্ষরও নেই।

 

উল্লেখ্য, নথিপত্র সূত্রে শুল্ক গোয়েন্দা জানায়, গাড়িটি ২০১০ সালে কারনেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় বাংলাদেশে আমদানি করা হয়। গাড়িটির মালিক ইংল্যান্ডের নাগরিক ফরিদা রশিদ। তিন মাসের মধ্যে পুনঃরপ্তানির শর্তে আনা হলেও তা ফেরত দেওয়া হয়নি। গাড়িটির আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি টাকা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন

আমি সম্মানী ব্যক্তি… খোঁজার চেষ্টা করবেন না

আপডেট সময় : ০২:২৩:৫৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর হাতিরঝিলে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি রোববার দিবাগত রাতে ফেলে রেখে যায় একটি বিলাসবহুল পোরশে গাড়ি।

সোমবার সকালে গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দার একটি দল। গাড়ির চাবি ভেতরে পাওয়া যায়। গাড়ির ড্রাইভারের সিটে একটি চিঠি পাওয়া যায়।

চিঠিটি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মইনুল খান বরাবর লেখা। চিঠিতে লেখক তার পরিচয় প্রকাশ করেননি। তবে তিনি নিজেকে সমাজের একজন সম্মানিত ব্যক্তি বলে দাবি করেন।

চিঠিতে শুল্ক গোয়েন্দাদের দেশব্যাপী চলমান অভিযানের প্রশংসা করে বলা হয়, গাড়িটি তার খুব প্রিয় ছিল। তিনি সম্প্রতি জানতে পেরেছেন, গাড়িতে কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। তাই প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য তিনি গাড়িটি ফেলে রেখে যাচ্ছেন।

চিঠির লেখক ও গাড়ির মালিক তাকে খুঁজে বের না করার জন্য শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালকের কাছে অনুরোধ জানান।

চিঠিতে শুল্ক গোয়েন্দা মহাপরিচালককে উদ্দেশ করে লেখা হয়, ‘জনাব, আমি বিগত কয়েক বছর ধরে এই গাড়িটি ব্যবহার করছি। গাড়িটি আমার অনেক প্রিয় ও আবেগের। সম্প্রতি আমি জানতে পারি, এই গাড়িটিতে ট্যাক্স ফাকি দেওয়া হয়েছে। আমি সমাজের সম্মানী ব্যক্তি। আমাকে অনেকে একনামে চিনে। মানসম্মানের কথা ভেবে আমি নিজের ইচ্ছায় গাড়িটি ফেলে রেখে গেলাম। দয়া করে আমাকে আপনারা খোজার চেষ্টা করবেন না। সারাদেশ ব্যাপী পরিচালিত আপনাদের অভিযানগুলো আমি প্রশংসা করছি। আমার অতি প্রিয় এই গাড়িটিতে ট্যাক্স ফাকি দিয়ে অন্যায় করলেও এটি জমা দেয়ার মাধ্যমে আমি সেটির প্রাশ্চিত্য করলাম।’

চিঠিতে ‘ইতি’ এর পর কোনো নাম উল্লেখ করা হয়নি কিংবা কারো স্বাক্ষরও নেই।

 

উল্লেখ্য, নথিপত্র সূত্রে শুল্ক গোয়েন্দা জানায়, গাড়িটি ২০১০ সালে কারনেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় বাংলাদেশে আমদানি করা হয়। গাড়িটির মালিক ইংল্যান্ডের নাগরিক ফরিদা রশিদ। তিন মাসের মধ্যে পুনঃরপ্তানির শর্তে আনা হলেও তা ফেরত দেওয়া হয়নি। গাড়িটির আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি টাকা।