নিউজ ডেস্ক:
হিন্দি মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা৷ ঠিকঠাক ইংরাজিও বলে উঠতে পারত না ছেলেটা। কিন্তু হাল ছাড়তে একদমই নারাজ ছিল।
সিনেমার সাব-টাইটেল জোরে জোরে উচ্চারণ করত। যাতে ইংরাজি উচ্চারণ সঠিক হয়। ফল, আজ রাজস্থানের অখ্যাত গ্রামের রাম চন্দ্র (২৬) গুগলের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।আমেরিকার সিটলে গুগলের বিশাল অফিসে বসেন ছেলে, আর বাবা আজও রাজস্থানের সোজাট এলাকায় ট্রাকে হেনা তোলার দিনমজুর হিসেবে কাজ করে চলেছেন। না, এর নেপথ্যে রাম চন্দ্রের অবহেলার কোন কাহিনী লুকিয়ে নেই। রয়েছে কাজপাগল একটা মানুষের কাহিনী। একদিন যে কাজ পেটে অন্ন জুগিয়েছে, ছেলের পড়াশোনার খরচ কিছুটা হলেও দিয়েছে, সেই কাজের মোহ এই ভাল সময়ে এসেও ছাড়তে পারবেন না তেজারাম (৫০)। যতদিন পারবেন, তাই কাজ করে যাবেন তিনি।
আইআইটি-রুরকি থেকে ডিগ্রি নিয়ে ২০১৩ সালে গুগলে চাকরি পাওয়ার পর পড়াশোনার জন্য নেওয়া লোন শোধ করেছেন৷ বাড়ির কিছু মেরামতির কাজও করেছেন রাম চন্দ্র৷ বাবাকে বহুবার বিশ্রাম নেওয়ার অনুরোধ করেছেন৷ কিন্তু কাজ ছাড়তে নারাজ তেজারাম৷ বাবার এই আদর্শকেই নিজের জীবনের মন্ত্র করে চলছেন রাম৷ মার্কিন মুলুকে থেকেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের মেধাবি পড়ুয়াদের ক্লাস করান৷ যাতে তাঁরা আইআইটি প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন৷ নিজের ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেই ফিরে আসতে চান স্বদেশে৷ সমাজের উন্নতি-যজ্ঞে সঁপে দিতে চান নিজেকে৷