ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দেবতোষ সরকার দিব্য মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ১ অক্টোবর সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ভ্রমণের সময় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন দিব্য। এতে তার একটি পা ভেঙে যায় এবং পরে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে। সেখানে চার দফা অস্ত্রোপচার করা হয়। দীর্ঘ এক মাস ধরে তিনি ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পরিবারের বরাতে জানা যায়, গত বুধবার হঠাৎ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসক তাকে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে স্থানান্তরের পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ বিষয়ে দিব্যের ছোট মামা গৌতম সরকার বলেন, “চিকিৎসকদের অবহেলা ও অযত্নের কারণেই আমার ভাগ্নের মৃত্যু হয়েছে। সার্জারির পর তাকে অতিমাত্রায় শক্ত অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, কিন্তু পরে সেটি পরিবর্তন করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট সিনিয়র ডাক্তার অনুপস্থিত থাকায় কেউ পরিবর্তনের সাহসও দেখায়নি। এই অব্যবস্থাপনার ফলেই দিব্যের অবস্থার অবনতি ঘটে।” তিনি আরও জানান, স্থানীয় শ্মশানঘাটে শাস্ত্রীয় বিধি অনুসারে দিব্যের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।
দিব্যের মৃত্যুতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষক ও সহপাঠীরা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের সনাতনী শিক্ষার্থীরাও এই অকাল মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোকাহত।
সমাজকল্যাণ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আসমা সাদিয়া রুনা বলেন, “দিব্য ছিল ভদ্র, মেধাবী ও পরিশ্রমী একজন শিক্ষার্থী। তার এমন অকাল মৃত্যু আমাদের জন্য গভীর শোকের বিষয়। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। সবাই তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন।”
উল্লেখ্য, দেবতোষ সরকার দিব্য সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানার গোলাপগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সন্তোষ কুমার সরকারের বড় ছেলে ছিলেন।



















































