খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) ডিসিপ্লিনের সাতজন কৃতী শিক্ষার্থী সাকুরা সায়েন্স এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিতে জাপান যাচ্ছেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এ বছর মার্চ মাসে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এর আওতায় এই এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসিই ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. সোহেল মাহমুদ শের।
এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- ইসিই ডিসিপ্লিনের মাস্টার্স ’২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, ইমু খাতুন ও চৈতালী নন্দী এবং ব্যাচেলর ’২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ সবুজ আলী, অন্তু কুমার গুহ, শাওন ইসলাম ও অমিত বালা।
আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা জাপানে অবস্থানকালে ইউনিভার্সিটি অব ইয়ামানাশিতে আয়োজিত এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় ল্যাব ভিজিট, ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি ভিজিটে অংশ নেবেন। আধুনিক প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও অপটিক্যাল কমিউনিকেশনের অগ্রগতির পাশাপাশি তারা জাপানের সংস্কৃতি ও শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কেও প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন।
এদিকে আজ ১৯ অক্টোবর (শনিবার) সকাল ১০টায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা উপাচার্যকে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের কার্যক্রমের বিষয়াদি অবহিত করেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে উপাচার্য বলেন, তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। তিনি ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ইসিই ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ শামীম আহসান এর ভূমিকা স্মরণ করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই যারা আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত রয়েছেন, তাদের এ ধরনের আরও ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশনের সুযোগ তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, যেসব শিক্ষার্থী এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করছে, তাদের অন্যতম দায়িত্ব হবে উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তি কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা। পাশাপাশি, তিনি ভবিষ্যতে ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ লাভের জন্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন।
প্রসঙ্গত, এ বছর বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমোট ১০ জন শিক্ষার্থী বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে গমনের সুযোগ লাভ করেছেন। শিক্ষার্থীদের এই এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক কোলাবরেশনের ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সৌজন্য সাক্ষাৎকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দি অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আশিক উর রহমান উপস্থিত ছিলেন।