চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ। দীর্ঘ পথচলায় এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে। মঙ্গলবার সকালটা ছিলো কলেজের ইতিহাসে বিশেষ এক দিন। কলেজ মিলনায়তনে বসেছিল নবগঠিত গভর্নিং বডির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পরিচিতি সভা। কলেজ মিলনায়তন ভরে ওঠে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের পদচারণায়। সবার চোখেমুখে ছিলো প্রত্যাশা আর আশাবাদের ঝিলিক।
সভায় নবগঠিত গভর্নিং বডির সভাপতি মোঃ মামুনুর রশিদ মোল্লা, বিদ্যুৎসাহী সদস্য ইউসুফ মিয়া, মিজানুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ফরহাদ, হিতৈষী সদস্য আলমগীর হোসেন স্বপনসহ সকলকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। একইসঙ্গে সদস্য মোঃ হান্নান, সাইফুর রহমান বাহাদুর, শিক্ষক প্রতিনিধি আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, ইয়ার আহমেদ ও নিগার সুলতানাকেও ফুলেল শুভেচ্ছায় সম্মান জানানো হয়। কর্মচারীরাও নতুন কমিটিকে সংবর্ধনা দেন।
সভাপতি মোঃ মামুনুর রশিদ মোল্লা বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নীত করতে হলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সম্মিলিত ভূমিকা অপরিহার্য। কলেজের মানোন্নয়নে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করবো।”
বিদ্যুৎসাহী সদস্য ইউসুফ মিয়া বলেন, “সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. এহসানুল হক মিলনের প্রচেষ্টায় নকলমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। এখনো আমাদের বলতে হবে—নকলকে ‘না’ বলতে হবে, সুন্দরভাবে পড়াশোনার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। অপরাধ প্রবণতা ও মাদক দূর করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”
সহকারী অধ্যাপক আবুল খায়েরের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক জসিম উদ্দিন মোল্লা, শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, নিগার সুলতানা ও সহকারী অধ্যাপক রনজিত দত্ত। তারা কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়ন, শৃঙ্খলা রক্ষা ও শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চর্চা নিয়ে নানা মতামত তুলে ধরেন।
একই দিনে সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিনজন শিক্ষককে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। কলেজ পরিবারের এই নতুন সদস্যদের যুক্ত হওয়ায় শিক্ষক সমাজে আনন্দের সঞ্চার ঘটে।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক, সাবেক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন মোল্লাসহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারী। পুরো ক্যাম্পাসে ছিলো এক ধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ।
এই দিনটি যেন হয়ে রইলো পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের অঙ্গীকার। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পরিচালনা পর্ষদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা একদিন এ শিক্ষাঙ্গনকে আরও আলোকিত করে তুলবে—এমনটাই প্রত্যাশা সবার।