শিরোনাম :
Logo কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট Logo লক্ষ্মীপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের নগদ অর্থ প্রদান Logo বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চাঁদপুরে স্মরণকালের বর্ণাঢ্য র‌্যালি Logo জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শ্রীরাধার প্রেম ও প্রার্থনায় মুখর ইবির টিএসএসসি প্রাঙ্গণ Logo চবি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ Logo রাকসু নিয়ে উত্তেজনা ; বক্তব্য দেওয়ার সময় শিবির সভাপতির বুকে বোতল নিক্ষেপ Logo মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পানির ফিল্টার দিলেন স্বেচ্ছাসেবী নারী উদ্যোক্তা সংগঠন বিজয়ী Logo চাঁদপুরে মাদক নির্মূলে সাহসিকতার সাথে কাজ করছে সহকারী পরিচালক মুহাঃ মিজানুর রহমান Logo পশ্চিম ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা – ঐক্যবদ্ধভাবে মিলনকে এমপি করার অঙ্গীকার

স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৩:৪৯ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • ৭৩০ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের হাতুড়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার ভূক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলো, জামপুর ইউনিয়নের হাতুরাপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ, লাল চান মিয়া এবং ফয়েজ ভূঁইয়া।

জানা গেছে, সাদিপুর ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল। পথে অভিযুক্ত আব্দুলাহ কাঁঠাল খাওয়ানোর কথা বলে তার বাসায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আব্দুল্লাহ ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক তার ঘরে নিয়ে আটকে ফেলে। এক পর্যায়ে অন্য আরো দুই সহযোগীকে ফোনে ডেকে নিয়ে তিনজন মিলে ভূক্তভোগীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ভূক্তভোগীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আইনের আশ্রয় নিলে তার পরিবারের সকল সদস্যকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ভূক্তভোগীর মাকে (বাদী) ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী সাত্তার ও আক্কাস আলীর নেতৃত্বে একটি দল। ভূক্তভোগী পরিবারকে এক লাখ টাকা দিয়ে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

ভূক্তভোগী ওই ছাত্রীর বোন জামাই বলেন, তার স্ত্রীর ছোট বোনকে তিনদিন আগে স্কুল থেকে ফেরার পথে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ তার পথ আটকে নিজের বাসায় নিয়ে যায়। ওইসময় আব্দুল্লাহ বলেছিল যে আব্দুল্লাহর স্ত্রী তার জন্য কাঁঠাল রেখেছে। এ কথা মতো ওই ছাত্রী আব্দুল্লাহর সঙ্গে তার বাসায় যান। সেসময় তার স্ত্রী বাসায় ছিলো না। আব্দুল্লাহর স্ত্রীর কথা জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ কোন উত্তর না দিয়ে মুখ ও হাত পা বেধে তার দুই সহযোগীকে ফোন দিয়ে বাসায় নিয়ে যায়। পরে তারা তিনজন মিলে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে তার শাশুড়ি এ ঘটনা শুনে তালতলা ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন। অভিযোগের তিন দিন হলেও তারা কোনো সমাধান পাননি বলে অভিযোগ করেন। ঘটনাটিকে টাকার বিনিময়ে মিমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করেন। এমন কিছু হলে অবশ্যই তিনি জানতেন। এটা অপপ্রচার।

তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় বাদী অভিযোগ করলেও মামলা দায়েরের বিষয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। তিনি সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বাদি ও তার পরিবারের কাউকে তিনি পাননি। টাকার বিনিময়ে মিমাংসার বিষয়ে তিনি বলেন, তার এ সম্পর্কে জানা নেই। তবে পরিদর্শন করেছেন।

এ ঘটনা ধামাপাচা দেওয়ার বিষয়ে অভিযুক্ত আক্কাস আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অস্বীকার করেন। তিনি এ ঘটনার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।

তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (ইনচার্জ) আব্দুল হক বলেন, ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত না। এসআইয়ের সঙ্গে কথা বলে জেনে বিস্তারিত বলতে পারবেন।

সোনারগাঁ থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি জেনেছেন। তিনি নতুন যোগদান করেছেন। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্তের দায়িত্বে থাকা এসআইকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট

স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

আপডেট সময় : ০৯:৪৩:৪৯ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের হাতুড়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার ভূক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলো, জামপুর ইউনিয়নের হাতুরাপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ, লাল চান মিয়া এবং ফয়েজ ভূঁইয়া।

জানা গেছে, সাদিপুর ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল। পথে অভিযুক্ত আব্দুলাহ কাঁঠাল খাওয়ানোর কথা বলে তার বাসায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আব্দুল্লাহ ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক তার ঘরে নিয়ে আটকে ফেলে। এক পর্যায়ে অন্য আরো দুই সহযোগীকে ফোনে ডেকে নিয়ে তিনজন মিলে ভূক্তভোগীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ভূক্তভোগীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আইনের আশ্রয় নিলে তার পরিবারের সকল সদস্যকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ভূক্তভোগীর মাকে (বাদী) ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী সাত্তার ও আক্কাস আলীর নেতৃত্বে একটি দল। ভূক্তভোগী পরিবারকে এক লাখ টাকা দিয়ে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

ভূক্তভোগী ওই ছাত্রীর বোন জামাই বলেন, তার স্ত্রীর ছোট বোনকে তিনদিন আগে স্কুল থেকে ফেরার পথে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ তার পথ আটকে নিজের বাসায় নিয়ে যায়। ওইসময় আব্দুল্লাহ বলেছিল যে আব্দুল্লাহর স্ত্রী তার জন্য কাঁঠাল রেখেছে। এ কথা মতো ওই ছাত্রী আব্দুল্লাহর সঙ্গে তার বাসায় যান। সেসময় তার স্ত্রী বাসায় ছিলো না। আব্দুল্লাহর স্ত্রীর কথা জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ কোন উত্তর না দিয়ে মুখ ও হাত পা বেধে তার দুই সহযোগীকে ফোন দিয়ে বাসায় নিয়ে যায়। পরে তারা তিনজন মিলে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে তার শাশুড়ি এ ঘটনা শুনে তালতলা ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন। অভিযোগের তিন দিন হলেও তারা কোনো সমাধান পাননি বলে অভিযোগ করেন। ঘটনাটিকে টাকার বিনিময়ে মিমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করেন। এমন কিছু হলে অবশ্যই তিনি জানতেন। এটা অপপ্রচার।

তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় বাদী অভিযোগ করলেও মামলা দায়েরের বিষয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। তিনি সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বাদি ও তার পরিবারের কাউকে তিনি পাননি। টাকার বিনিময়ে মিমাংসার বিষয়ে তিনি বলেন, তার এ সম্পর্কে জানা নেই। তবে পরিদর্শন করেছেন।

এ ঘটনা ধামাপাচা দেওয়ার বিষয়ে অভিযুক্ত আক্কাস আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অস্বীকার করেন। তিনি এ ঘটনার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।

তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (ইনচার্জ) আব্দুল হক বলেন, ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত না। এসআইয়ের সঙ্গে কথা বলে জেনে বিস্তারিত বলতে পারবেন।

সোনারগাঁ থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি জেনেছেন। তিনি নতুন যোগদান করেছেন। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্তের দায়িত্বে থাকা এসআইকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।