শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

কক্সবাজারে নামছে বন্যার পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:৫১:৫৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারে বৃষ্টি থামায় নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। সদর উপজেলার কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকলেও পাঁচ উপজেলার শতাধিক গ্রাম থেকে পানি নামছে বলে জানা গেছে। ঘরে পানি ওঠায় দুর্ভোগ বেড়েছে দুর্গত এলাকার মানুষজনের। প্রশাসন থেকে কিছু এলাকায় শুকনা খাবার পৌঁছালেও পানির কারণে অনেক বাড়িতেই চুলা জ্বলেনি।

জেলায় আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে না। টানা চার দিনের বর্ষণ ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে এখনো কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও চকরিয়া উপজেলার শতাধিক গ্রামের অন্তত ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছিলেন। এর মধ্যে কেবল টেকনাফের অন্তত ৫০টি গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছিল।

তবে ওই সব এলাকা থেকে এখন পানি নামছে।কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান বলেন, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮৮ মিলিমিটার। এর মধ্যে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১১ মিলিমিটার। ৭ জুলাই বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছিল ১৫৭ এবং ৬ জুলাই ১৪৬ মিলিমিটার। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে ভূমিধসেরও আশঙ্কা করছে আবহাওয়া বিভাগ।

এদিকে বাঁকখালী ও মাতামুহুরী নদীর পানি বঙ্গোপসাগরে নেমে যাওয়ায় চকরিয়া, পেকুয়া, রামু, কক্সবাজার সদর উপজেলার জলাবদ্ধতা কমে গেছে। ঘরবাড়ি থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ-ভোগান্তি কমছে না। বন্যার পানিতে এসব উপজেলায় অন্তত দুই হাজার ঘরবাড়ি নিমজ্জিত হয়েছিল।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, বৃষ্টিপাত কমায় পানি নামছে। ঘরবাড়ি থেকেও পানি সরে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে চাল ও শুকনা খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

কক্সবাজারে নামছে বন্যার পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

আপডেট সময় : ০৪:৫১:৫৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

কক্সবাজারে বৃষ্টি থামায় নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। সদর উপজেলার কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকলেও পাঁচ উপজেলার শতাধিক গ্রাম থেকে পানি নামছে বলে জানা গেছে। ঘরে পানি ওঠায় দুর্ভোগ বেড়েছে দুর্গত এলাকার মানুষজনের। প্রশাসন থেকে কিছু এলাকায় শুকনা খাবার পৌঁছালেও পানির কারণে অনেক বাড়িতেই চুলা জ্বলেনি।

জেলায় আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে না। টানা চার দিনের বর্ষণ ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে এখনো কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও চকরিয়া উপজেলার শতাধিক গ্রামের অন্তত ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছিলেন। এর মধ্যে কেবল টেকনাফের অন্তত ৫০টি গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছিল।

তবে ওই সব এলাকা থেকে এখন পানি নামছে।কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান বলেন, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮৮ মিলিমিটার। এর মধ্যে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১১ মিলিমিটার। ৭ জুলাই বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছিল ১৫৭ এবং ৬ জুলাই ১৪৬ মিলিমিটার। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে ভূমিধসেরও আশঙ্কা করছে আবহাওয়া বিভাগ।

এদিকে বাঁকখালী ও মাতামুহুরী নদীর পানি বঙ্গোপসাগরে নেমে যাওয়ায় চকরিয়া, পেকুয়া, রামু, কক্সবাজার সদর উপজেলার জলাবদ্ধতা কমে গেছে। ঘরবাড়ি থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ-ভোগান্তি কমছে না। বন্যার পানিতে এসব উপজেলায় অন্তত দুই হাজার ঘরবাড়ি নিমজ্জিত হয়েছিল।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, বৃষ্টিপাত কমায় পানি নামছে। ঘরবাড়ি থেকেও পানি সরে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে চাল ও শুকনা খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।