শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

টেকনাফের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ২ হাজার পরিবার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:১৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • ৭২৬ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত চললেও শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে টেকনাফে টানা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়, যা সোমবার (৭ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত চলতে থাকে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কক্সবাজারে—১৪৬ মিলিমিটার। এর মধ্যে টেকনাফেই রেকর্ড করা হয়েছে ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তথ্যমতে, উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৮টি, হ্নীলা ইউনিয়নের ১২টি, টেকনাফ পৌরসভার ৭টি, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৬টি, সাবরাং ইউনিয়নের ৮টি এবং বাহারছড়া ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানান, তার ইউনিয়নের পূর্ব রঙিখালী এলাকায় টানা বর্ষণের ফলে প্রায় ৩০০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। খাল দখলের কারণে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ায় ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ বলেন, টানা বৃষ্টিতে আমাদের গ্রামে প্রায় বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। খাল দখলের কারণে পানি সরতে না পারায় ঘরবাড়ি পানির নিচে চলে গেছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, টানা বৃষ্টিতে আমার ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।

সাবরাং এলাকার বাসিন্দা ইমন বলেন, নিচু এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক পরিবার রান্না করতে না পেরে না খেয়ে আছে। দ্রুত ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান জানান, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সমন্বয় করে শুকনো খাবার সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

টেকনাফের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ২ হাজার পরিবার

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:১৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত চললেও শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে টেকনাফে টানা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়, যা সোমবার (৭ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত চলতে থাকে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কক্সবাজারে—১৪৬ মিলিমিটার। এর মধ্যে টেকনাফেই রেকর্ড করা হয়েছে ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তথ্যমতে, উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৮টি, হ্নীলা ইউনিয়নের ১২টি, টেকনাফ পৌরসভার ৭টি, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৬টি, সাবরাং ইউনিয়নের ৮টি এবং বাহারছড়া ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানান, তার ইউনিয়নের পূর্ব রঙিখালী এলাকায় টানা বর্ষণের ফলে প্রায় ৩০০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। খাল দখলের কারণে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ায় ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ বলেন, টানা বৃষ্টিতে আমাদের গ্রামে প্রায় বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। খাল দখলের কারণে পানি সরতে না পারায় ঘরবাড়ি পানির নিচে চলে গেছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, টানা বৃষ্টিতে আমার ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।

সাবরাং এলাকার বাসিন্দা ইমন বলেন, নিচু এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক পরিবার রান্না করতে না পেরে না খেয়ে আছে। দ্রুত ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান জানান, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সমন্বয় করে শুকনো খাবার সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে।