মাদারীপুর জেলায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে নারী ও শিশুসহ তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পৃথক স্থানে এই মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, প্রতিটি ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে এবং খুব শিগগিরই প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে।
১ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুরে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের কুমার নদে বস্তাবন্দি অবস্থায় এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা নদীতে ভাসমান বস্তাটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পরে সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এখনও পর্যন্ত নিহত নারীর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া, গত ৫ জুলাই (শনিবার) দুপুরে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাঝেরকান্দি গ্রামে একটি পাটক্ষেত থেকে এলজিইডির সাবেক অফিস সহকারী আব্দুল জলিল শিকদারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আহাম্মদ শিকদারের ছেলে।
একই দিন রাতে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সাতপাড় গ্রামে রাখি মজুমদার (৬) নামে এক শিশুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে শিশির মজুমদারের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে পরিবারের সদস্যরা একটি বিয়েবাড়ির দাওয়াতে যান। পরে ঘরে রাখিকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে রান্নাঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত রাখিকে দেখতে পান স্বজনরা। দ্রুত উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোমবার সকালে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হাসান জানান, আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে উদ্ধার হওয়া নারীর লাশ উদ্ধারে নৌ-পুলিশও কাজ করছে। পাশাপাশি কালকিনিতে পাটক্ষেত এবং রাজৈরে রান্নাঘর থেকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাগুলোতেও তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, “আমরা প্রত্যাশা করছি, খুব শিগগিরই প্রতিটি ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন সম্ভব হবে।