শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজন সন্ত্রাসী আটক Logo মহেশখালীতে কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলা-বারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদিসহ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারিগর আটক: Logo সাতক্ষীরা-০২ এ ধানের শীষের জয়ে নতুন অধ্যায়—বিএনপির একতাবদ্ধ ঘোষণা Logo বুটেক্স অ্যালামনাই ইউএসএ-এর আত্মপ্রকাশ: যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মিলনমেলা ও কমিটি গঠন Logo বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন আগামী ২৭ ডিসেম্বর Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা

গাজায় ইসরায়েল ও মার্কিন সমর্থিত ত্রাণ সংস্থা বন্ধের দাবি দাতব্য সংস্থাগুলোর

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:২৯:৫৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

১৩০ টিরও বেশি দাতব্য সংস্থা এবং এনজিও বিতর্কিত ইসরায়েল ও মার্কিন সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে। মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

সংগঠনগুলো জানিয়েছে, মে মাসের শেষের দিকে ইসরায়েলের তিন মাসের অবরোধের পর থেকে জিএইচএফ সাহায্য চাইতে গিয়ে ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। প্রায় চার হাজার জন আহত হয়েছে।

অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং অ্যামনেস্টিসহ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সাহায্য চাইতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের উপর ‘নিয়মিত’ গুলি চালায়।

ইসরায়েল তার সেনাদের ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণ গ্রহীতাদের উপর গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং জিএইচএফ ব্যবস্থাকে সমর্থন করে জানিয়েছে, সংস্থাটি হামাসের হস্তক্ষেপকে উপেক্ষা করে যাদের প্রয়োজন তাদের সরাসরি সহায়তা প্রদান করে।বিশ্বের কয়েকটি বৃহত্তম দাতব্য সংস্থার মঙ্গলবারের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফাউন্ডেশন মানবিক কাজের সব নিয়ম লঙ্ঘন করছে, যার মধ্যে রয়েছে ২০ লাখ মানুষকে জনাকীর্ণ এবং সামরিকায়িত অঞ্চলে জোর করে পাঠানো যেখানে তারা প্রতিদিন গুলিবর্ষণের মুখোমুখি হয়।

গাজায় জিএইচএফ কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে, প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে এই স্থানগুলোতে সাহায্যপ্রার্থী মানুষদের হত্যার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

জিএইচএফ সাহায্য বিতরণ ব্যবস্থা ইসরায়েল-হামাসের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় পরিচালিত ৪০০টি সাহায্য বিতরণ কেন্দ্রের পরিবর্তে মাত্র চারটি সামরিক-নিয়ন্ত্রিত বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে, যার মধ্যে তিনটি গাজার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং একটি মধ্য গাজায়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আজ, গাজার ফিলিস্তিনিরা একটি অসম্ভব পরিস্থিতির মুখোমুখি: তাদের পরিবারের জন্য খাবার পৌঁছানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা করার সময় অনাহারে থাকা অথবা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে। নিহতদের মধ্যে এতিম শিশু এবং বৃদ্ধরা রয়েছেন, এই স্থানগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের উপর অর্ধেকেরও বেশি হামলায় শিশুরা আহত হয়েছে।”

 

জাতিসংঘের সংস্থাগুলি জিএইচএফের ত্রাণ  ব্যবস্থার নিন্দা জানিয়েছে। শুক্রবার, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এটিকে ‘স্বভাবতই অনিরাপদ’ বলে অভিহিত করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

গাজায় ইসরায়েল ও মার্কিন সমর্থিত ত্রাণ সংস্থা বন্ধের দাবি দাতব্য সংস্থাগুলোর

আপডেট সময় : ০৬:২৯:৫৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

১৩০ টিরও বেশি দাতব্য সংস্থা এবং এনজিও বিতর্কিত ইসরায়েল ও মার্কিন সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে। মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

সংগঠনগুলো জানিয়েছে, মে মাসের শেষের দিকে ইসরায়েলের তিন মাসের অবরোধের পর থেকে জিএইচএফ সাহায্য চাইতে গিয়ে ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। প্রায় চার হাজার জন আহত হয়েছে।

অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং অ্যামনেস্টিসহ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সাহায্য চাইতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের উপর ‘নিয়মিত’ গুলি চালায়।

ইসরায়েল তার সেনাদের ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণ গ্রহীতাদের উপর গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং জিএইচএফ ব্যবস্থাকে সমর্থন করে জানিয়েছে, সংস্থাটি হামাসের হস্তক্ষেপকে উপেক্ষা করে যাদের প্রয়োজন তাদের সরাসরি সহায়তা প্রদান করে।বিশ্বের কয়েকটি বৃহত্তম দাতব্য সংস্থার মঙ্গলবারের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফাউন্ডেশন মানবিক কাজের সব নিয়ম লঙ্ঘন করছে, যার মধ্যে রয়েছে ২০ লাখ মানুষকে জনাকীর্ণ এবং সামরিকায়িত অঞ্চলে জোর করে পাঠানো যেখানে তারা প্রতিদিন গুলিবর্ষণের মুখোমুখি হয়।

গাজায় জিএইচএফ কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে, প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে এই স্থানগুলোতে সাহায্যপ্রার্থী মানুষদের হত্যার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

জিএইচএফ সাহায্য বিতরণ ব্যবস্থা ইসরায়েল-হামাসের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় পরিচালিত ৪০০টি সাহায্য বিতরণ কেন্দ্রের পরিবর্তে মাত্র চারটি সামরিক-নিয়ন্ত্রিত বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে, যার মধ্যে তিনটি গাজার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং একটি মধ্য গাজায়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আজ, গাজার ফিলিস্তিনিরা একটি অসম্ভব পরিস্থিতির মুখোমুখি: তাদের পরিবারের জন্য খাবার পৌঁছানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা করার সময় অনাহারে থাকা অথবা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে। নিহতদের মধ্যে এতিম শিশু এবং বৃদ্ধরা রয়েছেন, এই স্থানগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের উপর অর্ধেকেরও বেশি হামলায় শিশুরা আহত হয়েছে।”

 

জাতিসংঘের সংস্থাগুলি জিএইচএফের ত্রাণ  ব্যবস্থার নিন্দা জানিয়েছে। শুক্রবার, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এটিকে ‘স্বভাবতই অনিরাপদ’ বলে অভিহিত করেছেন।