ফরিদগঞ্জে প্রেম করে বিয়ে: ৩ বছর পর গলায় ফাঁস!

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সায়েরা আক্তার বিথী (২২) নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন
শনিবার (২১ জুন) বিকেলে উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের মানিকরাজ গ্রামের জাল্লা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

বিথী মানিকরাজ গ্রামের প্রবাসী মো. সাগরের স্ত্রী। তার পিত্রালয় পাবনা জেলায়। এদিকে আত্মহত্যার ঘটনা রহস্যময় দাবী করছেন স্থানীয়রা।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিথীর সঙ্গে সাগরের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে কোনো অস্বাভাবিকতা ছিল না বলে দাবি স্বজনদের। এক বছর আগে সাগর জীবিকার তাগিদে বিদেশে যান।

শনিবার দুপুরে বিথীর পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়ে যার যার কক্ষে বিশ্রাম নেন। বিথীর শাশুড়ি নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় বিথী বাহির থেকে শাশুড়ির কক্ষের দরজা আটকে দিয়ে নিজের ঘরে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন।

পরে শাশুড়ি ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলতে না পেরে ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে বের করেন। তখন বিথীর কক্ষের দরজাও বন্ধ দেখে সবাই উদ্বিগ্ন হন। দরজা খোলার অনুরোধে সাড়া না পেয়ে জানালার থাইগ্লাস খুলে দেখা যায়, বিথী ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন।

স্থানীয় লোকজন বিথীর কক্ষের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে থানায় খবর দিলে ফরিদগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইবিতে নবীনবরণ সম্পন্ন

ফরিদগঞ্জে প্রেম করে বিয়ে: ৩ বছর পর গলায় ফাঁস!

আপডেট সময় : ০৭:২৫:৩৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সায়েরা আক্তার বিথী (২২) নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন
শনিবার (২১ জুন) বিকেলে উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের মানিকরাজ গ্রামের জাল্লা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

বিথী মানিকরাজ গ্রামের প্রবাসী মো. সাগরের স্ত্রী। তার পিত্রালয় পাবনা জেলায়। এদিকে আত্মহত্যার ঘটনা রহস্যময় দাবী করছেন স্থানীয়রা।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিথীর সঙ্গে সাগরের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে কোনো অস্বাভাবিকতা ছিল না বলে দাবি স্বজনদের। এক বছর আগে সাগর জীবিকার তাগিদে বিদেশে যান।

শনিবার দুপুরে বিথীর পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়ে যার যার কক্ষে বিশ্রাম নেন। বিথীর শাশুড়ি নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় বিথী বাহির থেকে শাশুড়ির কক্ষের দরজা আটকে দিয়ে নিজের ঘরে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন।

পরে শাশুড়ি ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলতে না পেরে ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে বের করেন। তখন বিথীর কক্ষের দরজাও বন্ধ দেখে সবাই উদ্বিগ্ন হন। দরজা খোলার অনুরোধে সাড়া না পেয়ে জানালার থাইগ্লাস খুলে দেখা যায়, বিথী ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন।

স্থানীয় লোকজন বিথীর কক্ষের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে থানায় খবর দিলে ফরিদগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’