শিরোনাম :
Logo শ্যামনগরে ৪৫ কেজি হরিণের মাংস ও ১২টি পা জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড Logo খুবিতে জুলাই বিপ্লব বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহে তদন্ত কমিটি গঠন Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের বিশাল গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত  পিআর নিয়ে কোনোপ্রকার টালবাহানা দেশের মানুষ বরদাশত করবে না -মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম Logo বাবুরহাটে গোলাপ ফুলের সমর্থনে জাকের পার্টির “জনসভা ও র‍্যালী” Logo সুবিদপুরে মাদক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে ফুটবল ম্যাচ মাদক সেবনে মানুষের শারীরিক ও মানসিক উভয়প্রকার ক্ষতিসাধন হয় সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান Logo তুরস্কের চানকিরি কারাতেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইবি উপাচার্যের বিশেষ সংবর্ধনা Logo খুবিতে ইনোভেশন ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো “ইনভেনটাম ৪.০” Logo সিরাজগঞ্জে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর পক্ষে ধানের শীষে ভোট চেয়ে অমর কৃষ্ণ দাসের গণসংযোগ Logo জুলাই সনদে এনসিপির পরেও অংশগ্রহণের সুযোগ আছে : ধর্ম উপদেষ্টা Logo নারী টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন নাভগির

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচ অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল

‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন–এই তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রোববার (১ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার-এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অপর আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।

এর আগে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাস জুড়ে দেশব্যাপী সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাকে ‘প্রধান নির্দেশদাতা’ হিসেবে অভিযুক্ত করে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

২০২৪ সালের ১২ মে, তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা ‘জুলাই গণহত্যা’র বিষয়ে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা ছিলেন এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা।

এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দেয় যে, ২০ এপ্রিল-এর মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর, আরও দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের সময়সীমা দুই মাস নির্ধারণ করে দেয় ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র ছাত্র ও জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশদাতা এবং হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ছিলেন শেখ হাসিনা। আন্দোলন দমন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে গুলি ও হত্যাকাণ্ড চালায়, যার ফলে প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্যামনগরে ৪৫ কেজি হরিণের মাংস ও ১২টি পা জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচ অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৪৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন–এই তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রোববার (১ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার-এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অপর আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।

এর আগে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাস জুড়ে দেশব্যাপী সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাকে ‘প্রধান নির্দেশদাতা’ হিসেবে অভিযুক্ত করে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

২০২৪ সালের ১২ মে, তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা ‘জুলাই গণহত্যা’র বিষয়ে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা ছিলেন এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা।

এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দেয় যে, ২০ এপ্রিল-এর মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর, আরও দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের সময়সীমা দুই মাস নির্ধারণ করে দেয় ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র ছাত্র ও জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশদাতা এবং হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ছিলেন শেখ হাসিনা। আন্দোলন দমন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে গুলি ও হত্যাকাণ্ড চালায়, যার ফলে প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।