শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

প্রেমের টানে চুয়াডাঙ্গায় এসে বিয়ের পিড়িতে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:৩২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী আইজুমির (২৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার অনুপনগর নওদাপাড়া গ্রামের শোভন মিয়ার। গত ৯ মাস পূর্বে প্রেমিক শোভন মিয়া বাড়িতে ফিরে আসেন। প্রেমিককে খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে সোমবার (২৬ মে) সকালে শোভনের গ্রামের বাড়িতে এসে হাজির হন আইজুমি। রাতেই ধুমধাম করে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

ঘটনাটি এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বিদেশি এই তরুণীকে একনজর দেখতে অনেকেই ভিড় জমান শোভনের বাড়িতে। শোভনের পরিবার সাচ্ছন্দে গ্রহণ করেছে এই তরুণীকে।

সোমবার (২৬ মে) রাতে শোভন ও আইজুমির চুয়াডাঙ্গা কোর্টে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। দেনমোহর ধার্য করা হয় ১০ হাজার টাকা।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের অনুপনগর নওদাপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে শোভন মিয়া (৩০) প্রায় ১৩ বছর আগে জীবিকার তাগিদে সিঙ্গাপুরে যান। গত পাঁচ বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় সিঙ্গাপুরে কর্মরত ইন্দোনেশিয়ান তরুণী আইজুমির সঙ্গে। প্রথমে কথা বলা এরপর শুরু হয় দুজন দুজনকে ভালোলাগা। আর এই ভালো লাগায় পরিনত হয় প্রেমে। গত বছর দেশে আসেন শোভন। ফোনের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাদের দুজনের। ২৫ মে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আসেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ান তরুণী আইজুমি। সোমবার বেলা ১১টায় উপস্থিত হন আলমডাঙ্গা উপজেলার অনুপনগর গ্রামে প্রেমিক শোভনের বাড়িতে।

আইজুমি জানান, প্রিয় মানুষটিকে দেখার জন্য ছুটে এসেছি বাংলাদেশে। শোভন যদি চাই তাহলে আমি বিয়ে করতে রাজি। আমি শোভনের সঙ্গে থাকতে চাই। অবশেষে রাতেই তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, শোভন আমাদের এলাকার গর্ব তার প্রেমের টানে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের গ্রামে চলে এসেছে এই সুন্দরী তরুণী। শোভন আইজুমির জন্য দোয়া চেয়েছেন এলাকাবাসী।

শোভন মিয়া বলেন, “ভালোবাসা কখনোই জাত-বর্ণ বা দেশের বাধা মানে না। আমি গর্বিত যে জিমনিয়া আমাকে ও আমার পরিবারকে মেনে নিয়েছে।”তিনি আরো বলেন, প্রেম যদি খাঁটি হয় দূরত্ব কোন বিষয় নয়।

শোভনের মা জানান, “আমার ছেলে অনেক বছর প্রবাসে ছিল। সেখানে গিয়ে সে যাকে ভালোবেসেছে, তাকেই বিয়ে করেছে—এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। জিমনিয়া খুব ভালো মেয়ে, পরিবারের সবার সঙ্গে মিশে গেছে।”

এই প্রেমের সফল পরিণতি এখন পুরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সহ চুয়াডাঙ্গা জুড়ে আলোচনার কেন্দবৃন্দতে। অনেকেই বলছেন, ভালোবাসা সত্য হলে সে যে কোনো সীমা অতিক্রম করতে পারে। শোভন ও আইজুমি তারই প্রমাণ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

প্রেমের টানে চুয়াডাঙ্গায় এসে বিয়ের পিড়িতে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী

আপডেট সময় : ১২:২৩:৩২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী আইজুমির (২৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার অনুপনগর নওদাপাড়া গ্রামের শোভন মিয়ার। গত ৯ মাস পূর্বে প্রেমিক শোভন মিয়া বাড়িতে ফিরে আসেন। প্রেমিককে খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে সোমবার (২৬ মে) সকালে শোভনের গ্রামের বাড়িতে এসে হাজির হন আইজুমি। রাতেই ধুমধাম করে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

ঘটনাটি এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বিদেশি এই তরুণীকে একনজর দেখতে অনেকেই ভিড় জমান শোভনের বাড়িতে। শোভনের পরিবার সাচ্ছন্দে গ্রহণ করেছে এই তরুণীকে।

সোমবার (২৬ মে) রাতে শোভন ও আইজুমির চুয়াডাঙ্গা কোর্টে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। দেনমোহর ধার্য করা হয় ১০ হাজার টাকা।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের অনুপনগর নওদাপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে শোভন মিয়া (৩০) প্রায় ১৩ বছর আগে জীবিকার তাগিদে সিঙ্গাপুরে যান। গত পাঁচ বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় সিঙ্গাপুরে কর্মরত ইন্দোনেশিয়ান তরুণী আইজুমির সঙ্গে। প্রথমে কথা বলা এরপর শুরু হয় দুজন দুজনকে ভালোলাগা। আর এই ভালো লাগায় পরিনত হয় প্রেমে। গত বছর দেশে আসেন শোভন। ফোনের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাদের দুজনের। ২৫ মে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আসেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ান তরুণী আইজুমি। সোমবার বেলা ১১টায় উপস্থিত হন আলমডাঙ্গা উপজেলার অনুপনগর গ্রামে প্রেমিক শোভনের বাড়িতে।

আইজুমি জানান, প্রিয় মানুষটিকে দেখার জন্য ছুটে এসেছি বাংলাদেশে। শোভন যদি চাই তাহলে আমি বিয়ে করতে রাজি। আমি শোভনের সঙ্গে থাকতে চাই। অবশেষে রাতেই তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, শোভন আমাদের এলাকার গর্ব তার প্রেমের টানে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের গ্রামে চলে এসেছে এই সুন্দরী তরুণী। শোভন আইজুমির জন্য দোয়া চেয়েছেন এলাকাবাসী।

শোভন মিয়া বলেন, “ভালোবাসা কখনোই জাত-বর্ণ বা দেশের বাধা মানে না। আমি গর্বিত যে জিমনিয়া আমাকে ও আমার পরিবারকে মেনে নিয়েছে।”তিনি আরো বলেন, প্রেম যদি খাঁটি হয় দূরত্ব কোন বিষয় নয়।

শোভনের মা জানান, “আমার ছেলে অনেক বছর প্রবাসে ছিল। সেখানে গিয়ে সে যাকে ভালোবেসেছে, তাকেই বিয়ে করেছে—এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। জিমনিয়া খুব ভালো মেয়ে, পরিবারের সবার সঙ্গে মিশে গেছে।”

এই প্রেমের সফল পরিণতি এখন পুরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সহ চুয়াডাঙ্গা জুড়ে আলোচনার কেন্দবৃন্দতে। অনেকেই বলছেন, ভালোবাসা সত্য হলে সে যে কোনো সীমা অতিক্রম করতে পারে। শোভন ও আইজুমি তারই প্রমাণ।