শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

গাজায় খাদ্যসংকটে ৩২৬ জনের মৃত্যু, ঝুঁকিতে ১৪ হাজার শিশু

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া ত্রাণ প্রবেশে দেওয়া হচ্ছে বাধা। এতে অপুষ্টিতে ভুগে অন্তত তিন শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে ১৪ হাজার শিশু।

বুধবার (২১ মে) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত অপুষ্টি ও ওষুধের অভাবে অন্তত ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অব্যাহত হামলায় মঙ্গলবার কমপক্ষে ৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২০ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের বিবিসি রেডিও ৪-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, ইসরাইল যে পরিমাণ ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে, তা অত্যন্ত অপ্রতুল এবং গাজায় চলমান দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় মোটেই যথেষ্ট নয়।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি গাজার ১১ সপ্তাহব্যাপী ত্রাণ অবরোধ আংশিকভাবে শিথিলের ঘোষণা দেন, তবে তা শুধু ন্যূনতম মাত্রায়।

সোমবার (১৯ মে) গাজায় মাত্র পাঁচটি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি ছিল সমুদ্রের একফোঁটা। এসব ট্রাকে শিশু খাদ্য ও পুষ্টিকর সামগ্রী থাকলেও সেগুলো এখনও সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছেনি বরং সীমান্ত পেরিয়ে গাজায় ঢুকলেও সেগুলো এখনও সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে।

ফ্লেচার বলেন, আমি চাই, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় এই ১৪,০০০ শিশুর যতটা সম্ভবকে বাঁচাতে পারি।

এই সংখ্যাটি কীভাবে নির্ধারিত হয়েছে— এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আমাদের শক্তিশালী মাঠ পর্যায়ের দল রয়েছে, যদিও তাদের অনেকেই নিহত হয়েছেন। তবু আমরা এখনও অনেককে মাঠে রেখেছি। তারা হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থানে থেকে প্রয়োজন নির্ধারণে কাজ করছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

গাজায় খাদ্যসংকটে ৩২৬ জনের মৃত্যু, ঝুঁকিতে ১৪ হাজার শিশু

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া ত্রাণ প্রবেশে দেওয়া হচ্ছে বাধা। এতে অপুষ্টিতে ভুগে অন্তত তিন শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে ১৪ হাজার শিশু।

বুধবার (২১ মে) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত অপুষ্টি ও ওষুধের অভাবে অন্তত ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অব্যাহত হামলায় মঙ্গলবার কমপক্ষে ৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২০ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের বিবিসি রেডিও ৪-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, ইসরাইল যে পরিমাণ ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে, তা অত্যন্ত অপ্রতুল এবং গাজায় চলমান দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় মোটেই যথেষ্ট নয়।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি গাজার ১১ সপ্তাহব্যাপী ত্রাণ অবরোধ আংশিকভাবে শিথিলের ঘোষণা দেন, তবে তা শুধু ন্যূনতম মাত্রায়।

সোমবার (১৯ মে) গাজায় মাত্র পাঁচটি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি ছিল সমুদ্রের একফোঁটা। এসব ট্রাকে শিশু খাদ্য ও পুষ্টিকর সামগ্রী থাকলেও সেগুলো এখনও সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছেনি বরং সীমান্ত পেরিয়ে গাজায় ঢুকলেও সেগুলো এখনও সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে।

ফ্লেচার বলেন, আমি চাই, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় এই ১৪,০০০ শিশুর যতটা সম্ভবকে বাঁচাতে পারি।

এই সংখ্যাটি কীভাবে নির্ধারিত হয়েছে— এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আমাদের শক্তিশালী মাঠ পর্যায়ের দল রয়েছে, যদিও তাদের অনেকেই নিহত হয়েছেন। তবু আমরা এখনও অনেককে মাঠে রেখেছি। তারা হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থানে থেকে প্রয়োজন নির্ধারণে কাজ করছে।