চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ছয়ঘরিয়ায় রিয়াদ হোসেন (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার (১২ মে) বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরই অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করেছে দর্শনা থানা পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত হযরত আলী এখনো পলাতক রয়েছেন।
নিহত রিয়াদ হোসেন উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের ব্যাকপাড়ার জিয়াউর রহমান কাজীর ছেলে। সে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত হযরত আলী (৩০) একই এলাকার মৃত. বায়রুল্লাহর ছেলে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত হযরতের বাড়িতে তার বোন-বোনাই এসে বসবাস করছে৷ প্রতিবেশি রিয়াদের বাবা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তাদের সখ্যতা গড়ে উঠে। বিষয়টি হযরতের মা প্রতিবাদ করে বলেন, আমার মেয়ে ও তার জামাইয়ের সঙ্গে কিসের এতো সখ্যতা? এ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হযরতের মা তার ছেলে হযরতকে বলেন, রামদা দিয়ে রিয়াদের বাবা জিয়াকে মেরে ফেলতে। তাৎক্ষণিকভাবে হাসুয়া নিয়ে জিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে ছেলে রিয়াদের গলায় একটি কোপ দেন হযরত আলী। এতে ঘটনাস্থলেই রিয়াদ মারা যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, প্রতিবেশি হযরত আলীর সঙ্গে কোন কারণে রিয়াদকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পুলিশের তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।
দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, হযরত আলীর বো-বোনাইয়ের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠে প্রতিবেশি জিয়াউর রহমানের। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে জিয়াকে না পেয়ে তার ছেলেকে এক কোপে হত্যা করে হযরত আলী।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর পাশ্ববর্তী গ্রাম থেকে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হযরতের স্ত্রী ও তাকে আটক করা হয়েছে। তবে হযরতকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।