শিরোনাম :
Logo সিনিয়র আরসিওয়াই ফোরাম চাঁদপুর ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo সাজিদের মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল ইবি, শিক্ষার্থীদের তদন্ত ও নিরাপত্তার দাবি Logo সাজিদের রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo সড়ক দুর্ঘটনায় খুলনার জামায়াত নেতা নিহত Logo আজ গোপালগঞ্জে ১৪ ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে কারফিউ Logo জামায়াতের সমাবেশের জন্য প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা Logo কচুয়া প্রেসক্লাবের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত Logo বরেন্দ্র জাদুঘর–ইংল্যান্ডের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা, প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় ধাপ শুরু Logo নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মিলনমেলা Logo সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবিতে শিবিরের টর্চ লাইট মিছিল

কাশ্মীর নিয়ে ‘আগুনে ঘি’ ঢালল বিবিসি, উত্তপ্ত বার্তা ভারতের

ভূস্বর্গ খ্যাত জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার ঘটনা সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজকে সতর্ক করেছে ভারত সরকার।

আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পহেলগামে আক্রমণ নিয়ে ভারতের পদক্ষেপ ইস্যুতে পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান।

বিবিসির সেই সংক্রান্ত একটি নিউজের শিরোনাম ছিল ‘পাকিস্তান সাসপেন্ডস ভিসা’স ফর ইন্ডিয়ানস আফটার ডেডলি কাশ্মীর অ্যাটাক’। এই রিপোর্টে পহেলগামের হামলাকে ‘জঙ্গি আক্রমণ’ হিসেবে তুলে ধরা হয়।

ভারতের ক্ষমতাসীন মোদী সরকার বিবিসিকে এই প্রতিবেদনের জন্য সতর্ক করেছে। ইন্ডিয়া টুডে বলছে, বিবিসি পহেলগামে পর্যটকদের ওপর আক্রমণের প্রসঙ্গে ‘সন্ত্রাসবাদী’ শব্দটি না-লিখে ‘জঙ্গি’ হামলা উল্লেখ করায় বিষয়টি ভালোভাবে দেখছে না নয়াদিল্লি।

এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরকারের আপত্তির কথা জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বিবিসি’র ভারতীয় শাখার প্রধান জ্যাকি মার্টিনকে।

বিবিসিকে লিখিত একটি আনুষ্ঠানিক চিঠিতে ভারত সরকার জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পহেলগাম হামলা নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদন মনিটরিং করবে। প্রয়োজনে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

এর আগে পহেলগামে হামলার নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে একই অভিযোগে মার্কিন সরকারের তোপের মুখে পড়েছিল সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

এ দিকে পহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক সংবেদনশীল বিষয়বস্তু ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে ভারত। এই চ্যানেলগুলোর মোট সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় কোটি।

ভারতীয় মিডিয়া এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে এই ইউটিউব চ্যানেলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ চ্যানেলগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের প্রথম সারির কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে৷ যেমন- দ্য ডন, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ, বোল নিউজ, রাফতার, জিও নিউজ এবং সুনো নিউজ।

এছাড়াও পাকিস্তানি সাংবাদিকদের ইউটিউব চ্যানেলগুলোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যার মধ্যে ইর্শাদ ভাট্টি, আসমা শিরাজি, উমর চিমা এবং মুনিব ফারুক অন্যতম।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সিনিয়র আরসিওয়াই ফোরাম চাঁদপুর ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

কাশ্মীর নিয়ে ‘আগুনে ঘি’ ঢালল বিবিসি, উত্তপ্ত বার্তা ভারতের

আপডেট সময় : ০৪:০৪:১৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

ভূস্বর্গ খ্যাত জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার ঘটনা সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজকে সতর্ক করেছে ভারত সরকার।

আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পহেলগামে আক্রমণ নিয়ে ভারতের পদক্ষেপ ইস্যুতে পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান।

বিবিসির সেই সংক্রান্ত একটি নিউজের শিরোনাম ছিল ‘পাকিস্তান সাসপেন্ডস ভিসা’স ফর ইন্ডিয়ানস আফটার ডেডলি কাশ্মীর অ্যাটাক’। এই রিপোর্টে পহেলগামের হামলাকে ‘জঙ্গি আক্রমণ’ হিসেবে তুলে ধরা হয়।

ভারতের ক্ষমতাসীন মোদী সরকার বিবিসিকে এই প্রতিবেদনের জন্য সতর্ক করেছে। ইন্ডিয়া টুডে বলছে, বিবিসি পহেলগামে পর্যটকদের ওপর আক্রমণের প্রসঙ্গে ‘সন্ত্রাসবাদী’ শব্দটি না-লিখে ‘জঙ্গি’ হামলা উল্লেখ করায় বিষয়টি ভালোভাবে দেখছে না নয়াদিল্লি।

এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরকারের আপত্তির কথা জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বিবিসি’র ভারতীয় শাখার প্রধান জ্যাকি মার্টিনকে।

বিবিসিকে লিখিত একটি আনুষ্ঠানিক চিঠিতে ভারত সরকার জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পহেলগাম হামলা নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদন মনিটরিং করবে। প্রয়োজনে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

এর আগে পহেলগামে হামলার নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে একই অভিযোগে মার্কিন সরকারের তোপের মুখে পড়েছিল সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

এ দিকে পহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক সংবেদনশীল বিষয়বস্তু ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে ভারত। এই চ্যানেলগুলোর মোট সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় কোটি।

ভারতীয় মিডিয়া এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে এই ইউটিউব চ্যানেলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ চ্যানেলগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের প্রথম সারির কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে৷ যেমন- দ্য ডন, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ, বোল নিউজ, রাফতার, জিও নিউজ এবং সুনো নিউজ।

এছাড়াও পাকিস্তানি সাংবাদিকদের ইউটিউব চ্যানেলগুলোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যার মধ্যে ইর্শাদ ভাট্টি, আসমা শিরাজি, উমর চিমা এবং মুনিব ফারুক অন্যতম।