আপডেট সময় :
০৬:২২:৪২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
৭২৬
বার পড়া হয়েছে
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান শনিবার সন্ধ্যায় এক টেলিফোন আলাপে পারস্পরিক আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনা প্রশমনে ইরানের সহায়তার প্রস্তুতিকে স্বাগত জানান বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এটিকে ২০০০ সালের পর অঞ্চলটির সবচেয়ে মারাত্মক হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই হামলার দায় এক অজ্ঞাত সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ স্বীকার করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারত একতরফাভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছে, আর এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সিমলা চুক্তি সাময়িকভাবে বাতিলের হুমকি দিয়েছে।
ভারত হামলাকারীদের ‘সীমান্তপারের সংযোগ’ থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে।
আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পুনরায় ইরানের প্রেসিডেন্টকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং ইরানের শান্তি প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘পাকিস্তান অঞ্চলে শান্তি চায় এবং ইরান যদি এতে কোনো ভূমিকা রাখতে চায়, তাহলে আমরা তা স্বাগত জানাব।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পাকিস্তান সব ধরনের সন্ত্রাসবাদকে ঘৃণা করে এবং পাহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা চাইলে এই হামলার বিষয়ে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত আছি।’
তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, বিগত দুই দশকে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছে পাকিস্তান; হাজার হাজার নাগরিক জীবন হারিয়েছে এবং সরকার এ জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
ভারতের সিন্ধু জলচুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানি ব্যবহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং পাকিস্তান প্রয়োজনে আত্মরক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
শেহবাজ শরিফ ইরানের শাহিদ রাজাই বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর ইরান সরকার ও জনগণের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং যেকোনো সাহায্যের জন্য পাকিস্তান প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান।
ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজকে তাদের সহানুভূতির জন্য ধন্যবাদ জানান এবং পাকিস্তানের শান্তিপ্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে তেহরান সফরের আমন্ত্রণ জানান, আর পাল্টা আমন্ত্রণও গ্রহণ করেন।