শিরোনাম :
Logo মুন্সিগঞ্জে আড়িয়াল বিলে ধান কাটার উদ্ধোধনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও শিল্প উপদেষ্টার পরিদর্শন। Logo হাবিপ্রবিতে আয়োজিত হলো অফিস ম্যানেজমেন্ট (প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট) Logo ছাত্রদলের অপেশাদার বিবৃতি ও সাংবাদিককে হুমকির প্রতিবাদে জাবিসাসের নিন্দা Logo হাবিপ্রবিতে রিসার্চ সোসাইটির গবেষণা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo ভুল অ্যাডমিট নিয়ে আসা শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রদল কর্মী জেমস Logo চুরির অভিযোগে কুবি শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ Logo জবিতে সাইকেল পার্কিংয়ে চালু হচ্ছে টোকেন ব্যবস্থা Logo রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে চেয়ারটি সংস্কার প্রয়োজন: চুয়াডাঙ্গায় এবি পার্টির Logo পঞ্চগড়ের বোদায় সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ৪ অফিস দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ। Logo ইবিতে ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও পাকিস্তানে যেতে দেওয়া হবে না: ভারত

সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও যেন পাকিস্তানে না যায় সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারত। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এক পোস্টে এমন কথা বলেন দেশটির জলশক্তিমন্ত্রী সিআর পাতিল। খবর ইকোনোমিক টাইমস।

গত মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদ পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। যদিও এ মুহূর্তে সিন্ধু নদের পানি প্রবাহ আটকানোর মতো অবকাঠামো ভারতের নেই। তবে পানির প্রবাহ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জলশক্তিমন্ত্রী সিআর পাতিল।

তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে একটি রোপম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। বৈঠকে তিনটি অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার স্বল্পকালীন, মধ্যকালীন এবং দীর্ঘকালীন ব্যবস্থার ওপর কাজ করছে যেন পাকিস্তানে এক ফোঁটা পানিও না যায়। শিগগিরই নদীর প্রবাহ বন্ধ করতে ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হবে এবং প্রবাহ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।’

এদিকে পাকিস্তান গতকাল হুমকি দিয়ে বলেছে, যদি সিন্ধু নদের পানির প্রবাহ বন্ধের চেষ্টা চালানো হয় তাহলে এটিকে তারা যুদ্ধের কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

কাশ্মিরের হামলা নিয়ে গতকাল ভারতে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। এতে বিরোধী দলগুলো প্রশ্ন করে ভারত কেন পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদ পানি চুক্তি স্থগিত করেছে? কারণ তারা এ মুহূর্তে পানির প্রবাহ আটকাতে পারবে না। এ ধরনের অবকাঠামো এখনো সেখানে তৈরি করা হয়নি।

জবাবে সরকার জানায়, এই চুক্তি বাতিল করা মূলত একটি প্রতীকি ও কৌশলগত পদক্ষেপ ছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, ‘সিন্ধু নদ পানি চুক্তি বাতিলের উদ্দেশ্য ছিল সবাইকে দেখানো সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি করা হয়েছে কঠোর বার্তা দিতে। এছাড়া সরকারের ভবিষ্যত পদক্ষেপ কী হবে; এরমাধ্যমে সেটিরও বার্তা দেওয়া হয়েছে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সিগঞ্জে আড়িয়াল বিলে ধান কাটার উদ্ধোধনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও শিল্প উপদেষ্টার পরিদর্শন।

সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও পাকিস্তানে যেতে দেওয়া হবে না: ভারত

আপডেট সময় : ১২:৪৩:৫৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও যেন পাকিস্তানে না যায় সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারত। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এক পোস্টে এমন কথা বলেন দেশটির জলশক্তিমন্ত্রী সিআর পাতিল। খবর ইকোনোমিক টাইমস।

গত মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদ পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। যদিও এ মুহূর্তে সিন্ধু নদের পানি প্রবাহ আটকানোর মতো অবকাঠামো ভারতের নেই। তবে পানির প্রবাহ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জলশক্তিমন্ত্রী সিআর পাতিল।

তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে একটি রোপম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। বৈঠকে তিনটি অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার স্বল্পকালীন, মধ্যকালীন এবং দীর্ঘকালীন ব্যবস্থার ওপর কাজ করছে যেন পাকিস্তানে এক ফোঁটা পানিও না যায়। শিগগিরই নদীর প্রবাহ বন্ধ করতে ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হবে এবং প্রবাহ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।’

এদিকে পাকিস্তান গতকাল হুমকি দিয়ে বলেছে, যদি সিন্ধু নদের পানির প্রবাহ বন্ধের চেষ্টা চালানো হয় তাহলে এটিকে তারা যুদ্ধের কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

কাশ্মিরের হামলা নিয়ে গতকাল ভারতে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। এতে বিরোধী দলগুলো প্রশ্ন করে ভারত কেন পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদ পানি চুক্তি স্থগিত করেছে? কারণ তারা এ মুহূর্তে পানির প্রবাহ আটকাতে পারবে না। এ ধরনের অবকাঠামো এখনো সেখানে তৈরি করা হয়নি।

জবাবে সরকার জানায়, এই চুক্তি বাতিল করা মূলত একটি প্রতীকি ও কৌশলগত পদক্ষেপ ছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, ‘সিন্ধু নদ পানি চুক্তি বাতিলের উদ্দেশ্য ছিল সবাইকে দেখানো সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি করা হয়েছে কঠোর বার্তা দিতে। এছাড়া সরকারের ভবিষ্যত পদক্ষেপ কী হবে; এরমাধ্যমে সেটিরও বার্তা দেওয়া হয়েছে।’