শিরোনাম :
Logo আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন Logo মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই দেশের সম্পদ হবে : আসিফ মাহমুদ Logo অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হাঙরের আক্রমণে নিহত ১ Logo দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি২০ সিরিজে ডাকেটকে বিশ্রাম দিয়েছে ইংল্যান্ড Logo সাইবার নিরাপত্তা আইন এখন অনেক সক্রিয় : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব Logo পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ Logo সাতক্ষীরায় ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত Logo ইবিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে র‍্যালি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo সুন্দরগঞ্জে স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার Logo চাঁদপুর টেলিভিশনের সাংবাদিকদের সাথে জেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময়

জুলাই-আগস্টের বিচার বানচালে অর্থ বিনিয়োগের প্রমাণ মিলেছে

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:০২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার বানচাল করার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, পতিত সরকারের পক্ষ থেকে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে নেপথ্যে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে এবং তাদের মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের জানান, নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং প্রসিকিউশন দল তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, এই ধরনের তথ্য পাওয়া বিচার প্রক্রিয়া ও তদন্তের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং তাদের উদ্দেশ্য হলো বিচারের সঠিকতা নিশ্চিত করা।

এর আগে, ২ এপ্রিল বুধবার চিফ প্রসিকিউটর জানান, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার খসড়া তদন্ত রিপোর্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে। তিনি এই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ এবং তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান।

এরও আগে গত ২৭ মার্চ চিফ প্রসিকিউটর আরও জানিয়েছিলেন, ৫ আগস্ট চাঁনখারপুল এলাকায় পাঁচজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনও প্রক্রিয়াধীন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এই প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের সামনে পেশ করা হবে ঈদের পর।

এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল ৫ আগস্ট, যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে চাঁনখারপুল এলাকায় পুলিশের গুলিতে আনাস নামের এক দশম শ্রেণির ছাত্র নিহত হয়। এই ঘটনার পর ২ অক্টোবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।

চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্য অনুযায়ী, **জুলাই-আগস্টের গণহত্যা** এবং **চাঁনখারপুলের হত্যাকাণ্ড** নিয়ে যে তদন্ত চলছে, তা দেশের বিচার ব্যবস্থা ও মানবাধিকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিচারিক কার্যক্রমের মাধ্যমে যারা এইসব মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং যথাযথ বিচার নিশ্চিত করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন

জুলাই-আগস্টের বিচার বানচালে অর্থ বিনিয়োগের প্রমাণ মিলেছে

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:০২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার বানচাল করার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, পতিত সরকারের পক্ষ থেকে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে নেপথ্যে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে এবং তাদের মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের জানান, নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং প্রসিকিউশন দল তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, এই ধরনের তথ্য পাওয়া বিচার প্রক্রিয়া ও তদন্তের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং তাদের উদ্দেশ্য হলো বিচারের সঠিকতা নিশ্চিত করা।

এর আগে, ২ এপ্রিল বুধবার চিফ প্রসিকিউটর জানান, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার খসড়া তদন্ত রিপোর্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে। তিনি এই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ এবং তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান।

এরও আগে গত ২৭ মার্চ চিফ প্রসিকিউটর আরও জানিয়েছিলেন, ৫ আগস্ট চাঁনখারপুল এলাকায় পাঁচজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনও প্রক্রিয়াধীন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এই প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের সামনে পেশ করা হবে ঈদের পর।

এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল ৫ আগস্ট, যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে চাঁনখারপুল এলাকায় পুলিশের গুলিতে আনাস নামের এক দশম শ্রেণির ছাত্র নিহত হয়। এই ঘটনার পর ২ অক্টোবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।

চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্য অনুযায়ী, **জুলাই-আগস্টের গণহত্যা** এবং **চাঁনখারপুলের হত্যাকাণ্ড** নিয়ে যে তদন্ত চলছে, তা দেশের বিচার ব্যবস্থা ও মানবাধিকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিচারিক কার্যক্রমের মাধ্যমে যারা এইসব মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং যথাযথ বিচার নিশ্চিত করা হবে।