গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা ও নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টায় প্রথমে ক্যাম্পাসের বটতলায় সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তী প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। আর এঈ মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনির গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্বের মুসলিম নেতৃবৃন্দদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। চার শতাধিক ফিলিস্তিনি ভাই-বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। বিশ্ব মানবতার এই দুর্দিনে আমাদের সবাইকে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দায়ে নেতানিয়াহু সরকার ও ইসরায়েলকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, বিগত ১৬ বছর আমরা ফ্যাসিজমের মধ্যে ছিলাম। ৫ আগস্ট মুক্ত হয়েছি। কিন্তু যেখানে গাজার মুসলমানেরা ইফতার করতে পারে না, সেহরি করতে পারে না, আজানের ধ্বনি শুনতে পারে না। সেখানে যদি আমরা নিজেদের স্বাধীন ভাবি তাহলে সেটা আমাদের মুসলমান পরিচয় এর সঙ্গে গাদ্দারি হবে। সুতরাং পুরো বিশ্ব বিবেককে এবং যারা নিজেদেরকে মানবতার পতাকাবাহী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন তাদেরকে আহ্বান জানাবো আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে গাজার মানুষদের পাশে দাঁড়ান।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং ওআইসিকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষার্থীরা বলেন, যারা মানবতার কথা বলে তারাই আজ বর্বরতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইজরায়েলি বাহিনীর বর্বর আক্রমণে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন। অথচ জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। তারা মানবাধিকারের কথা বলে শুধু মুখে ফেনা তোলেন, অথচ কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা নেই। আর ওআইসি শব্দটা মুখে নিতেও আজ আমাদের লজ্জা হয়। ওআইসি গঠিত হয়েছিল মুসলামনদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। কিন্তু আজ ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর হামলার পরও তারা চুপ হয়ে বসে আছে। জাতিসংঘ, ওআইসিসহ এসব তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে বলতে চাই, আপনারা যদি আপনাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ঠিক রাখতে না পারেন তাহলে কার্যক্রম বাদ দেন।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর থেকে ইসরাইল যে নৃশংস হত্যা চালিয়ে আসতেছে কিন্তু বিশ্ব মানবাধিকার নামক সংস্থাগুলো চুপ হয়ে আছেন। মনে হচ্ছে এই মানবাধিকার সংস্থাগুলো শুধু মুসলিম উম্মাহকে ধ্বংস করতে বা ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য গঠিত হয়েছে। যখনই মুসলিম উম্মাহ এক হওয়ার জন্য চেষ্টা করে তখন জাতিসংঘ নামক কুতন্ত্র, ইহুদিতন্ত্র সংস্থা মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৬:৩১:২০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা ও নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টায় প্রথমে ক্যাম্পাসের বটতলায় সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তী প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। আর এঈ মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনির গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্বের মুসলিম নেতৃবৃন্দদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। চার শতাধিক ফিলিস্তিনি ভাই-বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। বিশ্ব মানবতার এই দুর্দিনে আমাদের সবাইকে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দায়ে নেতানিয়াহু সরকার ও ইসরায়েলকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, বিগত ১৬ বছর আমরা ফ্যাসিজমের মধ্যে ছিলাম। ৫ আগস্ট মুক্ত হয়েছি। কিন্তু যেখানে গাজার মুসলমানেরা ইফতার করতে পারে না, সেহরি করতে পারে না, আজানের ধ্বনি শুনতে পারে না। সেখানে যদি আমরা নিজেদের স্বাধীন ভাবি তাহলে সেটা আমাদের মুসলমান পরিচয় এর সঙ্গে গাদ্দারি হবে। সুতরাং পুরো বিশ্ব বিবেককে এবং যারা নিজেদেরকে মানবতার পতাকাবাহী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন তাদেরকে আহ্বান জানাবো আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে গাজার মানুষদের পাশে দাঁড়ান।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং ওআইসিকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষার্থীরা বলেন, যারা মানবতার কথা বলে তারাই আজ বর্বরতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইজরায়েলি বাহিনীর বর্বর আক্রমণে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন। অথচ জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। তারা মানবাধিকারের কথা বলে শুধু মুখে ফেনা তোলেন, অথচ কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা নেই। আর ওআইসি শব্দটা মুখে নিতেও আজ আমাদের লজ্জা হয়। ওআইসি গঠিত হয়েছিল মুসলামনদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। কিন্তু আজ ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর হামলার পরও তারা চুপ হয়ে বসে আছে। জাতিসংঘ, ওআইসিসহ এসব তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে বলতে চাই, আপনারা যদি আপনাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ঠিক রাখতে না পারেন তাহলে কার্যক্রম বাদ দেন।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর থেকে ইসরাইল যে নৃশংস হত্যা চালিয়ে আসতেছে কিন্তু বিশ্ব মানবাধিকার নামক সংস্থাগুলো চুপ হয়ে আছেন। মনে হচ্ছে এই মানবাধিকার সংস্থাগুলো শুধু মুসলিম উম্মাহকে ধ্বংস করতে বা ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য গঠিত হয়েছে। যখনই মুসলিম উম্মাহ এক হওয়ার জন্য চেষ্টা করে তখন জাতিসংঘ নামক কুতন্ত্র, ইহুদিতন্ত্র সংস্থা মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়।