শিরোনাম :
Logo নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ Logo রাবির ভর্তি পরীক্ষায় সংকটে ভর্তিচ্ছু; ছাত্রদলের সহযোগিতায় বেঁচে রইলো স্বপ্ন Logo রাবি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন বাচিঁয়ে রাখলেন ছাত্রদল নেতা রাবিত Logo কয়রা ৬ সাংবাদিকের নামে এক যুগ আগের ঘটনায় হত্যা মামলা Logo চকবাজারে খালে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ চাক্তাই খালে উদ্ধার Logo আ.লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুখবর Logo জীবননগরে ৯০ বোতল ফেন্সিডিলসহ নারী আটক Logo রাবি ভর্তি পরীক্ষায় শহীদ আবু সাঈদ ও জেন-জি নিয়ে প্রশ্ন Logo শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

যে পশুরা মৃত্যুকে আগাম দেখতে পায়…

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৪৬:৫৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ মার্চ ২০১৭
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মৃত্যুর আগাম সংবাদ মানুষের আগে নাকি জীবজন্তুরা পায়। প্যারানর্মালবাদীরা তো এ বিষয়ে দীর্ঘ বক্তব্য রেখেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের বহু সংস্কারে এই ব্যাপারে বহু বিচিত্র তথ্য সন্নিবিষ্ট রয়েছে। ২০০৭ সালের জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের একটি মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয় মৃত্যু বিষয়ে বিড়ালের সংবেদ নিয়ে একটি গবেষণা-নিবন্ধ।

সেখানে দেখানো হয়েছে যে, রোজ আইল্যান্ডে অস্কার নামে একটি বিড়াল কারোর মৃত্যুর সময়ে আশ্চর্য আচরণ করে। একটি হাসপাতালে তাকে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। সেখানে কোনও রোগীর মৃত্যু আসন্ন হলে সে সেই মৃত্যুপথযাত্রীর বিছানার পাশে গিয়ে বসে থাক। এইভাবে অস্কার ২৫টি মৃত্যুপথযাত্রীর মৃত্যুর খবর আগাম জানিয়ে দেয়। কেবল বিড়াল নয়, আরও অনেক প্রাণীই মৃত্যুকে আগাম জানাতে পারে। দেখা যাক কোন কোন প্রাণী কীভাবে এই কাজটি করে।

১। একটি প্রাচীন প্রবাদে জানানো হয়েছিল, পেঁচা গান গাইলে জানতে হবে, কারোর মৃত্যু আসন্ন। পেঁচার একটি বিশেষ ডাককেই এখানে ‘গান’ বলা হয়েছে। ক্যাথলিক সন্ন্যাসীরা পেঁচাকে দীর্ঘকাল ধরে ‘ডেভিলের অ্যাসোসিয়েট’ বলে বর্ণনা করে এসেছেন।

২। কালো প্রজাপতি সম্পর্কেও একই রকমের সংস্কার বহু সভ্যতায় বহমান রয়েছে। আসলে এটি এক প্রকার মথ। রাতচরা এই কালো পতঙ্গকে অনেকেই অশুভ ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করেন। কালো পতঙ্গের অনুষঙ্গে মৃত্যুকে দেখেছেন, এমন কাহিনি ছড়িয়ে রয়েছে ইউরোপের অনেক দশের সাহিত্যেই। আমাদের দেশে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবিস্মরণীয় ছোটগল্প ‘মরণ ভোমরা’-য় একটি কালো ভ্রমর ছিল অনিবার্য মৃত্যুর অগ্রদূত।

৩। বাদুড়কে দক্ষিণ আমেরিকার মায়া ও আজটেক সভ্যতায় মৃত্যুর আগ্রদূত বলে মনে করা হত। বাদুড় খুবই রহস্যময় প্রাণী। ইউরোপের সংস্কৃতিতে তার স্থান পরলোক আর ইহলোকের মাঝামাঝি একটা ধূসর এলাকায়। বাদুড় নিয়ে আমাদের দেশেও মৃত্যু-সংক্রান্ত সংস্কার কম নেই।

৪। সাদা পেঁচাকে ভারতে মা লক্ষ্মীর বাহন মনে করা হয়। কিন্তু ইউরোপে সে খুব সুবিধের প্রাণী নয়। বাড়ির আশেপাশে তার উড়ানকে অনেকেই মৃত্যুর পূর্বাভাস বলে মনে করেন। এই ভাবনার পিছনে কাজ করছে উইচক্রাফ্‌ট নিয়ে ইউরোপীয়দের দীর্ধকালীন সংস্কার। সাদা পেঁচা উইচদের অ্যাসোসিয়েট হিসেবে প্রসিদ্ধ। আর উইচদের সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব সেখানে দীর্ঘকালীন। তবে এই ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েচেলেন জে কে রাওলিং। হ্যারি পটারের অ্যাসোসিয়েট হেডইউগ একটি সাদা পেঁচা। আর সে কখনওই ‘অশুভ’ নয়।

৫। কালো ঘোড়াকেও মৃত্যুর অগ্রদূত মনে করে ইউরোপ। কোনও শবযাত্রায় কেউ যদি কোনও কালো ঘোড়াকে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখেন, তাঁর ঘাড়ে মৃত্যু নিঃশ্বাস ফেলছে বলে ধরতে হবে।

৬। পশ্চিমে এমন বিশ্বাসও রয়েছে যে, কোনও মোরগ যদি কোনও মুরগির সঙ্গে ‘কথা বলে’, তাহলে নাকি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে কারোর মৃত্যু ঘটবে। তবে এমন ক্ষেত্রে নাকি অবিবাহিতা মেয়েদের মৃত্যুর আশঙ্কাই বেশি থাকে। যদি দু’টি মুরগি একটি মোরগের সঙ্গে গুফতগু করে তাহলে জানতে হবে কোনও দম্পতির মৃত্যু আসন্ন। আর যদি কোনও মুরগি কোনও মোরগের ডাককে নকল করে, তা হলে বুঝতে হবে, সেখানে মৃত্যু ঘোরাফেরা করছে।

৭। বিড়াল ও আসন্ন মৃত্যুর কথা আগেই বলা হয়েছে। কেবল রোড আইল্যান্ডের অস্কার নয়, বিড়াল মাত্রেই মৃত্যুর পূর্বাভাস দেয়। তারা নাকি মৃত্যুর গন্ধ পায়।

৮। কুকুরের আচরণেও আসন্ন মৃত্যুর প্রভাব পড়ে। তারা এমন কোনও অমঙ্গলের আঁচ পেলে কান্নার সুরে ডাকাডাকি করতে থাকে।

৯। দিনের বেলায় যদি কোনও বাড়িতে শিয়াল ঢুকে পড়ে, তবে সেই বাড়িতে কারোর মৃত্যু সুনিশ্চিত বলে বিশ্বাস এদেশে, ওদেশেও।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ

যে পশুরা মৃত্যুকে আগাম দেখতে পায়…

আপডেট সময় : ০২:৪৬:৫৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মৃত্যুর আগাম সংবাদ মানুষের আগে নাকি জীবজন্তুরা পায়। প্যারানর্মালবাদীরা তো এ বিষয়ে দীর্ঘ বক্তব্য রেখেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের বহু সংস্কারে এই ব্যাপারে বহু বিচিত্র তথ্য সন্নিবিষ্ট রয়েছে। ২০০৭ সালের জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের একটি মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয় মৃত্যু বিষয়ে বিড়ালের সংবেদ নিয়ে একটি গবেষণা-নিবন্ধ।

সেখানে দেখানো হয়েছে যে, রোজ আইল্যান্ডে অস্কার নামে একটি বিড়াল কারোর মৃত্যুর সময়ে আশ্চর্য আচরণ করে। একটি হাসপাতালে তাকে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। সেখানে কোনও রোগীর মৃত্যু আসন্ন হলে সে সেই মৃত্যুপথযাত্রীর বিছানার পাশে গিয়ে বসে থাক। এইভাবে অস্কার ২৫টি মৃত্যুপথযাত্রীর মৃত্যুর খবর আগাম জানিয়ে দেয়। কেবল বিড়াল নয়, আরও অনেক প্রাণীই মৃত্যুকে আগাম জানাতে পারে। দেখা যাক কোন কোন প্রাণী কীভাবে এই কাজটি করে।

১। একটি প্রাচীন প্রবাদে জানানো হয়েছিল, পেঁচা গান গাইলে জানতে হবে, কারোর মৃত্যু আসন্ন। পেঁচার একটি বিশেষ ডাককেই এখানে ‘গান’ বলা হয়েছে। ক্যাথলিক সন্ন্যাসীরা পেঁচাকে দীর্ঘকাল ধরে ‘ডেভিলের অ্যাসোসিয়েট’ বলে বর্ণনা করে এসেছেন।

২। কালো প্রজাপতি সম্পর্কেও একই রকমের সংস্কার বহু সভ্যতায় বহমান রয়েছে। আসলে এটি এক প্রকার মথ। রাতচরা এই কালো পতঙ্গকে অনেকেই অশুভ ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করেন। কালো পতঙ্গের অনুষঙ্গে মৃত্যুকে দেখেছেন, এমন কাহিনি ছড়িয়ে রয়েছে ইউরোপের অনেক দশের সাহিত্যেই। আমাদের দেশে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবিস্মরণীয় ছোটগল্প ‘মরণ ভোমরা’-য় একটি কালো ভ্রমর ছিল অনিবার্য মৃত্যুর অগ্রদূত।

৩। বাদুড়কে দক্ষিণ আমেরিকার মায়া ও আজটেক সভ্যতায় মৃত্যুর আগ্রদূত বলে মনে করা হত। বাদুড় খুবই রহস্যময় প্রাণী। ইউরোপের সংস্কৃতিতে তার স্থান পরলোক আর ইহলোকের মাঝামাঝি একটা ধূসর এলাকায়। বাদুড় নিয়ে আমাদের দেশেও মৃত্যু-সংক্রান্ত সংস্কার কম নেই।

৪। সাদা পেঁচাকে ভারতে মা লক্ষ্মীর বাহন মনে করা হয়। কিন্তু ইউরোপে সে খুব সুবিধের প্রাণী নয়। বাড়ির আশেপাশে তার উড়ানকে অনেকেই মৃত্যুর পূর্বাভাস বলে মনে করেন। এই ভাবনার পিছনে কাজ করছে উইচক্রাফ্‌ট নিয়ে ইউরোপীয়দের দীর্ধকালীন সংস্কার। সাদা পেঁচা উইচদের অ্যাসোসিয়েট হিসেবে প্রসিদ্ধ। আর উইচদের সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব সেখানে দীর্ঘকালীন। তবে এই ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েচেলেন জে কে রাওলিং। হ্যারি পটারের অ্যাসোসিয়েট হেডইউগ একটি সাদা পেঁচা। আর সে কখনওই ‘অশুভ’ নয়।

৫। কালো ঘোড়াকেও মৃত্যুর অগ্রদূত মনে করে ইউরোপ। কোনও শবযাত্রায় কেউ যদি কোনও কালো ঘোড়াকে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখেন, তাঁর ঘাড়ে মৃত্যু নিঃশ্বাস ফেলছে বলে ধরতে হবে।

৬। পশ্চিমে এমন বিশ্বাসও রয়েছে যে, কোনও মোরগ যদি কোনও মুরগির সঙ্গে ‘কথা বলে’, তাহলে নাকি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে কারোর মৃত্যু ঘটবে। তবে এমন ক্ষেত্রে নাকি অবিবাহিতা মেয়েদের মৃত্যুর আশঙ্কাই বেশি থাকে। যদি দু’টি মুরগি একটি মোরগের সঙ্গে গুফতগু করে তাহলে জানতে হবে কোনও দম্পতির মৃত্যু আসন্ন। আর যদি কোনও মুরগি কোনও মোরগের ডাককে নকল করে, তা হলে বুঝতে হবে, সেখানে মৃত্যু ঘোরাফেরা করছে।

৭। বিড়াল ও আসন্ন মৃত্যুর কথা আগেই বলা হয়েছে। কেবল রোড আইল্যান্ডের অস্কার নয়, বিড়াল মাত্রেই মৃত্যুর পূর্বাভাস দেয়। তারা নাকি মৃত্যুর গন্ধ পায়।

৮। কুকুরের আচরণেও আসন্ন মৃত্যুর প্রভাব পড়ে। তারা এমন কোনও অমঙ্গলের আঁচ পেলে কান্নার সুরে ডাকাডাকি করতে থাকে।

৯। দিনের বেলায় যদি কোনও বাড়িতে শিয়াল ঢুকে পড়ে, তবে সেই বাড়িতে কারোর মৃত্যু সুনিশ্চিত বলে বিশ্বাস এদেশে, ওদেশেও।