বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি নিজাম কাজীকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ ইউনিয়ন বিএনপি’র একটি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহদৎ হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত উপজেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি নিজাম কাজী হিজলা ইউনিয়নের মাঠপাড়া এলাকার নূর মোহম্মদ মোল্লার ছেলে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে হিজলা ইউনিয়নের মাঠপাড়া এলাকার একটি চায়ের দোকানের সামনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জামাল কাজী গ্রুপের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী সাইফুল মোল্লা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জামাল কাজী গ্রুপের নেতা ও চিতলমারী উপজেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি নিজাম কাজীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে নিজাম কাজীর মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জামাল কাজী গ্রুপের উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা প্রতিপক্ষ সাইফুল মোল্লা গ্রুপের প্রধান মো. সাইফুল মোল্লার বাড়িসহ তিন বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জিয়া মঞ্চের সভাপতিকে হত্যার ঘটনায় সাইফুল মোল্লা গ্রুপের প্রধান মো. সাইফুল মোল্লা (৩২), মো. সোহেল চাঁন মোল্লা (২৮) ও সৈকত শেখকে (২২) গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারদের বাড়ি উপজেলার হিজলা ইউনিয়নের মাঠপাড়া গ্রামে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহদৎ হোসেন জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জামাল কাজী বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় বুধবার দুপুরে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মোল্লা গ্রুপের প্রধান মো. সাইফুল মোল্লা, দুই নম্বর আসামি মো. সোহেল চাঁন মোল্লা ও তেরো নম্বর আসামি সৈকত শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।