শিরোনাম :
Logo ইবিতে ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo জবির স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আয় ১২ কোটি টাকা Logo বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচন সম্পন্ন Logo আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সরকার উদ্যোগ না নিলে আমরা বসে থাকব না: নাহিদ ইসলাম Logo সার্কের বিকল্প জোট গঠনে কাজ করছে চীন-পাকিস্তান, রয়েছে বাংলাদেশও Logo পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্টের কর্মসূচি ঘিরে হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo নতুন নেতৃত্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘তারুণ্য’ Logo সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা, আহত-৩০ Logo খুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষ ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা : তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা ১ জানুয়ারি!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৩২:৫৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা পুঁতে রাখার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার তারিখ পিছিয়ে ১ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির প্রাক্তন কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমানকে আসামি মুফতি আবদুল হান্নানের পক্ষে জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার আরেক মামলা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলারও আসামি মুফতি হান্নান। বুধবার এ মামলারও তারিখ ধার্য ছিল। এজন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়নি। ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার জন্য ১ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময়ে ২০ জুলাই ওই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই ঘটনার মামলায় সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অন্য আসামিরা হলেন- মো. এহিবুল্লাহ, মুন্সী ইব্রাহিম, মো. মাহমুদ আজহার, মো. রাশেদ ড্রাইভার, মো. শাহনেওয়াজ, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল ও মো. মিজানুর রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুফতি আব্দুল হান্নান আফগানিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং সেখানে তিনি তালেবানদের পক্ষে যুদ্ধ করেন। তিনি দেশে ফিরে হরকাতুল জেহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ নামক সংগঠনের সদস্য হন। তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য গোপালগঞ্জের বিসিক এলাকায় অবৈধভাবে সোনার বাংলা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি সাবানের কারখানা স্থাপন করেন। সে কারখানায় অন্য জঙ্গিদের নিয়োগ দেন এবং সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেন। সাবান তৈরির কাঁচামাল আনার আড়ালে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীরা বোমা তৈরির উপকরণ কারখানায় এনে রাখতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আসবেন, এ কথা শুনে মুফতি হান্নানসহ আসামিরা সাবান কারখানায় শক্তিশালী বোমা তৈরি করেন। তৈরির পর ২০০০ সালের ১৯ জুলাই সাবান কারখানার গাড়িতে করে কোটালীপাড়া এলাকায় নিয়ে রাতের আধারে পুঁতে রাখেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা : তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা ১ জানুয়ারি!

আপডেট সময় : ০৫:৩২:৫৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা পুঁতে রাখার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার তারিখ পিছিয়ে ১ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির প্রাক্তন কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমানকে আসামি মুফতি আবদুল হান্নানের পক্ষে জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার আরেক মামলা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলারও আসামি মুফতি হান্নান। বুধবার এ মামলারও তারিখ ধার্য ছিল। এজন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়নি। ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার জন্য ১ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময়ে ২০ জুলাই ওই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই ঘটনার মামলায় সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অন্য আসামিরা হলেন- মো. এহিবুল্লাহ, মুন্সী ইব্রাহিম, মো. মাহমুদ আজহার, মো. রাশেদ ড্রাইভার, মো. শাহনেওয়াজ, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল ও মো. মিজানুর রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুফতি আব্দুল হান্নান আফগানিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং সেখানে তিনি তালেবানদের পক্ষে যুদ্ধ করেন। তিনি দেশে ফিরে হরকাতুল জেহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ নামক সংগঠনের সদস্য হন। তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য গোপালগঞ্জের বিসিক এলাকায় অবৈধভাবে সোনার বাংলা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি সাবানের কারখানা স্থাপন করেন। সে কারখানায় অন্য জঙ্গিদের নিয়োগ দেন এবং সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেন। সাবান তৈরির কাঁচামাল আনার আড়ালে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীরা বোমা তৈরির উপকরণ কারখানায় এনে রাখতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আসবেন, এ কথা শুনে মুফতি হান্নানসহ আসামিরা সাবান কারখানায় শক্তিশালী বোমা তৈরি করেন। তৈরির পর ২০০০ সালের ১৯ জুলাই সাবান কারখানার গাড়িতে করে কোটালীপাড়া এলাকায় নিয়ে রাতের আধারে পুঁতে রাখেন।