শিরোনাম :

ইতিহাস গড়তে টাইগারদের প্রয়োজন ১৯১ রান !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৫১:৪০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০১৭
  • ৭৩৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কলম্বো টেস্টের পঞ্চম দিনে ১৩৯ রানের লিডটা বড় করার লক্ষ্যে ব্যাট হাতে মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা। তাতে প্রথম আঘাত হানেন মিরাজ। আগের দিনের ২৬ রান করা দিলরুয়ান পেরেরাকে ৫০ রানে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। পরে লাকমলকে ৪২ রানে আটকান সাকিব। আর জয়ের জন্য বাংলাদেশের টার্গেট হয় ১৯১ রান।

এর আগে, চতুর্থ দিনের শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার উপল থারাঙ্গাকে বোল্ড করে প্যাভিলিওনে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। ২৬ রান করেন থারাঙ্গা। দিনের প্রথম সেশন শেষে ৪৩ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা।

দ্বিতীয় সেশনেই চিত্র পুরোপুরি বদলে যায়। মোস্তাফিজ ও সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ধুঁকতে থাকে লঙ্কানরা। বিরতির পর ফিরে মোস্তাফিজের শিকারে সাজঘরে ফেরেন মেন্ডিস। ব্যক্তিগত ৩৬ রানের মাথায় কাটার মাস্টারের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হন মেন্ডিস। এরপর লঙ্কান শিবিরে আবারো আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। মুশফিকের হাতে জমা পড়ে চান্দিমালের উইকেট। ফেরার আগে চান্দিমাল করেন মাত্র ৫ রান।

দলীয় ১৭৬ রানের মাথায় সাকি ফিরিয়ে দেন গুনারত্নেকে। মাত্র ৭ রান করে এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি। এরপর আবারো আক্রমণে এসে নিজের তৃতীয় ও দলের হয়ে পঞ্চম উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করে ফিরিয়ে দেন ডি সিলভাকে (০)। দলীয় ১৭৭ রানের মাথায় টপঅর্ডারের পাঁচ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

এরপর সাকিব লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন। ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটিয়ে সাকিব ফেরান নিরোশান দিকওয়েলাকে। মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরার আগে তিনি করেন ৫ রান। দলীয় ১৯০ রানের মাথায় ছয় ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন। চা বিরতির আগে ৬৯ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।

শেষ সেশনে সাকিব ফেরান গলার কাঁটা হয়ে থাকা দিমুথ করুনারত্নেকে (১২৬)। সৌম্যর হাতে ধরা পড়ার আগে করুনারত্নে ২৪৪ বলে ১০টি চার আর একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান। সাকিব তাকে ফিরিয়ে তৃতীয় উইকেট দখল করেন। দলীয় ২১৭ রানের মাথায় লঙ্কানরা সপ্তম উইকেট হারায়। পরে জুটি গড়েন পেরেরা ও রঙ্গনা হেরাথ। ২১ রানের জুটি গড়েন তারা। তাইজুলের প্রথম শিকারে বিদায় নেন হেরাথ। ব্যক্তিগত ৯ রানে তাইজুলের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন হেরাথ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদপত্রের মানোন্নয়নে হচ্ছে টাস্কফোর্স

ইতিহাস গড়তে টাইগারদের প্রয়োজন ১৯১ রান !

আপডেট সময় : ১১:৫১:৪০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

কলম্বো টেস্টের পঞ্চম দিনে ১৩৯ রানের লিডটা বড় করার লক্ষ্যে ব্যাট হাতে মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা। তাতে প্রথম আঘাত হানেন মিরাজ। আগের দিনের ২৬ রান করা দিলরুয়ান পেরেরাকে ৫০ রানে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। পরে লাকমলকে ৪২ রানে আটকান সাকিব। আর জয়ের জন্য বাংলাদেশের টার্গেট হয় ১৯১ রান।

এর আগে, চতুর্থ দিনের শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার উপল থারাঙ্গাকে বোল্ড করে প্যাভিলিওনে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। ২৬ রান করেন থারাঙ্গা। দিনের প্রথম সেশন শেষে ৪৩ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা।

দ্বিতীয় সেশনেই চিত্র পুরোপুরি বদলে যায়। মোস্তাফিজ ও সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ধুঁকতে থাকে লঙ্কানরা। বিরতির পর ফিরে মোস্তাফিজের শিকারে সাজঘরে ফেরেন মেন্ডিস। ব্যক্তিগত ৩৬ রানের মাথায় কাটার মাস্টারের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হন মেন্ডিস। এরপর লঙ্কান শিবিরে আবারো আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। মুশফিকের হাতে জমা পড়ে চান্দিমালের উইকেট। ফেরার আগে চান্দিমাল করেন মাত্র ৫ রান।

দলীয় ১৭৬ রানের মাথায় সাকি ফিরিয়ে দেন গুনারত্নেকে। মাত্র ৭ রান করে এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি। এরপর আবারো আক্রমণে এসে নিজের তৃতীয় ও দলের হয়ে পঞ্চম উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করে ফিরিয়ে দেন ডি সিলভাকে (০)। দলীয় ১৭৭ রানের মাথায় টপঅর্ডারের পাঁচ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

এরপর সাকিব লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন। ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটিয়ে সাকিব ফেরান নিরোশান দিকওয়েলাকে। মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরার আগে তিনি করেন ৫ রান। দলীয় ১৯০ রানের মাথায় ছয় ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন। চা বিরতির আগে ৬৯ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।

শেষ সেশনে সাকিব ফেরান গলার কাঁটা হয়ে থাকা দিমুথ করুনারত্নেকে (১২৬)। সৌম্যর হাতে ধরা পড়ার আগে করুনারত্নে ২৪৪ বলে ১০টি চার আর একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান। সাকিব তাকে ফিরিয়ে তৃতীয় উইকেট দখল করেন। দলীয় ২১৭ রানের মাথায় লঙ্কানরা সপ্তম উইকেট হারায়। পরে জুটি গড়েন পেরেরা ও রঙ্গনা হেরাথ। ২১ রানের জুটি গড়েন তারা। তাইজুলের প্রথম শিকারে বিদায় নেন হেরাথ। ব্যক্তিগত ৯ রানে তাইজুলের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন হেরাথ।