বিচার বিভাগ জিম্মি রাখা হয়েছে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৩:৪২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট জারি না করে বিচার বিভাগ জিম্মি করে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের আট বিচারপতির বেঞ্চে এ মামলার শুনানিকালে আদালত এ মন্তব্য করেন।

বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট জারি না করায় ক্ষোভ প্রকাশ  করে আদালত বলেন, ‘ব্যক্তির চেয়ে প্রতিষ্ঠান বড়। প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে হবে। বিধিমালার গেজেট জারি না করে বিচার বিভাগ জিম্মি করে রাখা হয়েছে।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ বিধিমালার গেজেট জারি করতে আবারও সময় চান। তখন আদালত বলেন, ‘দেশে কি কোনো সরকার আছে? বিধিমালার গেজেট জারি করতে আর কত দিন সময় প্রয়োজন? রাষ্ট্রের তো একটি ফেয়ার প্লের বিষয় রয়েছে।
এরপর আদালত সরকারকে গেজেট জারি করতে আবারও দুই সপ্তাহের সময় দেন।

এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেজেট আকারে প্রকাশ করতে আজকের দিন পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন আদালত। এর আগেও গেজেট প্রকাশে কয়েক দফা সময় নেয় সরকার।
নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে গত ১২ ডিসেম্বর তলবও করেন আপিল বিভাগ।

গত বছরের ৭  নভেম্বর  বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিচার বিভাগ জিম্মি রাখা হয়েছে !

আপডেট সময় : ০৩:৪৩:৪২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট জারি না করে বিচার বিভাগ জিম্মি করে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের আট বিচারপতির বেঞ্চে এ মামলার শুনানিকালে আদালত এ মন্তব্য করেন।

বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট জারি না করায় ক্ষোভ প্রকাশ  করে আদালত বলেন, ‘ব্যক্তির চেয়ে প্রতিষ্ঠান বড়। প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে হবে। বিধিমালার গেজেট জারি না করে বিচার বিভাগ জিম্মি করে রাখা হয়েছে।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ বিধিমালার গেজেট জারি করতে আবারও সময় চান। তখন আদালত বলেন, ‘দেশে কি কোনো সরকার আছে? বিধিমালার গেজেট জারি করতে আর কত দিন সময় প্রয়োজন? রাষ্ট্রের তো একটি ফেয়ার প্লের বিষয় রয়েছে।
এরপর আদালত সরকারকে গেজেট জারি করতে আবারও দুই সপ্তাহের সময় দেন।

এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেজেট আকারে প্রকাশ করতে আজকের দিন পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন আদালত। এর আগেও গেজেট প্রকাশে কয়েক দফা সময় নেয় সরকার।
নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে গত ১২ ডিসেম্বর তলবও করেন আপিল বিভাগ।

গত বছরের ৭  নভেম্বর  বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।