শিরোনাম :

টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৪০:৫৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৩০ বার পড়া হয়েছে

তদন্তের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এমনটাই জানিয়েছেন কেবিনেট মন্ত্রী পিটার কাইল। এই সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

রোববার স্কাই নিউজের এক অনুষ্ঠানেই পিটার কাইল বলেন, ‘স্বাধীন তদন্তের ফলাফল অনুসারে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জন্য সংসদীয় তদন্তের দাবি করে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আমি মনে করি, তিনি যথাযথ কাজই করেছেন। তদন্ত চলমান থাকতে হবে এবং কিয়ার স্টারমার অবশ্যই তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’

একই দিনে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক সম্পূর্ণ সঠিক কাজ করেছেন এবং তিনি তার ওপর আস্থাশীল রয়েছেন।

এদিকে, যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ নেতা কেমি বাডেনচ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্টারমার তার ব্যক্তিগত বন্ধু টিউলিপ সিদ্দিককে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, অথচ তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত।’

কেমি বাডেনচ টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘এখনই সময়, কিয়ার স্টারমারকে টিউলিপ সিদ্দিককে পদচ্যুত করা উচিত।’

শ্যাডো চ্যান্সেলর মেল স্ট্রাইডও টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, কিন্তু তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় তাঁর পক্ষে এই দায়িত্ব পালন করা কঠিন, তাই তাকে পদত্যাগ করা উচিত এবং প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত।’

টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে একাধিক ফ্ল্যাট গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। তবে টিউলিপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা লাউরি ম্যাগনাসের কাছে গত সোমবার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে, তিনি কোনো ভুল করেননি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালো ৬ বছরের শিশু জিদান

টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:৪০:৫৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

তদন্তের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এমনটাই জানিয়েছেন কেবিনেট মন্ত্রী পিটার কাইল। এই সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

রোববার স্কাই নিউজের এক অনুষ্ঠানেই পিটার কাইল বলেন, ‘স্বাধীন তদন্তের ফলাফল অনুসারে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জন্য সংসদীয় তদন্তের দাবি করে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আমি মনে করি, তিনি যথাযথ কাজই করেছেন। তদন্ত চলমান থাকতে হবে এবং কিয়ার স্টারমার অবশ্যই তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’

একই দিনে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক সম্পূর্ণ সঠিক কাজ করেছেন এবং তিনি তার ওপর আস্থাশীল রয়েছেন।

এদিকে, যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ নেতা কেমি বাডেনচ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্টারমার তার ব্যক্তিগত বন্ধু টিউলিপ সিদ্দিককে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, অথচ তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত।’

কেমি বাডেনচ টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘এখনই সময়, কিয়ার স্টারমারকে টিউলিপ সিদ্দিককে পদচ্যুত করা উচিত।’

শ্যাডো চ্যান্সেলর মেল স্ট্রাইডও টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, কিন্তু তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় তাঁর পক্ষে এই দায়িত্ব পালন করা কঠিন, তাই তাকে পদত্যাগ করা উচিত এবং প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত।’

টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে একাধিক ফ্ল্যাট গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। তবে টিউলিপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা লাউরি ম্যাগনাসের কাছে গত সোমবার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে, তিনি কোনো ভুল করেননি।