শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

মেয়ের গাইড বই আনতে গিয়ে প্রাণ গেল সাংবাদিকের

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:১২:৩৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭২৬ বার পড়া হয়েছে

আবদুল বাসেদ (নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি)

নোয়াখালীতে মেয়ের গাইড বই আনতে গিয়ে মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারী) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, একই দিন সন্ধ্যার দিকে জেলার সদর উপজেলা পরিষদের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মিজানুর রহমান কিরণ (৬০) জেলার কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের পদুয়া গ্রামের টুকা মিয়া হাজী বাড়ির মৃত আবদুল মান্নানের বড় ছেলে। তিনি দৈনিক সমাজ সংবাদের কবিরহাট উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি নানা সামাজিক-মানবিক কাজেও জড়িত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত কিরণের বড় মেয়ে আজরিন ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি মোটরসাইকেল যোগে কবিরহাট থেকে মেয়ের জন্য গাইড বই কিনতে জেলা শহর মাইজদীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। যাত্রা পথে সোনাপুর টু মাইজদী সড়কের সদর উপজেলা পরিষদের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি চালিত অটোরকিশার সাথে তার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি মাথায় গুরুত্বর আঘাত পান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ২টার দিকে ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

মৃত্যুকালে তিন মেয়ে ও দুই ছেলে সহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজসহ এলাকায় স্থানীয়দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় মরহুমের নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হয়।

তার মৃত্যুতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রহমান, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সাল শোক জানিয়েছেন। তারা সাংবাদিক কিরণের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্তপরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়নি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

মেয়ের গাইড বই আনতে গিয়ে প্রাণ গেল সাংবাদিকের

আপডেট সময় : ০৯:১২:৩৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫

আবদুল বাসেদ (নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি)

নোয়াখালীতে মেয়ের গাইড বই আনতে গিয়ে মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারী) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, একই দিন সন্ধ্যার দিকে জেলার সদর উপজেলা পরিষদের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মিজানুর রহমান কিরণ (৬০) জেলার কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের পদুয়া গ্রামের টুকা মিয়া হাজী বাড়ির মৃত আবদুল মান্নানের বড় ছেলে। তিনি দৈনিক সমাজ সংবাদের কবিরহাট উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি নানা সামাজিক-মানবিক কাজেও জড়িত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত কিরণের বড় মেয়ে আজরিন ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি মোটরসাইকেল যোগে কবিরহাট থেকে মেয়ের জন্য গাইড বই কিনতে জেলা শহর মাইজদীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। যাত্রা পথে সোনাপুর টু মাইজদী সড়কের সদর উপজেলা পরিষদের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি চালিত অটোরকিশার সাথে তার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি মাথায় গুরুত্বর আঘাত পান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ২টার দিকে ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

মৃত্যুকালে তিন মেয়ে ও দুই ছেলে সহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজসহ এলাকায় স্থানীয়দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় মরহুমের নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হয়।

তার মৃত্যুতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রহমান, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সাল শোক জানিয়েছেন। তারা সাংবাদিক কিরণের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্তপরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়নি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।