শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

শেরপুরে সৎভাইদের ফাঁসাতে নিজের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:২৩:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭২৫ বার পড়া হয়েছে

আরফান আলী, শেরপুর:
শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের সাহাব্দীরচর দশানীপাড়া গ্রামের জনৈক কমর আলীর ছেলে জামাদার আলী পেশায় একজন জুয়ারী বলে এলাকায় পরিচিত। জামাদার আলী হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে পূর্বশত্রুতার এবং জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার সৎ ভাই মোঃ আঃ আজিজ ও আঃ হালিমকে ফাঁসাতে নিজ ঔরসজাত নাবালিকা কন্যা বাকপ্রতিবন্ধী সাদিয়া বেগম (১৪) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে একটি ফসলি জমিতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর উপজেলার সাহাব্দীরচর দশানীপাড়া গ্রামের জামাদার মিয়া গত রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তার বাড়ি থেকে নাবালিকা বাকপ্রতিবন্ধী কন্যা সাদিয়া বেগমকে কামারেরচর বাজারে নিয়ে যায়। পরে সাদিয়া বেগমকে প্রথমে জনৈক হারুনের দোকানে সিঙ্গারা ও পুরি খাওয়ায় এবং পরবর্তীতে একই বাজারের ফারুকের দোকান থেকে পাউরুটি কিনে দেয়। পরে সাদিয়া বেগমকে জামাদার মিয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাবার সময় বাজারের লোকজন জামাদার মিয়ার হাতে একটি ধারালো দা দেখতে পান। যা বাজারের দোকানীদের সিসি ক্যামেয়ায় ধারণ এবং লক্ষ্য করা যায়। পরদিন গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে একটি খেতে সাদিয়া বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে সদর থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ সাদিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় পর থেকেই সাদিয়া বেগমের পাষন্ড বাবা জামাদার মিয়া পলাতক রয়েছে।

এদিকে জামাদার মিয়া ও নিহত সাদিয়া বেগমের গোষ্ঠীর লোকজন এবং গ্রামবাসী ধারণা করছেন সৎ ভাই আঃ আজিজ ও আঃ হালিমকে ফাঁসাতেই নিজ বাকপ্রতিবন্ধী কন্যা সাদিয়া বেগমকে হত্যা করেছেন বলে এমন নাটকীয় ঘটনা ঘটিয়েছেন তার বাবা জামাদার মিয়া।

এদিক মামলার তদন্তকারী অফিসার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক বলেন, নিহত সাদিয়া বেগমের বাবা জামাদার মিয়াকে আটক করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন এবং তাকে আটক করতে পারলেই হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উন্মোচিত হবে বলে তিনি এমনটাই জানান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

শেরপুরে সৎভাইদের ফাঁসাতে নিজের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যা

আপডেট সময় : ০৫:২৩:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫

আরফান আলী, শেরপুর:
শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের সাহাব্দীরচর দশানীপাড়া গ্রামের জনৈক কমর আলীর ছেলে জামাদার আলী পেশায় একজন জুয়ারী বলে এলাকায় পরিচিত। জামাদার আলী হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে পূর্বশত্রুতার এবং জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার সৎ ভাই মোঃ আঃ আজিজ ও আঃ হালিমকে ফাঁসাতে নিজ ঔরসজাত নাবালিকা কন্যা বাকপ্রতিবন্ধী সাদিয়া বেগম (১৪) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে একটি ফসলি জমিতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর উপজেলার সাহাব্দীরচর দশানীপাড়া গ্রামের জামাদার মিয়া গত রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তার বাড়ি থেকে নাবালিকা বাকপ্রতিবন্ধী কন্যা সাদিয়া বেগমকে কামারেরচর বাজারে নিয়ে যায়। পরে সাদিয়া বেগমকে প্রথমে জনৈক হারুনের দোকানে সিঙ্গারা ও পুরি খাওয়ায় এবং পরবর্তীতে একই বাজারের ফারুকের দোকান থেকে পাউরুটি কিনে দেয়। পরে সাদিয়া বেগমকে জামাদার মিয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাবার সময় বাজারের লোকজন জামাদার মিয়ার হাতে একটি ধারালো দা দেখতে পান। যা বাজারের দোকানীদের সিসি ক্যামেয়ায় ধারণ এবং লক্ষ্য করা যায়। পরদিন গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে একটি খেতে সাদিয়া বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে সদর থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ সাদিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় পর থেকেই সাদিয়া বেগমের পাষন্ড বাবা জামাদার মিয়া পলাতক রয়েছে।

এদিকে জামাদার মিয়া ও নিহত সাদিয়া বেগমের গোষ্ঠীর লোকজন এবং গ্রামবাসী ধারণা করছেন সৎ ভাই আঃ আজিজ ও আঃ হালিমকে ফাঁসাতেই নিজ বাকপ্রতিবন্ধী কন্যা সাদিয়া বেগমকে হত্যা করেছেন বলে এমন নাটকীয় ঘটনা ঘটিয়েছেন তার বাবা জামাদার মিয়া।

এদিক মামলার তদন্তকারী অফিসার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক বলেন, নিহত সাদিয়া বেগমের বাবা জামাদার মিয়াকে আটক করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন এবং তাকে আটক করতে পারলেই হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উন্মোচিত হবে বলে তিনি এমনটাই জানান।