ঝিনাইগাতীতে মৎস্যজীবী যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:১৯:২৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৬০ বার পড়া হয়েছে

আরফান আলী, শেরপুর:

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর জুলগাঁও নয়াপাড়ায় মজনু মিয়া (১৮) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ঝিনাইগাতি উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের জুলগাঁও নয়াপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। মজনু মিয়া ওই গ্রামের জিয়ারুল হকের দ্বিতীয় ছেলে।

বিষয়টি ঝিনাইগাতি উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক নিশ্চিত করেন।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্র জানাযায়, মজনু মিয়া পেশায় একজন মৎস্যজীবী। ৪ ভাইবোনের মধ্যে মজনু মিয়া একাই বাড়িতে থাকতো। তার বাবা জিয়ারুল হক, মা এবং বড়ভাই কর্মসূত্রে ঢাকার আশুলিয়া থাকেন।

এক‌ই বাড়িতে তার নানা মোফাজ্জল ও দুই মামা বসবাস করেন। গত রাতে বাজার থেকে ফিরে খাওয়া দাওয়া সেরে রাত ১০ টার দিকে নিজের ঘরে ঘুমাতে যায় মজনু। শনিবার ওই গ্রামের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হবে। স্মার্টকার্ড সংগ্রহের জন্য আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা হতে সবাই বাড়িতে আসেন। মজনুর মা ছেলে মজনুর খোঁজ করতে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া পায়নি। পরে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ঘরের ধরনায় মজনুর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে তার ডাক চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা এসে লাশ উদ্ধার করেন।

এলাকাবাসী এবং পরিবারের লোকজন এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছেন। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে, এ কারণ জানা যায়নি। মজনু মিয়া খুবই ভালো ছেলে ছিল এবং কারো সাথে তার কোন বিবাদ ছিলনা বলে জানান পরিবারের লোকজন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ও ইউপি সদস্য মো. হাবিবুল্লাহ।

এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ট্যাগস :

ঝিনাইগাতীতে মৎস্যজীবী যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৭:১৯:২৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫

আরফান আলী, শেরপুর:

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর জুলগাঁও নয়াপাড়ায় মজনু মিয়া (১৮) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ঝিনাইগাতি উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের জুলগাঁও নয়াপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। মজনু মিয়া ওই গ্রামের জিয়ারুল হকের দ্বিতীয় ছেলে।

বিষয়টি ঝিনাইগাতি উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক নিশ্চিত করেন।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্র জানাযায়, মজনু মিয়া পেশায় একজন মৎস্যজীবী। ৪ ভাইবোনের মধ্যে মজনু মিয়া একাই বাড়িতে থাকতো। তার বাবা জিয়ারুল হক, মা এবং বড়ভাই কর্মসূত্রে ঢাকার আশুলিয়া থাকেন।

এক‌ই বাড়িতে তার নানা মোফাজ্জল ও দুই মামা বসবাস করেন। গত রাতে বাজার থেকে ফিরে খাওয়া দাওয়া সেরে রাত ১০ টার দিকে নিজের ঘরে ঘুমাতে যায় মজনু। শনিবার ওই গ্রামের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হবে। স্মার্টকার্ড সংগ্রহের জন্য আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা হতে সবাই বাড়িতে আসেন। মজনুর মা ছেলে মজনুর খোঁজ করতে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া পায়নি। পরে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ঘরের ধরনায় মজনুর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে তার ডাক চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা এসে লাশ উদ্ধার করেন।

এলাকাবাসী এবং পরিবারের লোকজন এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছেন। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে, এ কারণ জানা যায়নি। মজনু মিয়া খুবই ভালো ছেলে ছিল এবং কারো সাথে তার কোন বিবাদ ছিলনা বলে জানান পরিবারের লোকজন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ও ইউপি সদস্য মো. হাবিবুল্লাহ।

এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।