ন্যাশনাল মেডিকেলের ৩ জন বরখাস্ত, হামলায় ‘১০ কোটি টাকার’ ক্ষতি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:২৪:১৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৩০ বার পড়া হয়েছে

কলেজছাত্র অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনায় ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ৩ চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হয়েছে। হাসপাতালের উপপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ রেজাউল হক মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

ডা. রেজাউল হক বলেন, অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর পর কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে ১১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্তের স্বার্থে আইসিইউর তিন চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি জানান, “চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মারা গেছেন—এমন অভিযোগে মিথ্যা দায়ভার চাপানো হচ্ছে। তবে তদন্ত চলমান। কমিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলে জানা যাবে, হাসপাতালে কোনো দুর্বলতা ছিল কি না বা চিকিৎসকের গাফিলতি ছিল কি না।”

উল্লেখ্য, অভিযোগ রয়েছে যে, অভিজিৎ হাওলাদারের মরদেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া হিসেবে আটকে রাখা হয়েছিল। এই অভিযোগ অস্বীকার করে উপপরিচালক বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আইসিইউর বিল ছিল ৩৬ হাজার ৪০০ টাকা, যা মওকুফ করা হয়েছে। ১০ হাজার টাকা দিয়ে মৃত্যু কি ধামাচাপা দেওয়া যায়?’

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৬ নভেম্বর ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি হন অভিজিৎ হাওলাদার। ১৮ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর ২০ ও ২১ নভেম্বর ছাত্ররা হাসপাতাল অবরোধ করে এবং ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ন্যাশনাল মেডিকেলের ৩ জন বরখাস্ত, হামলায় ‘১০ কোটি টাকার’ ক্ষতি

আপডেট সময় : ০৬:২৪:১৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

কলেজছাত্র অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনায় ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ৩ চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হয়েছে। হাসপাতালের উপপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ রেজাউল হক মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

ডা. রেজাউল হক বলেন, অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর পর কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে ১১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্তের স্বার্থে আইসিইউর তিন চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি জানান, “চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মারা গেছেন—এমন অভিযোগে মিথ্যা দায়ভার চাপানো হচ্ছে। তবে তদন্ত চলমান। কমিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলে জানা যাবে, হাসপাতালে কোনো দুর্বলতা ছিল কি না বা চিকিৎসকের গাফিলতি ছিল কি না।”

উল্লেখ্য, অভিযোগ রয়েছে যে, অভিজিৎ হাওলাদারের মরদেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া হিসেবে আটকে রাখা হয়েছিল। এই অভিযোগ অস্বীকার করে উপপরিচালক বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আইসিইউর বিল ছিল ৩৬ হাজার ৪০০ টাকা, যা মওকুফ করা হয়েছে। ১০ হাজার টাকা দিয়ে মৃত্যু কি ধামাচাপা দেওয়া যায়?’

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৬ নভেম্বর ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি হন অভিজিৎ হাওলাদার। ১৮ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর ২০ ও ২১ নভেম্বর ছাত্ররা হাসপাতাল অবরোধ করে এবং ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।